আজ সকালে বাসে দীর্ঘসময় জ্যামে আটকে আছি। এমন সময় বাসের মাঝের দিকে সিটে বসা এক লোক মোবাইলে খুব উচ্চকন্ঠে কথা বলতে শুরু করলো, অন্যপাশের কথাও শোনা যাচ্ছিলো! এরকম অহরহই ঘটে, পাত্তা দিতাম না। কিন্তু লোকটার কথার বিষয়বস্তু খুবই 'অন্যরকম' ভয়ঙ্কর! সে সম্ভবত এমন কারো সাথে কথা বলছিলো যার বোনের সাথে তার বিয়ের কথা চলছে। উচ্চস্বরে এমন কিছু কথা বলছিলো যে বাসভর্তি মানুষ উশখুশ করে তার দিকে তাকাচ্ছিলো -- "বোনেরে লাগবো না তোমার লগেই কথা কই... বউ পরে আগে শালীরে সাইজ কইরে নিই... হা, শালীরে সাইজ করতে পারলে বউ ব্যাপার না... কিই,কিই? আমি কি তোমারে খারাপ কথা বলছি? আমি সৎ লোক, খারাপ কি কথা কইতে পারি? (সুর করে)" এতটুকু হলেও হত। এরপরে সে বললো, "আল্লাহ কি বলসে জানো? ফাজকুরুনি আজকুরকুম ওয়াশকুরুলি ওয়ালা তাকফুরুন।" এটার পরে সে বুঝাইতে শুরু করলো যে চাইলেই নাকি আল্লাহ কত বেশি দিবে... [এই আয়াতের অর্থ মোটেই এমন না!]
এইরকম বিশ্রি কথোপকথনের মাঝে হঠাৎ কুরআনের আয়াত কানে আসার পরে কেমন যেন শরীর কেঁপে উঠেছিলো। নু'মান আলী খানের মুখে এই আয়াতখানের আলাপ শুনেছিলাম, আল্লাহ এই আয়াত আমাদের রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠিয়েছিলেন আর এই জিনিস নিজেকে 'ভালো' প্রমাণে এভাবে ব্যবহার হচ্ছে, হয়! পিছনের সিটে ছিলাম, খেয়াল করে দেখলাম লোকটার মাথায় বড় একটা টাক। এই বয়সে বিয়ে করার আগ্রহে প্রথমেই শালীর সাথে বিশ্রি আলাপের মাঝেই লোকটা মজা খুঁজে পেলো!
শালীকে 'সাইজ' করা সংক্রান্ত বিষয়টা আমাদের সমাজের সুপ্রাচীন 'আনন্দ'। ভার্সিটি লাইফেও এই বিষয়ক অশ্লীল ইংগিত সংক্রান্ত কৌতুক সিনিয়র-জুনিয়র-বন্ধুদের আড্ডাতে শুনতাম। 'বউয়ের সাথে শালী ফ্রি' টাইপের কথাও বলতে কারো বাঁধে না, বরং আমার মনে হয় কুৎসিত এইসব 'ফান' চেনাজানাদের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেকেই করতে দেখেছি। আমার সবসময়েই প্রচন্ড অবাক লাগত যে এই ধরণের নোংরা ইঙ্গিতগুলো সবসময়েই সবাই বেশ গ্রহণ করে নেয় কেন! সমাজে লজ্জা-শরম ক্ষয়ে যেতে থাকলে, আল্লাহর দ্বীনের শিক্ষা হারিয়ে যেত থাকলে হয়ত এরকম দৃশ্যপট, ইঙ্গিত আর শব্দই প্রকট এবং ভয়ংকর হতে থাকবে। কিন্তু একজন মুসলিম পুরুষের জন্য তার স্ত্রীর বোন তথা শ্যালিকা নিতান্তই আরেকজন নারী, যার সাথে সমস্ত আচরণই হওয়া উচিত সীমারেখা বজায় রেখে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আজকালকার জামাইরা শ্যালিকাদের জড়িয়ে ধরে ছবি ফেসবুকে আপলোড করে অহরহ -- এ নিয়ে বন্ধুরা মজা-মশকরাও করে। লজ্জা-শরম? সে আবার কী জিনিস? যারা আল্লাহকে ভয় করেনা তাদের কথা আলাদা, কিন্তু যারা দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষতি থেকে বাঁচতে চায়, তাদেরকে আল্লাহ এই বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদের একটা সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য যোগ্য করে দিন এবং কবুল করে নিন।
এইরকম বিশ্রি কথোপকথনের মাঝে হঠাৎ কুরআনের আয়াত কানে আসার পরে কেমন যেন শরীর কেঁপে উঠেছিলো। নু'মান আলী খানের মুখে এই আয়াতখানের আলাপ শুনেছিলাম, আল্লাহ এই আয়াত আমাদের রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠিয়েছিলেন আর এই জিনিস নিজেকে 'ভালো' প্রমাণে এভাবে ব্যবহার হচ্ছে, হয়! পিছনের সিটে ছিলাম, খেয়াল করে দেখলাম লোকটার মাথায় বড় একটা টাক। এই বয়সে বিয়ে করার আগ্রহে প্রথমেই শালীর সাথে বিশ্রি আলাপের মাঝেই লোকটা মজা খুঁজে পেলো!
শালীকে 'সাইজ' করা সংক্রান্ত বিষয়টা আমাদের সমাজের সুপ্রাচীন 'আনন্দ'। ভার্সিটি লাইফেও এই বিষয়ক অশ্লীল ইংগিত সংক্রান্ত কৌতুক সিনিয়র-জুনিয়র-বন্ধুদের আড্ডাতে শুনতাম। 'বউয়ের সাথে শালী ফ্রি' টাইপের কথাও বলতে কারো বাঁধে না, বরং আমার মনে হয় কুৎসিত এইসব 'ফান' চেনাজানাদের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেকেই করতে দেখেছি। আমার সবসময়েই প্রচন্ড অবাক লাগত যে এই ধরণের নোংরা ইঙ্গিতগুলো সবসময়েই সবাই বেশ গ্রহণ করে নেয় কেন! সমাজে লজ্জা-শরম ক্ষয়ে যেতে থাকলে, আল্লাহর দ্বীনের শিক্ষা হারিয়ে যেত থাকলে হয়ত এরকম দৃশ্যপট, ইঙ্গিত আর শব্দই প্রকট এবং ভয়ংকর হতে থাকবে। কিন্তু একজন মুসলিম পুরুষের জন্য তার স্ত্রীর বোন তথা শ্যালিকা নিতান্তই আরেকজন নারী, যার সাথে সমস্ত আচরণই হওয়া উচিত সীমারেখা বজায় রেখে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আজকালকার জামাইরা শ্যালিকাদের জড়িয়ে ধরে ছবি ফেসবুকে আপলোড করে অহরহ -- এ নিয়ে বন্ধুরা মজা-মশকরাও করে। লজ্জা-শরম? সে আবার কী জিনিস? যারা আল্লাহকে ভয় করেনা তাদের কথা আলাদা, কিন্তু যারা দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষতি থেকে বাঁচতে চায়, তাদেরকে আল্লাহ এই বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদের একটা সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য যোগ্য করে দিন এবং কবুল করে নিন।