ভালোবাসব বলে কেন আমরা এমন কাউকে ভালোবাসি, যে কখনই বুঝেনা আমাদের আর্তি আর গভীরতা। যাকে ভালোবাসি, সেওতো দুর্বল হয়ে ক্ষয়ে যায়, ভুলে যায়, মরে যায়। অল্পতেই বলে বসে বুকের গভীরে ক্ষত সৃষ্টি করে এমন কথা...
অথচ এমন কাউকেই ভালোবাসা উচিত, যে ভালোবাসা অক্ষয়, অবিনশ্বর। যে ভালোবাসা রয়ে যাবে অনন্তকাল। যেই অনুভূতির শেষ নেই, কাল নেই। ধনী-গরীবে পার্থক্য হয়না, রং-বয়সে পার্থক্য হয়না, পাপী-নিষ্পাপ সবার জন্যই রাস্তা খোলা সেই ভালোবাসার...
[২৪ জানুয়ারি, ২০১৩]
* * *
আচ্ছা, আমাদের রাগ হয় কখন? মূলতঃ তখনই, যখন আমাদের ভালোবাসার কোন কিছু হুমকির মুখে পড়ে।আমার নতুন মোবাইলটা কেউ নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলে রাগ হই, আমার মানহানিকর কোন মন্তব্য কেউ করলে রাগ হই। এমনি করেই কাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসি তা বোঝার উপায় হলো কীসে আমি বেশি রাগ হই সেটা বুঝতে পারলে। আমাদের মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, অর্থ-সম্পদ, সম্মান-ইজ্জত নাকি অন্য কিছু।
সাধারণতঃ আমাদের বাবা-মা নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে আমরা তেড়ে আসি, আমরা ক্ষেপে উঠি দেশ নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করলে, আমার প্রিয় মানুষটিকে কেউ আঘাত করলে ক্ষেপে উঠি। এটাই স্বাভাবিক একটা ঘটনা প্রতিটি মানুষের জন্য। যেই মানুষ মনে করেন তিনি মুসলিম, যিনি মনে করেন তিনি আল্লাহকে রব হিসেবে মানেন, যিনি মৃত্যুর পরের জান্নাতের স্বপ্ন দেখেন -- তার জন্য তার বাবা-মা, সন্তান-সন্ততি এমনকি নিজের চাইতে বেশি প্রিয় হবার কথা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটা, যিনি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আমাদেরই এই দেশের মাটিতে, আল্লাহর সৃষ্টি ও রাহমাতের এই পৃথিবীর হাওয়া বাতাস খেয়ে বড় হয়ে কিছু নরাধম, ঘৃণ্য জঘন্য কীট আমাদের প্রিয় নবী ও আল্লাহকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে, নোংরা কথা বলেছে। এই কথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হবার পরেও যদি কেউ বিশ্বাস করতে চায় এসব তারা করেনি, এরপরেও যদি এই ঘটনা ভুলে অন্য কিছুর নেশায় চুর হয়ে ভুলে থাকতে চায়, রক্ত গরম হয়ে খেপে না উঠে -- তাহলে এই ব্যাপারে কোন সন্দেহই নেই যে তার মধ্যে ঈমান নেই, সে মুসলিমদের মধ্যে গণ্য হতে পারে না। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা জানিয়ে দিয়েছেন মু'মিনরা কেবল মু'মিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে। যদি আমাদের সবচাইতে বেশি ভালোবাসার জায়গাটিতে প্রিয় নবী (সা) না থাকেন, তাহলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব না। আমরা কোন ধরনের মানুষ? ভেবে দেখেছি কি?
♥"যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।"♥
----[সূরা আল মুজাদিলাহ : ২২]
অথচ এমন কাউকেই ভালোবাসা উচিত, যে ভালোবাসা অক্ষয়, অবিনশ্বর। যে ভালোবাসা রয়ে যাবে অনন্তকাল। যেই অনুভূতির শেষ নেই, কাল নেই। ধনী-গরীবে পার্থক্য হয়না, রং-বয়সে পার্থক্য হয়না, পাপী-নিষ্পাপ সবার জন্যই রাস্তা খোলা সেই ভালোবাসার...
[২৪ জানুয়ারি, ২০১৩]
* * *
আচ্ছা, আমাদের রাগ হয় কখন? মূলতঃ তখনই, যখন আমাদের ভালোবাসার কোন কিছু হুমকির মুখে পড়ে।আমার নতুন মোবাইলটা কেউ নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলে রাগ হই, আমার মানহানিকর কোন মন্তব্য কেউ করলে রাগ হই। এমনি করেই কাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসি তা বোঝার উপায় হলো কীসে আমি বেশি রাগ হই সেটা বুঝতে পারলে। আমাদের মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, অর্থ-সম্পদ, সম্মান-ইজ্জত নাকি অন্য কিছু।
সাধারণতঃ আমাদের বাবা-মা নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে আমরা তেড়ে আসি, আমরা ক্ষেপে উঠি দেশ নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করলে, আমার প্রিয় মানুষটিকে কেউ আঘাত করলে ক্ষেপে উঠি। এটাই স্বাভাবিক একটা ঘটনা প্রতিটি মানুষের জন্য। যেই মানুষ মনে করেন তিনি মুসলিম, যিনি মনে করেন তিনি আল্লাহকে রব হিসেবে মানেন, যিনি মৃত্যুর পরের জান্নাতের স্বপ্ন দেখেন -- তার জন্য তার বাবা-মা, সন্তান-সন্ততি এমনকি নিজের চাইতে বেশি প্রিয় হবার কথা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটা, যিনি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আমাদেরই এই দেশের মাটিতে, আল্লাহর সৃষ্টি ও রাহমাতের এই পৃথিবীর হাওয়া বাতাস খেয়ে বড় হয়ে কিছু নরাধম, ঘৃণ্য জঘন্য কীট আমাদের প্রিয় নবী ও আল্লাহকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে, নোংরা কথা বলেছে। এই কথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হবার পরেও যদি কেউ বিশ্বাস করতে চায় এসব তারা করেনি, এরপরেও যদি এই ঘটনা ভুলে অন্য কিছুর নেশায় চুর হয়ে ভুলে থাকতে চায়, রক্ত গরম হয়ে খেপে না উঠে -- তাহলে এই ব্যাপারে কোন সন্দেহই নেই যে তার মধ্যে ঈমান নেই, সে মুসলিমদের মধ্যে গণ্য হতে পারে না। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা জানিয়ে দিয়েছেন মু'মিনরা কেবল মু'মিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে। যদি আমাদের সবচাইতে বেশি ভালোবাসার জায়গাটিতে প্রিয় নবী (সা) না থাকেন, তাহলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব না। আমরা কোন ধরনের মানুষ? ভেবে দেখেছি কি?
♥"যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।"♥
----[সূরা আল মুজাদিলাহ : ২২]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে