২৬ মার্চ, ২০১৩

অন্যদের জন্য করে শুধু নিজে বাঁচি যা বড় কিছু না

একটা অদ্ভুত জিনিসের উপলব্ধি হলো। কখনো কখনো কারো উপকার করতে পারলে বেশ ভালো লাগে, যেই ভালোলাগা একসময় একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়ে নিজের ব্যাপারে উচ্চ ধারণায় নিয়ে যায়। আসলে কি আমরা বড়সড় কিছু করি? ধরেন, একসময় পকেটের টাকায় একটা মানুষকে ১০০টাকা দেয়ার যোগ্যতা ছিল। এখন আমার ৫০০টাকা দেয়ার সামর্থ্য আছে। এটা কি আমি দিলাম? আমার এই রিজিকের দ্বার খুলেছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা। এখানে অদ্ভুত একটা ব্যাপার আছে। আমার যোগ্যতা দিয়ে আসলে আল্লাহ ওই মানুষটাকে কিছু পাইয়ে দিলেন। আমার বেশি টাকা এখানে কোন বিষয় না। আমার কিছু টাকা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, আমি তার ব্যবহার করে জাহান্নামের আগুণ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছি কেবল।

একইভাবে, অন্য যেকোনভাবে কারো উপকার করতে পারলে আল্লাহর শুকরিয়া করা উচিত যে নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির একটা চেষ্টা করতে পারলাম আল্লাহর রাহমাতে, আত্মতৃপ্তিতে নিজেকে 'কিছুমিছু' ভাবার উপায় নেই। কেননা, কাউকে সাহায্য করতে পারার ক্ষমতাটুকু আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, আমি এটার ব্যবহার করলে হয়ত মুক্তি পেতে পারি, না করলে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার *অন্তর* এখানে মুখ্য, বাহ্যিক হিসেব-নিকেশ একদমই মূল্যহীন। আল্লাহ তার ইচ্ছামতন মানুষকে যোগ্যতা দেন, যোগ্যতা বেশ হওয়ায় আমাদের গর্বিত হবার কিছু নেই। সারা পৃথিবীকে যদি আমি উপকৃত করতে পারি তাতেও আনন্দিত হবার কিছু নেই, কেননা খুব বড় কিছু করে ফেলিনি। কিছুই তো আমাদের না, আল্লাহর সম্পদই আমরা মানুষের মাঝে বিলায়, বিলিয়ে দেবার সময়ে অন্তর অবস্থাটাই আল্লাহ দেখবেন, বাহ্যিক রূপগুলো না। তাই, নিজেকে বুঝতে কেবল নিজের অন্তরের গভীরে তাকিয়ে দেখলেই হবে -- সেখানে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা কতটুকু, তার প্রতি কতটা আর্তি, তার সন্তুষ্টি পেতে কতটা অশ্রুমালা, তার স্মরণে কতটা অন্যায় থেকে দূরে থাকা, অন্যায় দেখে কতটা প্রত্যয়ে প্রতিবাদ করা...


২৫ মার্চ ২০১৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে