হীরার টুকরার মতন মুল্যবান একটা বাণী বুকে গেঁথে পথ চলার চেষ্টা করা উচিত আমাদের, সেটা হলোঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
♥ “তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” ♥ [বুখারী ও মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন ১৮৩
আমি আজকে কিছু লিখতে চাইনি। দিনে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছি বাসে চড়ে। যাত্রাপথে চলার সময় বেশ কয়েকবার কিছু অনুভূতি আর ভাবনা খুব নাড়া দিয়েছে --
মনে হয়েছে, এমনি করেই কোন এক পথে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে, আমি কি অযু করে বের হয়েছিলাম পথে? আমি কি আমার সর্বশেষ নামাজটা আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করে খুব মন দিয়ে আদায় করেছিলাম? আমি কি কারো প্রাপ্য পাওনা না দিয়ে নষ্ট করে পথ চলছি? আমি কি এই মূহুর্তেই মৃত্যুর বড় একটা মুসিবাতের মুখোমুখি হলে শাহাদাতের কালিমা মুখে উচ্চারণ করে বিদায় নিতে পারব মাটির পৃথিবী? আমি কি বুকের গহীনে খোদাই করতে পেরেছি মহান আল্লাহর একক ক্ষমতার বিশালত্ব, মহত্ব, ভালোবাসার পরিচয়গুলো? আমি কি তাকে ছাড়া আর কারো উপরে নির্ভর করি? আমি কি বিপদে পড়লে তার কাছেই সাহায্য চাই? নাকি অন্য কোন নশ্বর বস্তু/মানুষকে আমার ত্রানকর্তা হিসেবে ভাবি?
লিখতে এসে কিছুটা সাহিত্য বলে মনে হলেও, মৃত্যু মূহুর্ত নিয়ে এর চাইতেও গভীর করে উপলব্ধি করতে শিখেছি ইমাম আনওয়ার আল আওলাকির (রাহিমাহুল্লাহ) The Hereafter [আখিরাহ] লেকচার সিরিজে। এই সিরিজটা শুনতে যাবার আগে আমার কল্পনা ছিলনা যে জ্ঞান-অনুভূতি-আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ এতটা সুন্দর আর অসাধারণ হতে পারে বক্তার শব্দোচ্চারণ এবং শ্রোতার হৃদয়ে প্রোথিত হয়ে যাবার মাধ্যমে। লেকচার সিরিজটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করেছেন, তাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন। আল্লাহর ডাকে চলে যাওয়া এই ইমামের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আল্লাহ কবুল করে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।
মুসলিম উম্মাহকে জেগে উঠতে, জীবনের প্রকৃত অর্থকে বুঝাতে, অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে মুক্তির দিকে আহবান করাতে এমন যত প্রচেষ্টা আছে পৃথিবীতে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাদের কবুল করে পথ দেখিয়া তা পৃথিবীবাসীর কাছে ছড়িয়ে দিন।
♥ রত্নভান্ডারের চাবি : http://kalamullah.com/ anwar-alawlaki.html > THE HEREAFTER
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
♥ “তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” ♥ [বুখারী ও মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন ১৮৩
আমি আজকে কিছু লিখতে চাইনি। দিনে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছি বাসে চড়ে। যাত্রাপথে চলার সময় বেশ কয়েকবার কিছু অনুভূতি আর ভাবনা খুব নাড়া দিয়েছে --
মনে হয়েছে, এমনি করেই কোন এক পথে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে, আমি কি অযু করে বের হয়েছিলাম পথে? আমি কি আমার সর্বশেষ নামাজটা আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করে খুব মন দিয়ে আদায় করেছিলাম? আমি কি কারো প্রাপ্য পাওনা না দিয়ে নষ্ট করে পথ চলছি? আমি কি এই মূহুর্তেই মৃত্যুর বড় একটা মুসিবাতের মুখোমুখি হলে শাহাদাতের কালিমা মুখে উচ্চারণ করে বিদায় নিতে পারব মাটির পৃথিবী? আমি কি বুকের গহীনে খোদাই করতে পেরেছি মহান আল্লাহর একক ক্ষমতার বিশালত্ব, মহত্ব, ভালোবাসার পরিচয়গুলো? আমি কি তাকে ছাড়া আর কারো উপরে নির্ভর করি? আমি কি বিপদে পড়লে তার কাছেই সাহায্য চাই? নাকি অন্য কোন নশ্বর বস্তু/মানুষকে আমার ত্রানকর্তা হিসেবে ভাবি?
লিখতে এসে কিছুটা সাহিত্য বলে মনে হলেও, মৃত্যু মূহুর্ত নিয়ে এর চাইতেও গভীর করে উপলব্ধি করতে শিখেছি ইমাম আনওয়ার আল আওলাকির (রাহিমাহুল্লাহ) The Hereafter [আখিরাহ] লেকচার সিরিজে। এই সিরিজটা শুনতে যাবার আগে আমার কল্পনা ছিলনা যে জ্ঞান-অনুভূতি-আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ এতটা সুন্দর আর অসাধারণ হতে পারে বক্তার শব্দোচ্চারণ এবং শ্রোতার হৃদয়ে প্রোথিত হয়ে যাবার মাধ্যমে। লেকচার সিরিজটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করেছেন, তাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন। আল্লাহর ডাকে চলে যাওয়া এই ইমামের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আল্লাহ কবুল করে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।
মুসলিম উম্মাহকে জেগে উঠতে, জীবনের প্রকৃত অর্থকে বুঝাতে, অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে মুক্তির দিকে আহবান করাতে এমন যত প্রচেষ্টা আছে পৃথিবীতে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাদের কবুল করে পথ দেখিয়া তা পৃথিবীবাসীর কাছে ছড়িয়ে দিন।
♥ রত্নভান্ডারের চাবি : http://kalamullah.com/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে