২৬ মার্চ, ২০১৩

ধাক্কা শহর

শহরের বাইরে গ্রাম এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবন কাটিয়েছিলাম, চোখের দেখায় তরুণ-তরুণীদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলো আর চলমান সংস্কৃতি নিয়ে অনেক চিন্তা থেকে কিছু লিখেছিলাম কয়েক বছর আগে। ইদানিং অফিস থেকে বাসা যাতায়াতেই জীবন বন্দী হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে বের হই পথে, নতদৃষ্টিতে পথচলার পরেও বৃষ্টিভেজা বিকেলে পথিমধ্যে, আশেপাশের রিকসায়, গাছের নিচে, ভবনের ভেতরে উদ্দাম অন্তরঙ্গতার এমন সব বিষয় চোখে পড়ে, যা থেকে আর চিন্তা জাগেনা। আজকে ঢাবিতে একটা কাজে গিয়েছিলাম, কিছু দৃশ্য চোখে পড়ে গেলো যেখান থেকে চোখ সরাতে গিয়েই ভয়াবহতা ভেবে আমার মনে হয় পেটের ভেতরের খাবারগুলো পাক খেয়ে বেরিয়ে আসবে। বিবশ আমার মাথায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে দু'আ করা ছাড়া আর কোন চিন্তা আসে না, আসেনি আজকেও।

এখনকার অবস্থা নিয়ে কিছু লেখা/চিন্তা করতেও পারিনা, তার আগেই কেমন চিন্তাশূণ্য অসার হয়ে যাই, আতঙ্কে নীল হয়ে যাওয়া হয়ত একেই বলে। আজকে যখন হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিলো, তখন নিজেকে আশ্বস্ত করলাম এটা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যে নিশ্চয়ই এইসব সময়েও অজস্র সুন্দর মন আল্লাহর বাণীকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চায়, পবিত্র থাকতে চায়। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দারা আখিরাত পর্যন্তই থাকবে তাদের পবিত্রতা, সুন্দর মন, সুন্দর আত্মা নিয়ে। আল্লাহ পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন, আল্লাহ আমাদেরকে যিনা-ব্যাভিচার-নির্লজ্জতা-নিষিদ্ধ শারীরিক উষ্ণতায় ডুবে যাওয়া প্রজন্মকে হিদায়াহ দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহর হাতেই সর্বময় ক্ষমতা, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে পথ দেখান, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই যিনি আমাদেরকে রক্ষা করতে পারেন।

২২ মার্চ ২০১৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে