রাত গড়িয়ে চলেছে। আমরাও বোধহয় ফেসবুকে, ব্লগে, মেসেঞ্জারে ঘাঁটি গেঁড়ে বসি। এই জগতে আমাদের
বেশিরভাগ সময় যে অবশ্যই উত্তম উপায়ে যায় না, তাতে সন্দেহ নেই। আমার
পরিষ্কার মনে আছে, পূর্বের জীবনে কখনো রাত না জাগা আমি ভার্সিটির হলে থাকতে
থাকতে একসময় ১টা/২টা বাজলে ঘুমাতে যেতাম। সেই দিনগুলোকে দুঃসহ স্মৃতিময়
বলে মনে হয় এখন। এলোমেলো রুটিনবিহীন।
জানিনা আমরা মুসলিমরা সবাই আদৌ সবাই ফজরে উঠে সালাত আদায় করি কিনা, অথবা হয়ত কোনরকম সালাতটা সেরেই ঘুম দিই। জানিনা ভোরবেলা দিনের শুরুতে তারতীলের সাথে কুরআন তিলাওয়াত আমরা করি কিনা। ফজরের পরে অন্তরের দরদ ঢেলে কুরআন তিলাওয়াত করার সৌভাগ্যটুকু অর্জনের চেষ্টা হয়ত খুব কম মানুষই করি। অথচ, এই আমার মতন অভাগার জীবন কেমন করে সফল, অর্থপূর্ণ, শান্তির হবে -- তা জানিয়ে লিখে রেখে দিয়েছেন আমার রব, আমারই জন্য --এটা ভাবলেই কুরআন হাতে নিয়ে মনটা কেমন উদাস হয়ে যায় । অনুশোচনা হয় অতীত জীবনের নষ্ট করা সময়ের জন্য, নিজের উদাসীনতা আর ঔদ্ধ্যত্বের জন্য, রাগ হয় নিজের আলসেমির উপরে।
রাতে আগে ঘুমিয়ে পড়াই কল্যাণকর। ভোরে আগে ওঠাই উচিত, আরো বেশি প্রয়োজন শেষ রাতে ওঠা। কিয়ামুল লাইলে দাঁড়িয়ে থাকা। এরপর, ফজরের পরের সুন্দর পরিবেশে কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করে তার তাফসীর পড়া হবে দিনের শ্রেষ্ঠ উদবোধন, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্দরতম অভ্যাসগুলো অর্জনের তাওফিক দিন।
এই উপলক্ষে কিছু স্মরণিকা -- শ্রেষ্ঠ মানুষ, জীবনের প্রতিটি কাজে যিনি আমাদের প্রতি অনাবিল ভালোবাসা রেখে গিয়েছেন, তিনি আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেছেনঃ
♥ "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে সে আল্লাহর দায়িত্বের মধ্যে শামিল হয়ে যায়। কাজেই হে বনী আদম! চিন্তা কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে নিজের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত কোন জিনিস চেয়ে না বসেন।" [মুসলিম]
♥ "যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে সালাত আদায় করে সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত।" [মুসলিম]
♥ “তোমরা আল কুরআন পড়। কারণ কিয়ামাতের দিন আল কুরআন তার পাঠকারীর জন্য শাফা’আতকারী হিসেবে আবির্ভূত হবে।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন থেকে সংগৃহীত।
১২ মার্চ, ২০১৩
জানিনা আমরা মুসলিমরা সবাই আদৌ সবাই ফজরে উঠে সালাত আদায় করি কিনা, অথবা হয়ত কোনরকম সালাতটা সেরেই ঘুম দিই। জানিনা ভোরবেলা দিনের শুরুতে তারতীলের সাথে কুরআন তিলাওয়াত আমরা করি কিনা। ফজরের পরে অন্তরের দরদ ঢেলে কুরআন তিলাওয়াত করার সৌভাগ্যটুকু অর্জনের চেষ্টা হয়ত খুব কম মানুষই করি। অথচ, এই আমার মতন অভাগার জীবন কেমন করে সফল, অর্থপূর্ণ, শান্তির হবে -- তা জানিয়ে লিখে রেখে দিয়েছেন আমার রব, আমারই জন্য --এটা ভাবলেই কুরআন হাতে নিয়ে মনটা কেমন উদাস হয়ে যায় । অনুশোচনা হয় অতীত জীবনের নষ্ট করা সময়ের জন্য, নিজের উদাসীনতা আর ঔদ্ধ্যত্বের জন্য, রাগ হয় নিজের আলসেমির উপরে।
রাতে আগে ঘুমিয়ে পড়াই কল্যাণকর। ভোরে আগে ওঠাই উচিত, আরো বেশি প্রয়োজন শেষ রাতে ওঠা। কিয়ামুল লাইলে দাঁড়িয়ে থাকা। এরপর, ফজরের পরের সুন্দর পরিবেশে কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করে তার তাফসীর পড়া হবে দিনের শ্রেষ্ঠ উদবোধন, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্দরতম অভ্যাসগুলো অর্জনের তাওফিক দিন।
এই উপলক্ষে কিছু স্মরণিকা -- শ্রেষ্ঠ মানুষ, জীবনের প্রতিটি কাজে যিনি আমাদের প্রতি অনাবিল ভালোবাসা রেখে গিয়েছেন, তিনি আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেছেনঃ
♥ "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে সে আল্লাহর দায়িত্বের মধ্যে শামিল হয়ে যায়। কাজেই হে বনী আদম! চিন্তা কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে নিজের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত কোন জিনিস চেয়ে না বসেন।" [মুসলিম]
♥ "যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে সালাত আদায় করে সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত।" [মুসলিম]
♥ “তোমরা আল কুরআন পড়। কারণ কিয়ামাতের দিন আল কুরআন তার পাঠকারীর জন্য শাফা’আতকারী হিসেবে আবির্ভূত হবে।” [মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন থেকে সংগৃহীত।
১২ মার্চ, ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে