ঘুরে-ফিরে খুব পরিষ্কার করে উপলব্ধি হয়, প্রতিটি মানুষ আসলে খুবই অসহায় আর দুর্বল। এই পৃথিবীতে একজন মানুষের কোনই শক্তি নেই, সে আপনাকে সাহায্য করার সামর্থ্য রাখেনা, আপনাকে যত্ন-আত্মি ও ভালোবাসার নিশ্চয়তা দিতে পারেনা। তবু অনেক ভুল ধারণার বিভ্রমে আমরা দিব্যি ডুবে থাকি, তার অনেকগুলো কারণের একটা হলো আমরা কারো জীবনের সবটুকু জানতে পারিনা, দেখিনা। প্রতিটি মানুষই সবসময়েই একটা যুদ্ধের মধ্যেই দিনাতিপাত করেন। এর মধ্যে যেই মানুষগুলো নিজেকে ছাপিয়ে অন্যের উপকারার্থে কাজ করেন, নিজেদের বিলিয়ে দেন -- তাদেরকে দেখলে আমাদের চোখের আলো জ্বলে উঠে, আমাদের অন্তরে ঢেউ খেলে যায়। এই মানুষগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর রাহমাত, কিন্তু তারাও দুর্বল। একটা ছোট্ট রোগ এলেই তারা ধরাশায়ী হয়ে যেতে পারেন। আমাদের শক্তির সীমানা খুবই সীমিত।
আমরা মূলত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার সীমাহীন করুণা ও ভালোবাসায় সিক্ত। যখন একটা রাহমাত জীবন থেকে তিনি তুলে নেন, অথবা আরেকটা বড়ো কোন পরীক্ষার মুখোমুখি করে দেন, তখন আমাদের বিভ্রম দূর হয়ে যায়। অন্য কারো উপরে তাই নির্ভর করার কিছু নেই। নির্ভরতার পরম যোগ্য কেবলমাত্র তিনিই। তাঁকে ডাকলেই তিনি সাড়া দেন। তার দিকে হেটে এগিয়ে গেলে তিনি দৌড়ে আসেন, তাকে স্মরণ করলে তিনিও আমাদের স্মরণ করেন। তিনি প্রেমময়, ক্ষমাশীল। তার কোন অভাব নেই, তিনিই একমাত্র দাতা। কোন কিছু চাইতে হলে তার কাছেই চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র রক্ষণাবেক্ষক। তিনিই আমাদের একমাত্র নির্ভরতা, নিরাপত্তার মালিক। তিনি হও বললে হয়ে যায়। আমাদের অকৃতজ্ঞ আর কৃপন অন্তর তবু হাত তুলে তার কাছে চায়না। সিজদায় লুটিয়ে পড়ে চোখের পানি ঝরিয়ে না চেয়ে আমরা মানুষের কাছে আহাজারি করি অভাবের কষ্টে।
কত বড় আমাদের অভাব? কত বড় আমাদের কষ্ট? তা কি তার এই অনন্ত শক্তির অপার সৃষ্টিজগতের চাইতে বড়? অথচ, তিনি চাইলেই শুণ্য অন্তর পূর্ণ হয়ে যেতে পারে পরম প্রশান্তিতে। এমনকি, তার রাহমাত এতই বিশাল যে, সেই পূর্ণতা পেয়ে আমাদের মনে হবে আমরা হয়ত কোনদিনই অভাবী ছিলাম না। যিনি এই সমস্ত সৃষ্টির মালিক, তিনি পারেন না এমন কিছু কি আছে? যার এত ভালোবাসায় সিক্ত আমাদের জীবন, তাকে খুশি করতে ইচ্ছে করেনা তবু আমাদের? তবু কেন অকৃতজ্ঞ আমাদের অন্তর? সালাত আদায়ের করে সাহায্য চাইতে কেন কৃপণ এই হাত দু'টো? হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন, আমাদের অন্তরে প্রশান্তি দান করুন।
২৭ জানুয়ারি, ২০১৩
আমরা মূলত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার সীমাহীন করুণা ও ভালোবাসায় সিক্ত। যখন একটা রাহমাত জীবন থেকে তিনি তুলে নেন, অথবা আরেকটা বড়ো কোন পরীক্ষার মুখোমুখি করে দেন, তখন আমাদের বিভ্রম দূর হয়ে যায়। অন্য কারো উপরে তাই নির্ভর করার কিছু নেই। নির্ভরতার পরম যোগ্য কেবলমাত্র তিনিই। তাঁকে ডাকলেই তিনি সাড়া দেন। তার দিকে হেটে এগিয়ে গেলে তিনি দৌড়ে আসেন, তাকে স্মরণ করলে তিনিও আমাদের স্মরণ করেন। তিনি প্রেমময়, ক্ষমাশীল। তার কোন অভাব নেই, তিনিই একমাত্র দাতা। কোন কিছু চাইতে হলে তার কাছেই চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র রক্ষণাবেক্ষক। তিনিই আমাদের একমাত্র নির্ভরতা, নিরাপত্তার মালিক। তিনি হও বললে হয়ে যায়। আমাদের অকৃতজ্ঞ আর কৃপন অন্তর তবু হাত তুলে তার কাছে চায়না। সিজদায় লুটিয়ে পড়ে চোখের পানি ঝরিয়ে না চেয়ে আমরা মানুষের কাছে আহাজারি করি অভাবের কষ্টে।
কত বড় আমাদের অভাব? কত বড় আমাদের কষ্ট? তা কি তার এই অনন্ত শক্তির অপার সৃষ্টিজগতের চাইতে বড়? অথচ, তিনি চাইলেই শুণ্য অন্তর পূর্ণ হয়ে যেতে পারে পরম প্রশান্তিতে। এমনকি, তার রাহমাত এতই বিশাল যে, সেই পূর্ণতা পেয়ে আমাদের মনে হবে আমরা হয়ত কোনদিনই অভাবী ছিলাম না। যিনি এই সমস্ত সৃষ্টির মালিক, তিনি পারেন না এমন কিছু কি আছে? যার এত ভালোবাসায় সিক্ত আমাদের জীবন, তাকে খুশি করতে ইচ্ছে করেনা তবু আমাদের? তবু কেন অকৃতজ্ঞ আমাদের অন্তর? সালাত আদায়ের করে সাহায্য চাইতে কেন কৃপণ এই হাত দু'টো? হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন, আমাদের অন্তরে প্রশান্তি দান করুন।
২৭ জানুয়ারি, ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে