আজকে ক'জন অন্তরালোকিত মানুষের সাথে কিছু ঘন্টা কাটানোর পরে মনে হচ্ছিলো,
শুধু আজকের এমন একটা সন্ধ্যার, এরকম কিছু সুন্দরতম আলোকজ্জ্বল, জ্ঞানগর্ভ,
বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণময় আড্ডাবাজির একটা আকাঙ্ক্ষা আমার অনেক অনেক বছর ধরে
ছিলো মনের মাঝে। 'অবশেষে আমি পাইলাম, আমি ইহারে পাইলাম'। আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার অশেষ রাহমাত তো চিন্তা করেও কুলাতে পারিনা।
বাসায় ফেরার সময় হঠাৎ মনে হচ্ছিলো, জীবনে এমন কিছু লোকের সাথে আমার বছরের
পর পছর উঠতে বসতে হয়েছে -- যারা প্রায় প্রতিটি বিষয়ের সমালোচনা করে, গালি
দিয়ে কথা বলত। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে সেইসবের মাঝে কাটালেও খুব ইচ্ছা করত,
শুদ্ধভাষী প্রাঞ্জল মন-প্রাণের সচ্চরিত্র মানুষদের মাঝে কিছু সময় কাটানো না
জানি কত সুন্দর!
ফেরার পথে একটা ব্যাপার ভাবছিলাম, আমরা কেন অনেক নেগেটিভ আলাপ করি? এই বিশ্বব্রহ্মান্ড কি আমাদের হাতে? এই বিশাল পৃথিবীর বিশাল দেশগুলোর বিশাল একেকটা শহরের কোটি কোটি মানুষের মাঝে একেবারেই ক্ষমতাহীন হতদরিদ্র দুর্বল মানুষ আমি। আমার সর্বোচ্চ সীমানা আমার কাজ, আমার বুকের ভিতরের আর্তিগুলো। কখনো আমরা কিছু মানুষ একসাথে হতে পারি, বেশিরভাগ সময়েই সবার মাঝেই বৈচিত্র্য থাকে। জীবন-সম্পর্ক, সম্পদ-দেশ-রাজনীতি নিয়ে হতাশার পর হতাশা আর দুশ্চিন্তা করে বছরের পর বছর অতিক্রান্ত করে দিয়ে ধুম করে মরে গেলে কী লাভ? বেশিরভাগ সময়েই আমরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করিনা -- কেন এই জীবন? কেন আজকে আমি এই কাজ করছি? কেন আমি অমুকের সাথে এরকম ব্যবহার করছি? আমরা কেউ বেশিদিন থাকব না। জগতের সবকিছুর ভারে নুয়ে পড়লে আমাদের চলে না। আবার উদ্ধত আচরণে সবকিছুকে ভুলে যা তা করলে তো অবশ্যই চলবে না।
আমাদের হাতে সুন্দর একটা উপায় আছে -- কাজ করা, অবদান রাখা। চারপাশের মানুষদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দেয়া। মু'মিন বান্দার হারানোর কিছু থাকেনা। তার জীবনের কঠিন সময়, দুঃখ-কষ্ট সবকিছুরই অর্থ থাকে। এই সবই আল্লাহর নির্দেশে হচ্ছে এবং তার কাছেই ফিরে যাব সবাই। তাই খারাপ সময়গুলোতেও ভালো লুকিয়ে থাকে এভাবেই যে -- এই কাজের দৃষ্টিভঙ্গিটুকুই আমাদের জীবনের অনন্ত সময়ে ফল বয়ে আনবে।
দুনিয়ার কিছু কি থাকে? আদ,সামুদ নেই, ফারাওদের কেউ নেই, কিছুই থাকেনা। সারা দুনিয়াকে আতঙ্কিত করে রাখা মানুষও হারিয়ে যায় একদম, আর আমরা তো কতই ছোট। আচ্ছা, এই গভীরতম উপলব্ধিগুলো আসতেই খেয়াল হলো -- 'হুমম, এরকম শিক্ষাই তো পেয়েছিলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানুষটির কাছে যিনি আমাদেরকে শিখিয়েছিলেন সবকিছুকে কঠিন না করে সহজ করতে, সুসংবাদ দিতে এবং ভীতি না ছড়াতে'। সুন্দর কথা ও আশা ছড়ানো মানুষদের সাথে থাকলে দুঃখ-ভারাক্রান্ত মানুষের শক্তিও অনেকগুণ বেড়ে যায়।
যিনি সুন্দর কথা বলেন, তিনি তো ফলবান গাছ লাগান, যার ফল তো আখিরাতে বেড়েই চলে, বাড়ে আল্লাহর কাছে পুরষ্কারের সম্ভাবনা। ভালো কথা কেন বলব না? কেন আশা আর স্বপ্নের কথা বলব না? হৃদয়ে যার আল্লাহ থাকে, তার তো অনন্ত জগতে শুধুই সফলতা। এরপরেও যদি না পারি সফলদের মানসিকতা ধারণ করতে, কীভাবে দাবী করব অন্তরে আল্লাহ আছেন?
[সর্বপ্রথম নিজের জন্য কঠঠিন এই স্মরণিকা]
* * *
স্বপ্ন কারখানা, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ঈসায়ী
ফেরার পথে একটা ব্যাপার ভাবছিলাম, আমরা কেন অনেক নেগেটিভ আলাপ করি? এই বিশ্বব্রহ্মান্ড কি আমাদের হাতে? এই বিশাল পৃথিবীর বিশাল দেশগুলোর বিশাল একেকটা শহরের কোটি কোটি মানুষের মাঝে একেবারেই ক্ষমতাহীন হতদরিদ্র দুর্বল মানুষ আমি। আমার সর্বোচ্চ সীমানা আমার কাজ, আমার বুকের ভিতরের আর্তিগুলো। কখনো আমরা কিছু মানুষ একসাথে হতে পারি, বেশিরভাগ সময়েই সবার মাঝেই বৈচিত্র্য থাকে। জীবন-সম্পর্ক, সম্পদ-দেশ-রাজনীতি নিয়ে হতাশার পর হতাশা আর দুশ্চিন্তা করে বছরের পর বছর অতিক্রান্ত করে দিয়ে ধুম করে মরে গেলে কী লাভ? বেশিরভাগ সময়েই আমরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করিনা -- কেন এই জীবন? কেন আজকে আমি এই কাজ করছি? কেন আমি অমুকের সাথে এরকম ব্যবহার করছি? আমরা কেউ বেশিদিন থাকব না। জগতের সবকিছুর ভারে নুয়ে পড়লে আমাদের চলে না। আবার উদ্ধত আচরণে সবকিছুকে ভুলে যা তা করলে তো অবশ্যই চলবে না।
আমাদের হাতে সুন্দর একটা উপায় আছে -- কাজ করা, অবদান রাখা। চারপাশের মানুষদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দেয়া। মু'মিন বান্দার হারানোর কিছু থাকেনা। তার জীবনের কঠিন সময়, দুঃখ-কষ্ট সবকিছুরই অর্থ থাকে। এই সবই আল্লাহর নির্দেশে হচ্ছে এবং তার কাছেই ফিরে যাব সবাই। তাই খারাপ সময়গুলোতেও ভালো লুকিয়ে থাকে এভাবেই যে -- এই কাজের দৃষ্টিভঙ্গিটুকুই আমাদের জীবনের অনন্ত সময়ে ফল বয়ে আনবে।
দুনিয়ার কিছু কি থাকে? আদ,সামুদ নেই, ফারাওদের কেউ নেই, কিছুই থাকেনা। সারা দুনিয়াকে আতঙ্কিত করে রাখা মানুষও হারিয়ে যায় একদম, আর আমরা তো কতই ছোট। আচ্ছা, এই গভীরতম উপলব্ধিগুলো আসতেই খেয়াল হলো -- 'হুমম, এরকম শিক্ষাই তো পেয়েছিলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানুষটির কাছে যিনি আমাদেরকে শিখিয়েছিলেন সবকিছুকে কঠিন না করে সহজ করতে, সুসংবাদ দিতে এবং ভীতি না ছড়াতে'। সুন্দর কথা ও আশা ছড়ানো মানুষদের সাথে থাকলে দুঃখ-ভারাক্রান্ত মানুষের শক্তিও অনেকগুণ বেড়ে যায়।
যিনি সুন্দর কথা বলেন, তিনি তো ফলবান গাছ লাগান, যার ফল তো আখিরাতে বেড়েই চলে, বাড়ে আল্লাহর কাছে পুরষ্কারের সম্ভাবনা। ভালো কথা কেন বলব না? কেন আশা আর স্বপ্নের কথা বলব না? হৃদয়ে যার আল্লাহ থাকে, তার তো অনন্ত জগতে শুধুই সফলতা। এরপরেও যদি না পারি সফলদের মানসিকতা ধারণ করতে, কীভাবে দাবী করব অন্তরে আল্লাহ আছেন?
[সর্বপ্রথম নিজের জন্য কঠঠিন এই স্মরণিকা]
* * *
স্বপ্ন কারখানা, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ঈসায়ী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে