{ ক }
তরুণদের টগবগে রক্ত, অনেক শক্তি, অনেক আবেগ, উন্মাদনায় সহজেই উথলে পড়ে চেতনা -- তাই আমাদের দ্বীনের শৃংখলার দিকে ভ্রূক্ষেপ করা হয়না। আমরা ঠিক পাত্তা দিতে চাইনা। অথচ, এই যুবক বয়সের ইবাদাত আর দ্বীনের কাজকে আল্লাহ সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন।
মাঝে মাঝে চেষ্টা করতে করতে আমাদের মনে হতে পারে, আমরা বুঝি কোন উন্নতিই করছিনা। ক্লান্ত লাগতে পারে ক্রমাগত প্রচেষ্টার পরেও উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন জীবনে দেখতে না পেয়ে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা সঠিক নয়। যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন চেষ্টা কেউ করে, সেইই তো সফল। এই দুনিয়ায় কেবলমাত্র আল্লাহ তা'আলার পছন্দের কাজের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন করার উদ্দেশ্যে যদি ঘর থেকে একটা পা দিয়ে কেউ বের হয় -- সেই মানুষটি তার জীবনের সবচাইতে বড় সফলতায় থাকে সেই মূহুর্তটায়।
আসলে, ক্লান্ত হবার এই বিভ্রমটা কেটে যাবে যখন একটুখানি অবসর নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করব আমরা, আর তার কাছে ফিরে যাবার সেই মূহুর্ত অর্থাৎ মৃত্যু এবং তার পরের জীবনের কথা ভাববো। কিছু তো অর্জন করার চেষ্টা করছি আমরা, তাইনা? হোক না সেটা অনেক ছোট কিছু। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, খেজুর সাদাকা করে হলেও যেন আমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচি...
আসলে কোন পরিশ্রম বৃথা যায়না, আল্লাহর পথে তো প্রতিটি অর্থ ব্যয় প্রকৃতপক্ষে আমাদের আখিরাতের অ্যাকাউন্টে জমা করা। জ্ঞানের পথে, ইবাদাতের পথে ব্যয় করা প্রতিটি মূহুর্ত আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। আর কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা আমরা টের পাই অনেকদিন পর। যখন ভুলে ডুবে থাকা জীবনের মূহুর্তের সাথে এই 'চেষ্টা করতে থাকা' মূহুর্তগুলোর অনুভূতির পার্থক্য অনুভব করি, তখন বোঝা যায়। যার হৃদয়ে আল্লাহ থাকে, তার হৃদয়ই তো পূর্ণ। যার জীবনে আল্লাহর স্মরণ থাকে, সে তো সবচেয়ে সফল!
{ খ }
Leaving a Legacy [http://youtube.com/watch?v=B_GmrGr1Brc] শিরোনামে ইমাম সুহাইব ওয়েবের এই আলোচনাটি আজকে প্রায় তৃতীয়বারের মতন শুনলাম। সুবহানাল্লাহ! চিন্তার জগতে ঝড় এলো যেন! অনুপ্রেরণা, উদ্দীপনা, অনেক শেখার জন্য ও কাজের জন্য ইচ্ছে জেগে উঠলো। আজকে প্রায় ৭ পৃষ্ঠা নোট করলাম আলোচনা শুনতে শুনতে।
সত্যিই আমাদের ভালো কাজগুলো আসলে আমাদের প্রকৃত সেভিংস, যা চিরন্তন ভালো বয়ে আনবে আমাদের জন্য। আমাদের মধ্যে সেই মানুষগুলোই সেরা যাদের চরিত্র সুন্দর, যাদের দ্বারা অন্যেরা অনেক বেশি উপকৃত হয়। ইসলাম আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দিয়েছে -- এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তো বটেই, এমনকি প্রাণীকূলের জন্যেও তা কল্যাণ বয়ে আনে আর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আমাদের তো এটাই দায়িত্ব হবার কথা, আমরা বিস্মৃত হয়ে রই যেন! প্রতিটি কাজই যেন হয় ভালো, নয়ত অকল্যাণকে প্রতিহত করা। আমাদের ছোট ছোট ভালো কাজগুলোই আমাদের জমিয়ে রাখা ঐশ্বর্য, যা রয়ে যাবে অনন্তকালের প্রয়োজনে। কী দারুণ একটা ব্যাপার!!
আজকে নতুন রূপে আরেকবার অনুপ্রাণিত হলাম কুরআনের প্রেমে ডুবে থাকার ব্যাপারে। কখনো কি এভাবে ভেবে দেখেছি যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যে আমার জন্য, এই আমার জন্য এই কুরআনের কথাগুলো রেখে দিয়েছেন, যেন তা পড়ি, তার কথাগুলোকে অন্তরে গেঁথে নিই আর জীবনকে ধারণ করি। প্রিয়জনের চিঠি হাতে পেলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা পড়ে ফেলি, আমরা কি আল্লাহর পাঠানো এই বাণী পড়তে অমন রোমাঞ্চ আর ভালোবাসা নিয়ে বইটি হাতে তুলে নিই? আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তাওফিক দিন।
হিদায়াহ শব্দটি এসেছে 'হাদিয়া' থেকে। আমরা যে উপলব্ধি করতে পারছি আল্লাহর রাহমাতের কথা, প্রয়োজন অনুভব করছি নিজেদের উন্নত করার -- এটা আমাদের মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার এক উপহার। উপহারের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে যত্ন নিয়ে কাজে না লাগালে কেমন করে হবে?
তরুণদের টগবগে রক্ত, অনেক শক্তি, অনেক আবেগ, উন্মাদনায় সহজেই উথলে পড়ে চেতনা -- তাই আমাদের দ্বীনের শৃংখলার দিকে ভ্রূক্ষেপ করা হয়না। আমরা ঠিক পাত্তা দিতে চাইনা। অথচ, এই যুবক বয়সের ইবাদাত আর দ্বীনের কাজকে আল্লাহ সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন।
মাঝে মাঝে চেষ্টা করতে করতে আমাদের মনে হতে পারে, আমরা বুঝি কোন উন্নতিই করছিনা। ক্লান্ত লাগতে পারে ক্রমাগত প্রচেষ্টার পরেও উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন জীবনে দেখতে না পেয়ে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা সঠিক নয়। যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন চেষ্টা কেউ করে, সেইই তো সফল। এই দুনিয়ায় কেবলমাত্র আল্লাহ তা'আলার পছন্দের কাজের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন করার উদ্দেশ্যে যদি ঘর থেকে একটা পা দিয়ে কেউ বের হয় -- সেই মানুষটি তার জীবনের সবচাইতে বড় সফলতায় থাকে সেই মূহুর্তটায়।
আসলে, ক্লান্ত হবার এই বিভ্রমটা কেটে যাবে যখন একটুখানি অবসর নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করব আমরা, আর তার কাছে ফিরে যাবার সেই মূহুর্ত অর্থাৎ মৃত্যু এবং তার পরের জীবনের কথা ভাববো। কিছু তো অর্জন করার চেষ্টা করছি আমরা, তাইনা? হোক না সেটা অনেক ছোট কিছু। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, খেজুর সাদাকা করে হলেও যেন আমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচি...
আসলে কোন পরিশ্রম বৃথা যায়না, আল্লাহর পথে তো প্রতিটি অর্থ ব্যয় প্রকৃতপক্ষে আমাদের আখিরাতের অ্যাকাউন্টে জমা করা। জ্ঞানের পথে, ইবাদাতের পথে ব্যয় করা প্রতিটি মূহুর্ত আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। আর কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা আমরা টের পাই অনেকদিন পর। যখন ভুলে ডুবে থাকা জীবনের মূহুর্তের সাথে এই 'চেষ্টা করতে থাকা' মূহুর্তগুলোর অনুভূতির পার্থক্য অনুভব করি, তখন বোঝা যায়। যার হৃদয়ে আল্লাহ থাকে, তার হৃদয়ই তো পূর্ণ। যার জীবনে আল্লাহর স্মরণ থাকে, সে তো সবচেয়ে সফল!
{ খ }
Leaving a Legacy [http://youtube.com/watch?v=B_GmrGr1Brc] শিরোনামে ইমাম সুহাইব ওয়েবের এই আলোচনাটি আজকে প্রায় তৃতীয়বারের মতন শুনলাম। সুবহানাল্লাহ! চিন্তার জগতে ঝড় এলো যেন! অনুপ্রেরণা, উদ্দীপনা, অনেক শেখার জন্য ও কাজের জন্য ইচ্ছে জেগে উঠলো। আজকে প্রায় ৭ পৃষ্ঠা নোট করলাম আলোচনা শুনতে শুনতে।
সত্যিই আমাদের ভালো কাজগুলো আসলে আমাদের প্রকৃত সেভিংস, যা চিরন্তন ভালো বয়ে আনবে আমাদের জন্য। আমাদের মধ্যে সেই মানুষগুলোই সেরা যাদের চরিত্র সুন্দর, যাদের দ্বারা অন্যেরা অনেক বেশি উপকৃত হয়। ইসলাম আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দিয়েছে -- এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তো বটেই, এমনকি প্রাণীকূলের জন্যেও তা কল্যাণ বয়ে আনে আর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আমাদের তো এটাই দায়িত্ব হবার কথা, আমরা বিস্মৃত হয়ে রই যেন! প্রতিটি কাজই যেন হয় ভালো, নয়ত অকল্যাণকে প্রতিহত করা। আমাদের ছোট ছোট ভালো কাজগুলোই আমাদের জমিয়ে রাখা ঐশ্বর্য, যা রয়ে যাবে অনন্তকালের প্রয়োজনে। কী দারুণ একটা ব্যাপার!!
আজকে নতুন রূপে আরেকবার অনুপ্রাণিত হলাম কুরআনের প্রেমে ডুবে থাকার ব্যাপারে। কখনো কি এভাবে ভেবে দেখেছি যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যে আমার জন্য, এই আমার জন্য এই কুরআনের কথাগুলো রেখে দিয়েছেন, যেন তা পড়ি, তার কথাগুলোকে অন্তরে গেঁথে নিই আর জীবনকে ধারণ করি। প্রিয়জনের চিঠি হাতে পেলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা পড়ে ফেলি, আমরা কি আল্লাহর পাঠানো এই বাণী পড়তে অমন রোমাঞ্চ আর ভালোবাসা নিয়ে বইটি হাতে তুলে নিই? আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তাওফিক দিন।
হিদায়াহ শব্দটি এসেছে 'হাদিয়া' থেকে। আমরা যে উপলব্ধি করতে পারছি আল্লাহর রাহমাতের কথা, প্রয়োজন অনুভব করছি নিজেদের উন্নত করার -- এটা আমাদের মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার এক উপহার। উপহারের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে যত্ন নিয়ে কাজে না লাগালে কেমন করে হবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে