১১ মার্চ, ২০১৩

এই আসমানে অসঙ্গতি খুঁজে ব্যর্থ আমার চোখ

সূরা মুলকের প্রথম চারটি আয়াতের উপরে দারসুল কুরআনে প্রায় দু'ঘন্টা কেটে গেছে বিগত দুই সপ্তাহে আমাদের এলাকার মসজিদে। এরপর থেকে মুসহাফ খুলে মন্ত্রমুগ্ধের মতন পড়তে থাকি, "তাবারাকাল্লাযি..." -- তিনি মৃত্যুকে সৃষ্টির কথা আগে বলেছেন, এরপরে জীবনের কথা উল্লেখ করেছেন। এই আয়াতখানি নিয়েই আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম। এখন বাংলা অনুবাদ আর তাফসির পড়তে গিয়ে হারিয়ে যাই নতুন নতুন উপলব্ধিতে। আমাদের রাহমান আমাদের বলেছেন, তার সৃষ্টিতে অসঙ্গতি দেখতে পাই কিনা সেকথা ভাবতে। পাইনি কখনো হে রব। আপনার সৃষ্টি অত্যন্ত সুনিপুণ, সুন্দর। এই সুন্দর যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কতই না সুন্দর। ত্রুটি খুঁজতে গিয়ে আমার চোখ ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। আমি আমার রবের বিশালত্ব আর শ্রেষ্টত্বকে নতুন করেই অনুভব করেছি। আমাদের ক্ষুদ্র হৃদয়ের গোটা অনুভবেই আপনি জুড়ে রেখেছেন ভালোবাসায়, বিশালতায়, দয়ার্দ্রতায়। আমাদের এই আকাশ, এই নক্ষত্র, এই নীল, এই মেঘ, এই বৃষ্টি, এই রৌদ্রছায়া, এই আকাশের পাখি, এই দিগন্ত -- সবকিছুই আপনার অপার সৌন্দর্যময়তার প্রকাশ করে। আমরা আপনার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বান্দা, আমাদের দয়া করুন হে রাহমান...

♥"অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি যাঁর হাতে রয়েছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের কর্তৃত্ব। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতা রাখেন। কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য  তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীলও। তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন। তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি? তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে।"♥
---[সূরা আল মুলক: ১-৪] 

.
১১ মার্চ, ২০১৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে