আল্লাহর সাথে অভিমান করে নামাজ না পড়া -- এই জিনিসটা যে আমি কত কত মানুষের মাঝে দেখেছি তার ইয়ত্তা নাই। আমার লাইফে এমন কেন হলো -- এই বলে নামাজ নাই, বিশেষ কিছু ইবাদাহ করা হত, সেটাও ছেড়ে দেয়ার মতন কাজ অহরহ করে সবাই। আমিও এই সাইকোলজির বাইরে ছিলাম না। মজার ব্যাপার হলো, সবাই কমবেশি বুঝে যে এটা ঈমানের দুর্বলতার একটা প্রতিচ্ছবি। তারপরেও ভিতর থেকে আগ্রহ আসে না, চেয়ে চেয়ে সবাই শয়তানকে প্রশ্রয় দিতে থাকে।
এরকম পরিস্থিতিতে শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে প্রতিরোধ করতে শুধু মনে করিয়ে দিতে হবে নিজেকে -- আমি যদি আজকেই আল্লাহর ডাক পাই, আমি কি প্রস্তুত? আমার জীবনে যেই শত-শত মূহুর্তে আল্লাহ আমাকে বেইজ্জতি থেকে, মৃত্যু থেকে, বিপদ থেকে, অভাব থেকে, অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে রাহমাত দিলেন তার কৃতজ্ঞতা কি আমার এই আচরণ? আমি কি আমার সুস্থ হাত পাওয়ার, চোখ পাওয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কিছু করার উত্তর দিতে পারব? আমার কি চোখে পড়েনি রাস্তার ধারে পড়ে থাকা সেই মানুষগুলো যাদের পা নেই, হাত নেই -- তবু তারা আল্লাহ আল্লাহ নাম বলে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে? আমাদেরকে নামাজের কাছে ফিরে যেতে হবে যা মন্দ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।
মূলত অজ্ঞানতাই আমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আমাদের উচিত হবে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করতে থাকা, সেটা যেই স্কেলেই হোক না কেন। কখনই হাল ছেড়ে দেয়া উচিত না। যত ছোট কাজই হোক, একটা ভালো কাজকেও হেলাফেলা করা উচিত না। বলা যায়না, হয়ত এই ভালো কাজটা, অন্য মানুষের জন্য করা দু'আ আমার জন্যেই পার্থক্য সৃষ্টি করে দিতে পারে। আর ঈমানের দুর্বলতার অনেকগুলো কারণ আছে, সেগুলোর সাথে যুদ্ধ করতে হবে। সেগুলোর একটা হলো জ্ঞান কম থাকা। আল্লাহর এই পৃথিবীতে জ্ঞানার্জন করতে গেলে বুঝা যায়, তিনি কত মহান। সর্বজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ কত মহান, কত বিশাল। যিনি এই বিশাল জ্ঞানভান্ডারের মালিক, তিনি না জানি কত সুন্দর আর কত মহান! সুন্দর একটা প্রবচন --
“আমি যতই জ্ঞান অর্জন করি, আমার বিশ্বাস ততই দৃঢ় হয়। আমি যতই শিখি, আমি ততই সুন্দর করে আল্লাহর ইবাদাত করতে পারি। কারণ, প্রকৃতপক্ষে সমস্ত জ্ঞানের মহাজ্ঞানী আল্লাহ। আমি জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে যা করতে চাই তা হলো — তাঁর কাছে যাওয়া”
---- তারিক রামাদান | Tariq Ramadan
এরকম পরিস্থিতিতে শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে প্রতিরোধ করতে শুধু মনে করিয়ে দিতে হবে নিজেকে -- আমি যদি আজকেই আল্লাহর ডাক পাই, আমি কি প্রস্তুত? আমার জীবনে যেই শত-শত মূহুর্তে আল্লাহ আমাকে বেইজ্জতি থেকে, মৃত্যু থেকে, বিপদ থেকে, অভাব থেকে, অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে রাহমাত দিলেন তার কৃতজ্ঞতা কি আমার এই আচরণ? আমি কি আমার সুস্থ হাত পাওয়ার, চোখ পাওয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কিছু করার উত্তর দিতে পারব? আমার কি চোখে পড়েনি রাস্তার ধারে পড়ে থাকা সেই মানুষগুলো যাদের পা নেই, হাত নেই -- তবু তারা আল্লাহ আল্লাহ নাম বলে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে? আমাদেরকে নামাজের কাছে ফিরে যেতে হবে যা মন্দ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।
মূলত অজ্ঞানতাই আমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আমাদের উচিত হবে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করতে থাকা, সেটা যেই স্কেলেই হোক না কেন। কখনই হাল ছেড়ে দেয়া উচিত না। যত ছোট কাজই হোক, একটা ভালো কাজকেও হেলাফেলা করা উচিত না। বলা যায়না, হয়ত এই ভালো কাজটা, অন্য মানুষের জন্য করা দু'আ আমার জন্যেই পার্থক্য সৃষ্টি করে দিতে পারে। আর ঈমানের দুর্বলতার অনেকগুলো কারণ আছে, সেগুলোর সাথে যুদ্ধ করতে হবে। সেগুলোর একটা হলো জ্ঞান কম থাকা। আল্লাহর এই পৃথিবীতে জ্ঞানার্জন করতে গেলে বুঝা যায়, তিনি কত মহান। সর্বজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ কত মহান, কত বিশাল। যিনি এই বিশাল জ্ঞানভান্ডারের মালিক, তিনি না জানি কত সুন্দর আর কত মহান! সুন্দর একটা প্রবচন --
“আমি যতই জ্ঞান অর্জন করি, আমার বিশ্বাস ততই দৃঢ় হয়। আমি যতই শিখি, আমি ততই সুন্দর করে আল্লাহর ইবাদাত করতে পারি। কারণ, প্রকৃতপক্ষে সমস্ত জ্ঞানের মহাজ্ঞানী আল্লাহ। আমি জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে যা করতে চাই তা হলো — তাঁর কাছে যাওয়া”
---- তারিক রামাদান | Tariq Ramadan
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে