গত জুমু'আ আদায় করলাম মিরপুরের একটা মসজিদে। একজন বৃদ্ধ ইমাম, খুতবার সময় বক্তব্যে তার ব্যক্তিত্ব এবং প্রজ্ঞার ছাপ সুস্পষ্ট ছিল। কিছুদিন যাবত আলহামদুলিল্লাহ ক্রমাগত অসাধারণ ইমামদের খুতবা শোনার সৌভাগ্য হচ্ছে, যা বিগত অর্ধযুগে হয়নি বললেই চলে।
সেদিন খতীব মসজিদে উপবিষ্ট তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ খুতবা দিচ্ছিলেন, তারুণ্যের অনেকগুলো ইস্যু ছিলো। একসময় তিনি হঠাৎ বিয়ের অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন। সেই এলাকায় সাম্প্রতিক বিয়ের অনুষ্ঠানের ডামাডোল, হিন্দি গানের অতিপ্রভাব, জলবৎ তরলং উপায়ে অর্থের অপচয় সংক্রান্ত বিষয়গুলো, বিধর্মী সংস্কৃতির বিষয়ও উল্লেখ করলেন এবং সুন্নাহর সাথে তার সুস্পষ্ট বিরোধ তুলে ধরলেন। এত আন্তরিক স্নেহমাখা কন্ঠে "বাবারা, তোমরা বিষয়গুলো বুঝলে তোমাদেরই কল্যাণ হবে" বলছিলেন যে তা হৃদয়স্পর্শ করা মতন, সুবহানাল্লাহ!
একসময় বিয়ের অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার কুপ্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়েরা এখন সেজে বসে থাকে, সবাই ছেলেমেয়ে সবাই সেখানে তাকে দেখতে আসে। এরকম অনুষ্ঠানগুলোতে অন্যান্য নারীরাও সেজেগুজে আসে। এমন তো হতেই পারে যে হয়ত বরের নববধূর চাইতে অধিক আকর্ষণীয়া সুন্দরী হয়ত অনুষ্ঠানেই আরেকজন কেউ। তখন সেই ছেলেটির হয়ত তার স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ ও মুগ্ধতা কমে যাবে। ইসলামি সংস্কৃতি এরকম পরিস্থিতিকে তৈরি হবার সুযোগ দেয়না। আমাদের সংস্কৃতি পুরোটাই কল্যাণময়।
চিন্তা করছিলাম, এইভাবে কখনো আমি ভেবে দেখিনি আগে। আমাদের মুসলিম সমাজে ছেলেরা কেবল একটা মানুষের জন্যই অপেক্ষা করে জীবনে, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশাতেই তাকে সাথে নিয়ে সংসার জীবনের যাত্রা শুরু করে। ঐ একটা মানবী ছাড়া আর কারো দিকে তারা দৃষ্টিকে নিবদ্ধও করবে না। তাই সৌন্দর্যের তুলনামূলক যাচাই বাছাই তার চিন্তাতেও থাকবে না। এখনকার সময়ের অজস্র সংসার ভাঙ্গার কারণ হচ্ছে বিবাহপূর্ব এবং পরবর্তী এমন অনেক আসক্তি। মুসলিম পুরুষের ক্ষেত্রে, সংসারের তার অর্ধাঙ্গিনী তার মানসিক, শারীরিক আত্মিক জীবনের সঙ্গী। এই যাত্রাটি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই। যে তার জীবনসঙ্গিনী সে তো কেবলই রূপসংশ্লিষ্ট নয়, সে তার সংসারের কর্ত্রী, তার অনন্তযাত্রার সহযাত্রী।
শো-অফের এই নষ্ট সংস্কৃতিতে ডুবে থাকা ছেলেমেয়েরা কল্পনাও করতে পারবে না, আবেগগুলোকে যখন যত্ন করে সাজিয়ে রাখা হয়, তখন সেই আবেগের স্পর্শ পেলে মনটা কতটা উদ্বেল হয়, হৃদয় কতটা আনন্দের পরশ পায়। তবে নিঃসন্দেহে, যারা আল্লাহর জন্য নিজেদের জীবনকে সংযত রাখে, যারা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলোতেও সচেতন থাকে, আল্লাহ তাদের অন্তরে প্রশান্তির ঝর্ণাধারা বইয়ে দেন। আল্লাহ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে অশ্লীলতা, নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াহ দিন এবং কেবল তারই সন্তুষ্টির জন্য জীবনকে পরিচালিত করার তাওফিক দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহর হাতেই সর্বময় ক্ষমতা এবং তিনিই আমাদের জীবনের একমাত্র মালিক।
১০ মার্চ, ২০১৩
সেদিন খতীব মসজিদে উপবিষ্ট তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ খুতবা দিচ্ছিলেন, তারুণ্যের অনেকগুলো ইস্যু ছিলো। একসময় তিনি হঠাৎ বিয়ের অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন। সেই এলাকায় সাম্প্রতিক বিয়ের অনুষ্ঠানের ডামাডোল, হিন্দি গানের অতিপ্রভাব, জলবৎ তরলং উপায়ে অর্থের অপচয় সংক্রান্ত বিষয়গুলো, বিধর্মী সংস্কৃতির বিষয়ও উল্লেখ করলেন এবং সুন্নাহর সাথে তার সুস্পষ্ট বিরোধ তুলে ধরলেন। এত আন্তরিক স্নেহমাখা কন্ঠে "বাবারা, তোমরা বিষয়গুলো বুঝলে তোমাদেরই কল্যাণ হবে" বলছিলেন যে তা হৃদয়স্পর্শ করা মতন, সুবহানাল্লাহ!
একসময় বিয়ের অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার কুপ্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়েরা এখন সেজে বসে থাকে, সবাই ছেলেমেয়ে সবাই সেখানে তাকে দেখতে আসে। এরকম অনুষ্ঠানগুলোতে অন্যান্য নারীরাও সেজেগুজে আসে। এমন তো হতেই পারে যে হয়ত বরের নববধূর চাইতে অধিক আকর্ষণীয়া সুন্দরী হয়ত অনুষ্ঠানেই আরেকজন কেউ। তখন সেই ছেলেটির হয়ত তার স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ ও মুগ্ধতা কমে যাবে। ইসলামি সংস্কৃতি এরকম পরিস্থিতিকে তৈরি হবার সুযোগ দেয়না। আমাদের সংস্কৃতি পুরোটাই কল্যাণময়।
চিন্তা করছিলাম, এইভাবে কখনো আমি ভেবে দেখিনি আগে। আমাদের মুসলিম সমাজে ছেলেরা কেবল একটা মানুষের জন্যই অপেক্ষা করে জীবনে, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশাতেই তাকে সাথে নিয়ে সংসার জীবনের যাত্রা শুরু করে। ঐ একটা মানবী ছাড়া আর কারো দিকে তারা দৃষ্টিকে নিবদ্ধও করবে না। তাই সৌন্দর্যের তুলনামূলক যাচাই বাছাই তার চিন্তাতেও থাকবে না। এখনকার সময়ের অজস্র সংসার ভাঙ্গার কারণ হচ্ছে বিবাহপূর্ব এবং পরবর্তী এমন অনেক আসক্তি। মুসলিম পুরুষের ক্ষেত্রে, সংসারের তার অর্ধাঙ্গিনী তার মানসিক, শারীরিক আত্মিক জীবনের সঙ্গী। এই যাত্রাটি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই। যে তার জীবনসঙ্গিনী সে তো কেবলই রূপসংশ্লিষ্ট নয়, সে তার সংসারের কর্ত্রী, তার অনন্তযাত্রার সহযাত্রী।
শো-অফের এই নষ্ট সংস্কৃতিতে ডুবে থাকা ছেলেমেয়েরা কল্পনাও করতে পারবে না, আবেগগুলোকে যখন যত্ন করে সাজিয়ে রাখা হয়, তখন সেই আবেগের স্পর্শ পেলে মনটা কতটা উদ্বেল হয়, হৃদয় কতটা আনন্দের পরশ পায়। তবে নিঃসন্দেহে, যারা আল্লাহর জন্য নিজেদের জীবনকে সংযত রাখে, যারা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলোতেও সচেতন থাকে, আল্লাহ তাদের অন্তরে প্রশান্তির ঝর্ণাধারা বইয়ে দেন। আল্লাহ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে অশ্লীলতা, নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াহ দিন এবং কেবল তারই সন্তুষ্টির জন্য জীবনকে পরিচালিত করার তাওফিক দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহর হাতেই সর্বময় ক্ষমতা এবং তিনিই আমাদের জীবনের একমাত্র মালিক।
১০ মার্চ, ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে