৩১ জুল, ২০১৪

​ বন্ধ রাফাহ ক্রসিং এবং সহস্র মৃত্যু

২০১২ সালের নভেম্বরে ইসরাইল আক্রমণ করেছিলো গাজাতে, নাম দিয়েছিলো 'অপারেশন কাস্ট লিড'। হামাসের প্রতিরোধে টিকতে পারেনি খুব বেশিদিন। তখন মিশরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুহাম্মাদ মুরসি। রাফাহ ক্রসিং তখন খোলা ছিলো, তাই মুসলিম ব্রাদারহুডের অনেক সাহায্য পেয়েছিলো হামাস। সেই গ্লানিতে হিংস্র হয়ে থাকা ইসরাইল হয়ত তাই মুরসিকে প্রেসিডেন্ট থেকে সরিয়ে প্রকাশ্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ক্যু করতে সাহায্য করেছিলো জেনারেল সিসিকে। এবার তাই রাফাহ বন্ধ। মিশরের সিসি, সৌদির আব্দুল্লাহ, আমিরাতের আমির মিলেছে ইসরাইলের সাথে এবং গাজ্জাবাসির উপরে অত্যাচারকে অসহনীয় করে তুলেছে। ক্রমাগত অস্ত্রের সরবরাহ দিয়ে চলেছে আমেরিকা।

টুকরো আলাপ: বাংলা ভাষায় গুগল সার্চ

​​বাংলা ভাষায় গুগলে কিছু সার্চ দিতে গেলে আমি মাঝে মাঝেই কীবোর্ডে তাড়াতাড়ি করে শব্দগুলো চেপে যাই। নইলে শুধু দু'একটা অক্ষর সার্চ বক্সে থাকলে গুগলের সাজেশনে যা দেখি, তাতে ঘেন্নায় বমি-বমি লাগে। একটা গোটা জাতির কী টপিকে কত বেশি পছন্দ সেটা বেশ পরিষ্কার দেখা যায় গুগলের এইসব সার্চ কী-ওয়ার্ড দেখলে। আল্লাহ আমাদের বাংলাভাষী মানুষগুলোকে বেশি করে হিদায়াহ দিন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে হেফাজত করুন।

এদিকে মাঝে মাঝে আমার ব্লগগুলোতে স্ট্যাটিসটিকস চেক করে গিয়ে দেখি এমন সব নোংরা কী-ওয়ার্ড সার্চ করে লোকে গুগলে গিয়ে আমার ব্লগে এসেছে! ভুলপথে চলে আসা লোকগুলো হয়ত বোকা হয়ে গেছে এইসব ব্লগে এসে। কখনো কখনো না হেসে পারিনা কিছু সার্চ কী-ওয়ার্ড দেখে... এত সব অদ্ভুত চিন্তা মানুষ করে কীভাবে!! এই যেমন আজকে একজন সার্চ দিয়েছিলেন যা লিখে তা হলো--

"নাবালক মেয়ে বিয়ে করার উপায়"​

টুকরো আলাপ: ড বিলালের ঢাকা ভ্রমণ

​ড বিলাল ফিলিপস আমার জীবনে বড় একজন মানুষ। যখন জন্মসূত্রে মুসলিম থাকা বিচিত্র বিশ্বাস আর আচার-সংস্কৃতির মানুষদের মাঝে পড়ে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছিলাম তখন আল্লাহ এই মানুষটির লেকচারগুলো দিয়ে আমার জীবনে এক নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছিলেন। ঢাকায় ড. বিলালের লেকচারে উপস্থিত থাকার প্রবল ইচ্ছা ছিলো। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম মনে মনে। শেষ মূহুর্তে যখন শুনলাম প্রোগ্রাম ক্যানসেল হয়ে গেছে তখন খুব চমকে যাইনি, হতভম্ব হইনি। নষ্টদের টাকা খাওয়া মিথ্যার বেসাতি নিয়ে প্রচার করা জঘন্য এক অনলাইন পত্রিকা যখন তার আগমনের আগেই মিথ্যা ছড়াচ্ছিলো তখনই টের পেয়েছিলাম এই দেশের মাটির নষ্টগুলো সেটাকে কন্টকময় করবে। আল্লাহই উত্তম পরিকল্পনাকারী। আমরা তো বড়জোর চেষ্টা করতে পারি, সফলতার মালিক আল্লাহ। ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই মানুষগুলোর চাওয়াকে কবুল করে উত্তম প্রতিদান দিবেন যারা দ্বীনকে আরো ভালো করে বুঝতে আলোচনা শুনতে পরিকল্পনা করেছিলেন। মু'মিনদের পথ কখনই সহজ নয় কবরে পা দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত... আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাতি হিসেবে কবুল করুন, আল্লাহ আমাদেরকে নষ্ট-অভিশপ্ত-মিথ্যুক হওয়া ও তাদের প্রতি সমর্থনকারী হওয়া থেকেও হেফাজত করুন। নিশ্চয়ই আমাদের সকল নামাজ, প্রার্থনা, আমাদের সকল ত্যাগ, আমাদের জীবন ও আমাদের মরণ কেবলই আল্লাহর জন্য...

[২১ জুন, ২০১৪]

৩০ জুল, ২০১৪

মুখের দাড়ি যখন ফান

​​দাড়ি নিয়ে ফান করাটা বেশ অতিমাত্রায় চলছে ইদানিং। 'মিডিয়াওয়াশড' মুসলিম মনগুলো খুবই করুণাদায়ক। মাঝে মাঝে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক অসারতা, আত্মপরিচয়হীনতা দেখে হতভম্ব হয়ে করুণা অনুভব করি। কিন্তু করুণা করতে গিয়েও যন্ত্রণায় পড়ি। মানসিক দারিদ্রতায় আক্রান্ত এই ছেলেমেয়েগুলো আবার ইসলামের শত্রুতা করে অবলীলায়। তাই, এদের অজ্ঞতা আর শয়তানি কাজগুলোকে নিস্পাপ চোখে দেখা সম্ভব হয় না।

ঈদ : একাল ও সেকাল

​​হাজার কিম্ভুত টাইপের হলেও ছেলেবেলার ঈদ খুব বেশি ম্লান ছিলো না। ঈদের আগের রাতের মধ্যেই ঈদকার্ড বিতরণের একটা ব্যাপার ছিলো। ২ টাকা আর ৫ টাকায় কিছু কার্ড পাওয়া যেত। ৫ টাকার কার্ডগুলো এমবোস করা থাকতো। তখনো গোটা এলাকায় কিছু 'বাড়িওয়ালার' ছেলে ভাইয়েরা বিল্ডিং এর উপরে 'সাউন্ড বক্স' লাগিয়ে গান বাজাতো। সম্ভবত সেগুলোকে 'ডেক সেট' বলা হতো। বিটিভিতে অনুষ্ঠানের ঘোষিকাদের মাথার কাপড় ফেলে দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা দেয়ার ব্যাপারটা থাকত ঈদ হবে কিনা তা জানার মূল উৎস।

[গ্রন্থচারণ] বিয়ে - স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর : মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ


আজকে একটি বইয়ের ব্যাপারে লেখা প্রয়োজন মনে করছি যা এই সমাজে, এই সময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটির নাম "বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর" যা লিখেছেন শাইখ মির্জা ইয়াওয়ার বেগ। বিয়ে আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনের স্বপ্ন থাকে, একসময় সেটা আটপৌরে হয়ে যায়। নামকরণের দিক থেকে হিসেব করলে বইটি অসাধারণ হয়েছে এবং নামকরণ সার্থক হয়েছে। একজন মানুষ বিয়েকে স্বপ্ন হিসেবে কেমন করে, কী করে সুন্দর একটি বিয়ের দিকে আগানো যায় এবং বিয়ে যখন জীবনের একটা অংশ হয়ে যায় তখনো যে বিয়েকে নিজেদের উদ্যোগে কীভাবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। ইসলামী জ্ঞানে ভাস্বর লেখক অল্প কথায় ছোট কলেবরে তার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে দাম্পত্য নিয়ে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন এই বইটিতে।

২৭ জুল, ২০১৪

হামাস ও ইসরাইলের গাজা গণহত্যা নিয়ে কয়েকটি লিঙ্ক

​​​# প্রথম লিঙ্ক:
হামাস নেতা ওসামা হামদানের একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়েছে আল জাযিরাতে। অনেক কিছু জানার মতন আছে এতে, বিশেষ করে হামাসের বলিষ্ঠ ও অবিচল লক্ষ্য। অভিশপ্ত ইয়াহুদিরা সবসময়েই চুক্তি লঙ্ঘন করতো, যতবারই তারা চুক্তি করে, ততবারই লঙ্ঘন করে। ওদের এইসব ফানি চুক্তি নাটক হামাস মোটেই বিশ্বাস করে না।

যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা গাজা ছেড়ে দিচ্ছে এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাস্ট্রের উপরে অবৈধ দখল না ছাড়ছে, হামাস তাদের বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রাম করেই যাবে। আল্লাহ সকল মুজাহিদিনকে হেফাজত করুন এবং তাদের বিজয় দান করুন।

@ http://www.aljazeera.com/news/middleeast/2014/07/hamas-leader-israelis-are-playing-games-201472685657718753.html

​​​# দ্বিতীয় লিঙ্ক:
আলজাজিরা এরাবিক প্রথমে 'ম্যসাকার এট ডন' নামে এই অনুষ্ঠান প্রচার করে। পরে আলজাজিরা ইংলিশ এটার ইংরেজি ভার্সন তৈরি করেছে। সম্প্রতি ইসরাইল ফিলিস্তিনের Shujayea শহরে যে ম্যাসাকার করেছে এ ডকুমেন্টারিতে এর ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেদিন সকালে হামলার এক্সক্লুসিভ সব ফুটেজ রয়েছে এ ডকুমেন্টারিতে। এক কথায় ভয়াবহ!

@ http://www.aljazeera.com/programmes/specialseries/2014/2014/07/shujayea-massacre-at-dawn-201472621348901563.html

​​​# তৃতীয় লিঙ্ক:
বিবিসির সাথে হামাস নেতা খালিদ মিশালের একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছে।

@ http://www.bbc.co.uk/programmes/p023kld8

[২৭ জুলাই, ২০১৪]

ইসরাইলকে বয়কটের আন্দোলন

বিগত কিছুদিন যাবত গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা শুরু হবার পর থেকে অনলাইনে অফলাইনে ইসরাইলকে বয়কট সংক্রান্ত অনেক কিছু পড়েছি যার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। অনেক কোম্পানিই ইসরাইলে অর্থায়ন করে কিন্তু তাদের অথেনটিক একটি তালিকা অন্তত দরকার। এসব খোঁজাখুঁজিতে গিয়ে জানলাম বিডিএস মুভমেন্ট সম্পর্কে...

BDS Movement হলো বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের একটি সংগঠিত আন্দোলন। বিডিএস মুভমেন্ট সত্যিকারের বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট ও স্যাংকশনের মাধ্যমে ইসরাইলকে জবাব দেয়ার জন্য শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তারা বেশ সংগঠিত উপায়ে কাজ করে যাচ্ছে।

# ইসরাইলকে অর্থায়ন করা ৭টি কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে একটি তালিকা:
http://www.bdsmovement.net/2014/freedom-and-justice-for-gaza-boycott-action-against-7-complicit-companies-12386

এগুলোর মাঝে বাংলাদেশের ভোক্তা হিসেবে পরিচিত পণ্যের মাঝে আপাতত হিউলেট প্যাকার্ড (এইচপি) HP কোম্পানিটিকে পেলাম পেলাম, এছাড়া গ্রুপ ফোর (G4S) সিকিউরিটি কোম্পানি বাংলাদেশেও কাজ করে।

# BDS মুভমেন্টের ওয়েবসাইট: www.bdsmovement.net

২৬ জুল, ২০১৪

তারিক রমাদানের কবিতা: জীবন


জীবন
বাবা-মায়ের ইন্তেকাল করা এবং বিদায় নিতে দেখা
সন্তানদের বেড়ে ওঠা এবং বিদায় নিতে দেখা
নিজেদের বয়স বাড়তে দেখা এবং বিদায় নেয়া

কিছু মানুষ বিদায় নিবে এবং বেঁচে রবে
বাদবাকিরা চলে যাবে, ফিরবে না কোনদিন।

আমরা সবাই তাঁর
তার কাছেই ফিরে যাবো
তার মুখোমুখি হবো আমরা, একদম একা।

-- তারিক রমাদান

* * *
[ড. তারিক রমাদানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে 'LIFE' শিরোনামে একটি কবিতা প্রকাশিত হয় ২২ জুলাই, ২০১৪ তারিখে। বিষয়বস্তু ভালো লাগায় ধুম অনুবাদের চেষ্টা করলাম]

রাস্ট্রের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার মেশিন হিসেবে ব্যবহার হয় ইসরাইলি ছাত্ররা

​​​প্রথম খবরটা গতবছরের আগস্ট মাসের, পত্রিকাটা বৃটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট, যারা বরাত দিয়েছে ইসরাইলি পত্রিকা হারেটজকে। খবরে এসেছে, ইসরাইলি সরকার তাদের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় শত ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করবে যদি তারা বিদেশিদের কাছে ইসরাইলের ইমেজ রক্ষার জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেয় এবং টুইটারে টুইট দেয়। (বিস্তারিত পড়ুন: http://ow.ly/zBzp2)

২১ জুল, ২০১৪

গাজা গণহত্যা - ২০১৪: ডায়েরির পাতা থেকে


১০ জুলাই, ২০১৪

আজ কয়েকদিন ধরে ফিলিস্তিনে বোমা হামলা করছে নরাধম ইহুদিবাদী ইসরাইল নামক জারজ রাস্ট্রের এয়ারফোর্স, যারা বিশ্বের চতুর্থ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। এই বিপুল অস্ত্রধারী ও প্রযুক্তিময় ইতর আর্মি ও এয়ারফোর্সের প্রতিপক্ষ গাজা নামক এক শহর, যার লোকেরা নিরস্ত্র, যাকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কারাগার বলেন অনেকে। আকাশে মিসাইল আর রকেট উড়লে তাদের মৃত্যুর অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।

ক'দিন যাবত যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরাইল চায় না ফিলিস্তিনে নতুন প্রজন্ম আসুক। শিশুদের হত্যা করে, পুরুষদের কারাগারে নিয়ে অত্যাচার করে আহত-নিহত করে শেষ করে দিতে চায় পুরুষদের সংখ্যা যেন নতুন সন্তান না আসে পৃথিবীতে। এরাই সেই বনী ইসরাইলের বংশধর, যারা আল্লাহর নাফরমানী করাকেই নিজেদের কাজ হিসেবে ধরে নিয়েছিলো।

ইসরাইলি ইহুদিবাদী শয়তানগুলোর হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলার আজ কেউ নেই। গোটা পৃথিবী আজ ফুটবল নিয়ে কাতর। মেসি মেসি করতে করতে কেটে যায় বাংলার দামাল যুবক আর পুরুষগুলোর রাত। মিডিয়া এসব বিশ্বকাপমার্কা খবরের শিরোনামে ভরে রাখে পত্রিকার পাতাগুলো।

কৃতজ্ঞতা

আল্লাহর এক অসাধারণ নিয়ামাত ​বাতাসের মাঝে ডুবে থেকে আমরা বাতাসের মূল্য ও বিশুদ্ধ বাতাসের মর্ম বুঝিনা, কিন্তু কিছুটা হয়ত বুঝতে পারে তারা যখন কেউ থাকে অ্যাজমা রোগী, নাক দু'টোর ফুটোকে তখন সুঁইয়ের ডগার মতন ক্ষুদ্র ছিদ্র মনে হয়, বুক আকুলি-বিকুলি করতে থাকে একটু বাতাসের জন্য...

আমাদের জীবনের ভালোবাসার বা সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা বড্ড উদাসীন থাকি। অনেক মানুষদের কাছে পাওয়া আদর, যত্ন-আত্মি ভালোবাসাকে আমরা 'স্বাভাবিক' প্রাপ্তি হিসেবে হিসেব করে বেখেয়াল থাকি। অথচ মানুষের প্রতিটি সুন্দর আচরণই কষ্টের একটা ফলাফল। ভালো মানুষেরা সেগুলো নিয়মিত প্রচেষ্টার পরে তবেই অর্জন করেন। এমনকি মা-বাবার ভালোবাসাও সবক্ষেত্রে একই না। এই জগতেও অনেক মা-বাবা আছেন চরম বেখেয়াল, আবার অনেকে আছেন তাদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেন সন্তানের জন্য... তাই কোনকিছুই যে আপনাআপনি হয়না বা আমরা এমনিতেই পাইনা সে কথা আমাদের মাথায় রাখা উচিত।

আমাদের চারপাশে অনেক নিদর্শন আছে যা দেখে আমাদের বুঝে নেয়া উচিত আল্লাহর নিয়ামাত। মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত কেননা যে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ হয় না, সে আল্লাহর প্রতিও হয় না। একইভাবে, যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয় না, তার প্রকৃতপক্ষে বান্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হবার প্রশ্নই আসে না। আল্লাহ আমাদেরকে কৃতজ্ঞ বান্দা হবার তাওফিক দান করুন, অন্য বান্দাদের প্রতি সহমর্মী হবার তাওফিক দিন।

[১০ জুলাই, ২০১৪]