জীবনে আমি অনেক কিছুর জন্য আফসোস করেছি। অন্যতম একটার কথা আজকে সায়্যিদিনা লুত আলাইহিস সালামের জীবন সম্পর্কে জানতে গিয়ে আলোচনার সময় মনে পড়লো। তা হলো -- লজ্জা। ক্লাস সেভেন-এইটে পড়তাম যখন, বন্ধুদের অনেকেই মেয়েদের নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করলে লজ্জা পেতাম। বয়ঃসন্ধিকালের অনেক বড়দের সামনে বলা নিষিদ্ধ কথাবার্তাতেও ভীষণ লজ্জা হত। লজ্জার কারণে আমাকে খোঁটা মেরে 'লজ্জাবতী' বলে ডাকত বন্ধুদের অনেকে। 'আরে ব্যাটা ছেলে হইসিস এত লাজুক হইলে চলে? -- আমার পৌরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এমন মন্তব্যে পরের অনেক বছর লজ্জা দূরীকরণে অনেক 'পদক্ষেপ' নিয়ে ফেলেছিলাম। হায় আফসোস। চলমান অতি-আধুনিক অসভ্য সমাজের অনেক কিছুতেই আমি এতটাই মিশে স্বাভাবিক হয়ে গেছি, যা হয়ত একসময় আমার কাছে দুঃস্বপ্ন ছিল।
অথচ ক'দিন আগে দু'টো হাদিস পড়ছিলাম রিয়াদুস সলিহীন থেকে। আমাদের দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষটা লজ্জার ব্যাপারে কেমন ছিলেন জানার পরে কষ্টে বারবার মনে হচ্ছিল -- যা ছিল তাকে ধরে রাখলে কতটাই না ভালো হত। যা চলে গেছে, তাকে ফিরিয়ে আনা বড়ই কষ্টসাধ্য। কোথায় যেন পড়েছিলাম, আমাদের দ্বীনের একটা অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য হচ্ছে -- 'হায়া' বা লজ্জা। এই জিনিসের উপস্থিতিই আমাদের দ্বীনকে সুন্দর করে। দ্বীনদার মানুষদেরকেও সুন্দর করে। চারপাশের জগতে মনে হয় এই জিনিসটা ছেলে-মেয়ে ব্যতিরেকে সবার মধ্য থেকেই বিলুপ্ত হবার পথে। যেদিন হিসেবের মুখোমুখি হতে হবে, কী নিয়ে যাব আমরা আল্লাহর কাছে? চেষ্টা কি করি?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
♥ "লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে" [বুখারী ও মুসলিম]
মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ "লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।"♥
#রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮২
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
♥ "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হলে তাঁর চেহারা দেখেই আমরা তা (তাঁর অসন্তুষ্টি) আঁচ করে নিতাম।" ♥ [বুখারী, মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮৪
বিশেষজ্ঞ আলিমগণ লজ্জাশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ এটি এমন একটি গুণ যা ঘৃণিত ও বর্জনীয় জিনিস পরিহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং প্রাপকের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে বাধ্য করে। আবুল কাসিম জুনাইদ (র) লজ্জাশীলতার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ
লজ্জাশীলতা হলো, মানুষ প্রথমত আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ্য করবে, তারপর নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা।
অথচ ক'দিন আগে দু'টো হাদিস পড়ছিলাম রিয়াদুস সলিহীন থেকে। আমাদের দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষটা লজ্জার ব্যাপারে কেমন ছিলেন জানার পরে কষ্টে বারবার মনে হচ্ছিল -- যা ছিল তাকে ধরে রাখলে কতটাই না ভালো হত। যা চলে গেছে, তাকে ফিরিয়ে আনা বড়ই কষ্টসাধ্য। কোথায় যেন পড়েছিলাম, আমাদের দ্বীনের একটা অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য হচ্ছে -- 'হায়া' বা লজ্জা। এই জিনিসের উপস্থিতিই আমাদের দ্বীনকে সুন্দর করে। দ্বীনদার মানুষদেরকেও সুন্দর করে। চারপাশের জগতে মনে হয় এই জিনিসটা ছেলে-মেয়ে ব্যতিরেকে সবার মধ্য থেকেই বিলুপ্ত হবার পথে। যেদিন হিসেবের মুখোমুখি হতে হবে, কী নিয়ে যাব আমরা আল্লাহর কাছে? চেষ্টা কি করি?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
♥ "লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে" [বুখারী ও মুসলিম]
মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ "লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।"♥
#রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮২
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
♥ "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হলে তাঁর চেহারা দেখেই আমরা তা (তাঁর অসন্তুষ্টি) আঁচ করে নিতাম।" ♥ [বুখারী, মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮৪
বিশেষজ্ঞ আলিমগণ লজ্জাশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ এটি এমন একটি গুণ যা ঘৃণিত ও বর্জনীয় জিনিস পরিহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং প্রাপকের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে বাধ্য করে। আবুল কাসিম জুনাইদ (র) লজ্জাশীলতার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ
লজ্জাশীলতা হলো, মানুষ প্রথমত আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ্য করবে, তারপর নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে