সাহিত্য পড়ার সময়ে জানতাম সাহিত্য সমালোচক হতে যোগ্যতা লাগে। Ratatouille মুভিটা দেখার সময়েও খেয়াল করেছিলাম, একজন ফুড ক্রিটিকের ভাবসাবই আলাদা। তবে, আমাদের এই বঙ্গোপসাগরের পাড়ের ব-দ্বীপখানির উর্বর পলিমাটিতে ফসলের মতই সমালোচকদের বাম্পার ফলন হয়। তাইতো, বাসে-লঞ্চে, চায়ের দোকানে, অফিসের টেবিলে, কেরানি আর অফিসার সবাইই ব্যাপক রাজনৈতিক সমালোচক, কর্মীর খবর নেই। আমাদের গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে থাকে চাপাতি-চাইনিজ কুড়াল, রিভলবার। তেমনি দেশের সকল ক্ষেত্রেই যেই পরিমাণ সমালোচক পাওয়া যায়, কর্মীর বড়ই আকাল। রাজনীতি,কর্মী,জ্ঞানী-গুণী সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে চাইনি, সে বিষয়ে আমার আগ্রহ তুলনামূলক কম।
বিগত কিছুকাল দেশের ও আন্তর্জাতিক জটিল পরিস্থিতিতে ফেসবুকের নিউজ-ফিড জুড়ে ইসলাম বিষয়ক সমালোচকের বাম্পার ফলন হয়েছে। আল্লাহর দ্বীন যে বড় সাইজের কথার বিষয় না, সেই বিষয়টা বোধকরি আমাদের কারো মাথায় নাই। সম্ভবত কেউ এটাও আমাদের মাথায় থাকে না যে ইসলামে আলেমদের যেই দায়িত্ব খুবই কঠিন এবং তাদের সবসময়েই অতি সতর্ক থাকতে হয় তাদের কাজের ব্যাপারে, নইলে আল্লাহর সবচাইতে কঠিন শাস্তির আওতায় তাদের পড়ে যেতে হবে।
অন্যদিকে কুকুরকে পানি খাওয়ানো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক গাছ কেটে সরিয়ে দেয়া, মিশুক হওয়া ও বিনম্র স্বভাব অর্জন করা, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় অপর ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া, ফরজ সালাতের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠের মতন বিষয়গুলো বোধহয় আমাদেরকে অনেক সহজেই চুড়ান্ত সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইসলাম নিয়ে বড়জোর দু'চার বছর একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে (আলহামদুলিল্লাহ), তেমন কোন মানুষের জীবনে নিজের অবদান না রেখেও তাজিওডং চূড়াস্পর্শী সাইজের একেকটা বাক্য ছুঁড়ে দিতে আমাদের কোন জড়তাই হয়না।
নিঃসন্দেহে প্রতিটি বাক্যের হিসাবই আল্লাহ নিবেন। আল্লাহর দ্বীন নিয়ে জ্ঞানীগুণী হয়ে যাওয়া লোকদের দায় কিছুতেই কম হবেনা। আমাদের কথায় কেউ বিভ্রান্ত হয়ে গেলে, আমার কথাটা 'অন্যের কাছে শুনে' প্রচার করা হয়ে থাকলে এবং সেটি নির্জলা মিথ্যা হলে আমার দায়ভার আমি কি আদৌ নিতে পারব যেদিন আল্লাহ প্রতিটি অণু-পরিমাণ কাজের হিসেব নিবেন? মুখে কলকলিয়ে যাওয়ার চাইতে ক্রমাগত কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করাই আমাদের সবার উচিত। নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েই এই স্মরণিকাটা আমার ভাইদের প্রতি জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
২৩ মার্চ ২০১৩
বিগত কিছুকাল দেশের ও আন্তর্জাতিক জটিল পরিস্থিতিতে ফেসবুকের নিউজ-ফিড জুড়ে ইসলাম বিষয়ক সমালোচকের বাম্পার ফলন হয়েছে। আল্লাহর দ্বীন যে বড় সাইজের কথার বিষয় না, সেই বিষয়টা বোধকরি আমাদের কারো মাথায় নাই। সম্ভবত কেউ এটাও আমাদের মাথায় থাকে না যে ইসলামে আলেমদের যেই দায়িত্ব খুবই কঠিন এবং তাদের সবসময়েই অতি সতর্ক থাকতে হয় তাদের কাজের ব্যাপারে, নইলে আল্লাহর সবচাইতে কঠিন শাস্তির আওতায় তাদের পড়ে যেতে হবে।
অন্যদিকে কুকুরকে পানি খাওয়ানো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক গাছ কেটে সরিয়ে দেয়া, মিশুক হওয়া ও বিনম্র স্বভাব অর্জন করা, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় অপর ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া, ফরজ সালাতের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠের মতন বিষয়গুলো বোধহয় আমাদেরকে অনেক সহজেই চুড়ান্ত সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইসলাম নিয়ে বড়জোর দু'চার বছর একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে (আলহামদুলিল্লাহ), তেমন কোন মানুষের জীবনে নিজের অবদান না রেখেও তাজিওডং চূড়াস্পর্শী সাইজের একেকটা বাক্য ছুঁড়ে দিতে আমাদের কোন জড়তাই হয়না।
নিঃসন্দেহে প্রতিটি বাক্যের হিসাবই আল্লাহ নিবেন। আল্লাহর দ্বীন নিয়ে জ্ঞানীগুণী হয়ে যাওয়া লোকদের দায় কিছুতেই কম হবেনা। আমাদের কথায় কেউ বিভ্রান্ত হয়ে গেলে, আমার কথাটা 'অন্যের কাছে শুনে' প্রচার করা হয়ে থাকলে এবং সেটি নির্জলা মিথ্যা হলে আমার দায়ভার আমি কি আদৌ নিতে পারব যেদিন আল্লাহ প্রতিটি অণু-পরিমাণ কাজের হিসেব নিবেন? মুখে কলকলিয়ে যাওয়ার চাইতে ক্রমাগত কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করাই আমাদের সবার উচিত। নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েই এই স্মরণিকাটা আমার ভাইদের প্রতি জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
২৩ মার্চ ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে