১৭ জুন, ২০১২

ইবনে তাইমিয়্যা প্রবচনগুচ্ছ


"কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে যেয়ো না। মনে রেখো,
অন্ধকারে তোমার নিজের ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।"

-- ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা

“আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা আর নিজেদের মাঝে বিভক্ত না হয়ে যাওয়া ইসলামের সবচেয়ে বড় উসূল (বুনিয়াদ) এর একটি ।”
– ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা


  "ঈমানদারদের জীবন ক্রমাগত বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করানো হয় তাদের ঈমানকে বিশুদ্ধ এবং তাদের পাপকে মোচন করানোর জন্য। কারণ, ঈমানদারগণ তাদের জীবনের প্রতিটি কাজ করেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য; আর তাই জীবনে সহ্য করা এই দুঃখ-কষ্টগুলোর জন্য তাদের পুরষ্কার দেয়া আল্লাহর জন্য অপরিহার্য হয়ে যায়।"
-- ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা



১৩ জুন, ২০১২

আটলান্টিক পারের আলোকবর্তিকাঃ সুহাইব ওয়েব

ইমাম সুহাইব ওয়েব, আমার প্রিয় একজন মানুষ। তাকে সামনাসামনি কোনদিন দেখিনি, তবে তার কাছে শিখেছি অনেক কিছু, পেয়েছি অনেক অনুপ্রেরণা। তিনি জন্মেছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মযাজক পরিবারে, এখন তিনি একজন আমেরিকান মুসলিম চিন্তাবিদ, প্রশিক্ষক এবং ইমাম। বড় একজন ইমাম হয়েও তরুণ প্রজন্মকে তিনি কাছে টেনে আনতে পেরেছেন নিজস্ব দক্ষতায়, ক্যারিশমাটিক আচরণে আর ভালোবাসায়। মার্কিন তরুণ-তরুণীরা যাদের আলোচনায়, ব্যাখ্যায়, উপস্থাপনায় ইসলামের মোহনীয়তা খুঁজে পেয়েছে, ডুবেছে মুগ্ধতায় -- সেই বিদগ্ধ জ্ঞানের মানুষদের মাঝে ইমাম সুহাইব ওয়েব একজন।

সমগ্র বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে তার অজস্র শিক্ষানবীসের দল। ইমাম সুহাইব সোশাল নেটওয়ার্ক ফেসবুক এবং টুইটারে বেশ নিয়মিত থাকেন, তিনি তার সাথে আলোচনায় সবাইকে সুযোগ দেন। তাকে তাই অনেকে বলে থাকেন -- "তরুণদের ইমাম"। সাম্প্রতিক সময়ে নুমান আলী খান এবং আব্দুল নাসির জান্দার সাথে "Amazed By The Quran" নামের একটা আয়োজনে অংশগ্রহণ করছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন কুরআনের গভীর সৌন্দর্য্য নিয়ে। এমন আয়োজন সমগ্র আমেরিকাতেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। থেকে অনেক দূরে থাকলেও কুরআন নিয়ে নুমান আলী খান, আব্দুল নাসির, সুহাইব ওয়েবদের অসাধারণ সেইসব আলোচনা দেখে উপকৃত হই আমরাও।

৫ জুন, ২০১২

হামিংবার্ড ও আমরা

 এই সময়ের প্রতিটা দিনই বেঁচে থাকা যেন আতঙ্কময়। পত্রিকার পাতা খুললেই খুন, ধর্ষণ, গুম, হত্যা নতুন করে বলে দেয়না সমাজের পরিস্থিতি। তার উপরে প্রতিটি পদেই রয়েছে ঘুষ-সুদ, ক্ষমতাধরদের মদদপুষ্ট লোকদের নির্লজ্জ ক্ষমতা প্রদর্শন ও দুর্নীতি। পথে-ঘাটে, বাসে-ট্রেনে মানুষ দেশের চলমান পরিস্থিতির উপর হতাশা প্রকাশ করেন অবলীলায়। বেশিরভাগ মানুষ মোটেই আশাবাদী না। তারা বুঝেন যে দেশের সবাই-ই প্রায় চোর। কেউ সুযোগ পেলে দুইটা টাকা মেরে দিতে ছাড়েন না। তাই এই দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেন ঢুকে গেছে। আইন আছে, প্রয়োগ নেই, পুলিশ আছে, তার উপরে জনগনের আস্থা নেই। ঘুরে ফিরে এই হতাশা আর নিরাশার দুষ্টচক্র থেকে বের হবার পথ কোথায় আমাদের? ছেলে-মেয়ে, প্রেমিক-প্রেমিকা সম্পর্কগুলো একেকটা নতুন নতুন পত্রিকার শিরোনামের জন্ম দিচ্ছে। পরকীয়া প্রেমের ফলে মারা যাচ্ছে মায়েরই সন্তান। এমন অজস্র নিরাশার গল্প চারপাশে।

১ জুন, ২০১২

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর


আমাদের চারপাশের মানুষগুলো থেকে আমরা কিছু মানুষ মনে হয় বুকের ভিতরে একটু ভিন্ন কিছু নিয়ে বেঁচে থাকি। এই বেঁচে থাকাতে জীবন-জীবিকার প্রতিদিনের যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া যায় না, একটা অন্যরকম প্রেরণা নিয়ে বেঁচে থাকা হয়। সেই প্রেরণা আত্মায় শান্তিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার। যখন আমাদেরই বন্ধু-আত্মীয়-কলিগ দারুণ কিছু ভোগ্যপণ্য গাড়ি-বাড়ি-শপিং করে আনন্দে গান ভাঁজতে ভাঁজতে বাড়ি ফেরে, চ্যানেলে দুইটা খুনের ঘটনা দেখে জগতকে গালি দিয়ে শাপ-শাপান্ত করে ঘুমাতে যায় -- তখন আমার ভাইবোনদের আত্মায় থাকে মহান আল্লাহর নাম। সমাজের সর্বস্তরে সবাই যখন যেকোন উপায়ে টাকা কামানো মূল লক্ষ্য হিসেবে ছুটতে থাকে -- তখনো আমরা প্রচন্ড চুজি হয়ে ভাবতে থাকি এই কলুষ বলয় থেকে কীভাবে বের হবো। কীভাবে এখানে স্থাপন করবো সবার জন্য কল্যাণময় একটা সিস্টেম।

কোথা থেকে আসে এই প্রেরণা?