কিছু বিচ্ছিন্ন অথচ তীব্র উপলব্ধি হলো গতকাল থেকে। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) এর জীবনের উপরে একটা বই পড়তে শুরু করেছি। ত্রয়োদশ শতকের সময়গুলো চোখে যেন ভেসে উঠছিল। অদ্ভুত কষ্ট বারবার আমাকে আঁকড়ে ধরছিল। বিগত প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে আমি আছি অতীতে। ইমাম আনওয়ার আল আওলাকীর আলোচনায় নবী-রাসূলদের জীবন, আর এদিকে হাতে আমার এই বই। চোখের সামনে শুধু ইতিহাসের প্রতিবিম্ব দেখতে পাচ্ছি যেন। একদিকে হযরত আদম আলাইহিস সালাম, নূহ (আ), হুদ (আ), সালেহ(আ), ইবরাহিম(আ), লূত(আ) পেরিয়ে হযরত শু'আইব আলাইহিস সালামের জীবন জানতে গিয়ে বারবারই যেন পরিষ্কার হচ্ছিলাম -- আমাদের চলমান সমাজের সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যাবলীর প্রতিচ্ছবি আমাদের পূর্ববর্তী নবী ও রাসূলদের জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। ইদানিং পড়তে গিয়ে আমার প্রচন্ড আফসোস হয়, এতগুলা বছর নষ্ট করেছি জীবনে -- তেমন কিছুই জানিনা। জীবনে আমি কতবারই তো বলেছি, আমার আদর্শ নবী ও রাসূলগণ এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অথচ আমি তাদেরই কিছু জানিনা। আর জানিনা বলেই কাজের ক্ষেত্রে চরম শৈথিল্য ও দুর্বলতা কাজ করে। আসলে আমাদের জ্ঞানের দৈন্যতা কল্পনাতীত। কুরআনের, নবী-রাসূলদের সীরাহ-র জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।
আরেকটা ক্রিটিক্যাল বিষয়। ইমাম সুহাইব ওয়েবের Leaving a Legacy [www.youtube.com/watch?v=B_GmrGr1Brc] নামের অ-সা-ধারণ একটা ভিডিও দেখলাম। ইমাম সুহাইবকে ভালো লাগে তার উপস্থাপনাতে আমি এত বহুমাত্রিক উপলব্ধি করতে শিখি, তা আর কখনো কারো কাছে পাইনা, পাইনি। উপলব্ধিকে নাড়া দিয়েছে এমন একটা বিষয় উল্লেখ করব। ইমাম সুহাইব একজন কনভার্ট মুসলিম, তিনি ইসলামে নতুন আসার পরে মাযহাব সংক্রান্ত ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা বলছিলেন। কনভার্টের জীবন দূরে থাক, আমাদের প্রতিটি মুসলিমকে দ্বীন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেই বিশাল একটা সময় এই চ্যালেঞ্জের মাঝে পার করতে হয়। আমি বুঝলাম, এই বিষয়ে তো রাতারাতি কিছু করার নেই, সমগ্র সিস্টেমটাতেই সংকীর্ণ মনের মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই মন ধরে উদার করার উপায়ও নেই রাতারাতি। তবে এতে নিজের জন্য একটা উপদেশ পেয়েছি -- একজন শাইখ বলেছিলেন যে তার সমস্ত ছাত্ররাই সঠিক জ্ঞান লাভ করে এগিয়ে যেতে পেরেছে কেবল তারা ব্যতীত, যারা স্কলারদের মধ্যকার মতপার্থক্যগুলো নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে প্রথম থেকেই। আমি চাইনা জ্ঞানের পথ থেকে ঝরে পড়তে।
নিঃসন্দেহে প্রতিটি মানুষই ভুল করে। শ্রেষ্ঠ মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই যিনি ভুলের উর্ধে, তাই স্কলারদেরকে নির্ভুল চিন্তা করাটাই বোকামি। অথচ তারা হলেন সেই চাঁদের মতন, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জ্ঞানের আলো আমাদের মাঝে প্রতিফলিত করেন। এই ফিলিংসটা আরো জাগছিল যখন কাল পড়ছিলাম, ইমাম ইবনে তাইমিয়া কিছু বিষয়ে ইমাম আল গাজ্জালির মতামতের বিরোধিতা করেছিলেন দেখে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। এমনকি, সুফী স্কলারদের একজন ইবনু আতাইল্লাহ আল ইস্কান্দারি তার মানুষজনদের প্রতিনিধি হয়ে মিশরের সুলতানের কাছে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামে অভিযোগ করেন, যা নিয়ে পরে সভা বসে, তাতে যুক্তিতর্ক দিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়। এই দুইজন মানুষই জ্ঞানের রাজ্যে আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। আল্লাহ তাদের জীবনকে কবুল করুন। অথচ আমরা এতই মূর্খ যে কিছু না জেনে বুঝেই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করি। আসলেই, যে নদীর কম গভীর, তার শব্দ বেশি। আমার আজকে সত্যিই ইমাম ইবনু তাইমিয়ার একটা উক্তি মনে পড়ছে যার বঙ্গানুবাদটা এরকম -- "জ্ঞানার্জন ছাড়া দিক-নির্দেশনা অর্জন করা যায় না। আর ধৈর্যধারণ ছাড়া সঠিক পথের দিশা অর্জন করা যায়না।"
আরেকটা ক্রিটিক্যাল বিষয়। ইমাম সুহাইব ওয়েবের Leaving a Legacy [www.youtube.com/watch?v=B_GmrGr1Brc] নামের অ-সা-ধারণ একটা ভিডিও দেখলাম। ইমাম সুহাইবকে ভালো লাগে তার উপস্থাপনাতে আমি এত বহুমাত্রিক উপলব্ধি করতে শিখি, তা আর কখনো কারো কাছে পাইনা, পাইনি। উপলব্ধিকে নাড়া দিয়েছে এমন একটা বিষয় উল্লেখ করব। ইমাম সুহাইব একজন কনভার্ট মুসলিম, তিনি ইসলামে নতুন আসার পরে মাযহাব সংক্রান্ত ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা বলছিলেন। কনভার্টের জীবন দূরে থাক, আমাদের প্রতিটি মুসলিমকে দ্বীন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেই বিশাল একটা সময় এই চ্যালেঞ্জের মাঝে পার করতে হয়। আমি বুঝলাম, এই বিষয়ে তো রাতারাতি কিছু করার নেই, সমগ্র সিস্টেমটাতেই সংকীর্ণ মনের মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই মন ধরে উদার করার উপায়ও নেই রাতারাতি। তবে এতে নিজের জন্য একটা উপদেশ পেয়েছি -- একজন শাইখ বলেছিলেন যে তার সমস্ত ছাত্ররাই সঠিক জ্ঞান লাভ করে এগিয়ে যেতে পেরেছে কেবল তারা ব্যতীত, যারা স্কলারদের মধ্যকার মতপার্থক্যগুলো নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে প্রথম থেকেই। আমি চাইনা জ্ঞানের পথ থেকে ঝরে পড়তে।
নিঃসন্দেহে প্রতিটি মানুষই ভুল করে। শ্রেষ্ঠ মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই যিনি ভুলের উর্ধে, তাই স্কলারদেরকে নির্ভুল চিন্তা করাটাই বোকামি। অথচ তারা হলেন সেই চাঁদের মতন, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জ্ঞানের আলো আমাদের মাঝে প্রতিফলিত করেন। এই ফিলিংসটা আরো জাগছিল যখন কাল পড়ছিলাম, ইমাম ইবনে তাইমিয়া কিছু বিষয়ে ইমাম আল গাজ্জালির মতামতের বিরোধিতা করেছিলেন দেখে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। এমনকি, সুফী স্কলারদের একজন ইবনু আতাইল্লাহ আল ইস্কান্দারি তার মানুষজনদের প্রতিনিধি হয়ে মিশরের সুলতানের কাছে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামে অভিযোগ করেন, যা নিয়ে পরে সভা বসে, তাতে যুক্তিতর্ক দিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়। এই দুইজন মানুষই জ্ঞানের রাজ্যে আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। আল্লাহ তাদের জীবনকে কবুল করুন। অথচ আমরা এতই মূর্খ যে কিছু না জেনে বুঝেই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করি। আসলেই, যে নদীর কম গভীর, তার শব্দ বেশি। আমার আজকে সত্যিই ইমাম ইবনু তাইমিয়ার একটা উক্তি মনে পড়ছে যার বঙ্গানুবাদটা এরকম -- "জ্ঞানার্জন ছাড়া দিক-নির্দেশনা অর্জন করা যায় না। আর ধৈর্যধারণ ছাড়া সঠিক পথের দিশা অর্জন করা যায়না।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে