সেদিন আমার ছেলেবেলার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলাম। বিগত এক যুগ ধরে দেখা কনসিস্টেন্ট ভালো ছেলে, আবেগের ঝোঁকে সাময়িক মুসলিম না। আমাদের সাক্ষাতস্থল ছিলো একটা পাবলিক প্লেস, স্থানীয় এক মার্কেট প্রাঙ্গনের চায়ের দোকান, সেখানে একটু পরপর ভিখিরির আনাগোনা। বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, বিকলাঙ্গ, শিশু... অনেকরকম! স্বাভাবিকভাবেই, দু'একজনকে কিছু দেওয়ার পর অন্যদের প্রতি আমাদের স্বাভাবিকভাবে আর আগ্রহ থাকে না। ভাবখান এমন করি আমরা, 'আর কত দিব !"
আমার বন্ধুটি ইদানিং বেশ আর্থিক টানাপোড়েনে আছে, নতুন বিয়ে। নতুন চাকুরিটার বেতনও সংসারকে হেলেদুলে টানার মতন না। বন্ধুরাও হয়ত ওর এই কঠিন সময়টা টের পাবেনা মুখে লেগে থাকা হাসি আর প্রশান্ত মনের ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটার ভঙ্গি দেখে। আমি বেশ অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, হাত পাততে থাকা কাউকেই সে ফেরত দিচ্ছেনা। আধাঘন্টার মধ্যে প্রায় জনাদশেক ভিখিরি এসেছিল, সে আগ্রহভরে পকেট থেকে বের করে দুই টাকা, এক টাকা দিচ্ছিলো ক্রমাগত। একসময় আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। তখন মনে যেন নতুন করে উপলব্ধি হলো, দান করা আসলে আমার অনেক থাকার উপরে নির্ভর করেনা, আমার নিয়্যাতের উপরেই নির্ভর করে।
আমাদের এই সময়টা সৎপথে অর্থোপার্জনের আকালের সময়। আমরা সারাজীবন প্রাতিষ্ঠানিক আর পারিবারিকভাবে সুবিধা পেয়ে বড় হয়েও কিছু টাকা উপার্জনের চেষ্টাতেই গলদঘর্ম হই। এই অসাম্যের সমাজে, বেশিরভাগ সম্পদ যখন অল্প কিছু মানুষের কুক্ষিগত সেখানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো উপায়ান্তর না দেখে হয়ত হাত পেতে দেন। অনেকেই হয়ত সেটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন, আবার বেশিরভাগই হয়ত নিরূপায় হয়ে ভিক্ষা করেন। আল্লাহই ভালো জানেন। বন্ধুটির সেদিনের ক্রমাগত দান করা দেখে আমার মনে হচ্ছিলো, আমরা মুসলিমরা যেখানেই যাব, সেখানেই রাহমাত হয়ে যাবার কথা। এই দানশীলতাও কিছু মানুষের জন্য খুব অল্পও করে হলেও রাহমাত। আর অন্তত এরকম ১/২ টাকার পেছনে কী ভালোবাসা জড়িয়ে ছিলো তা তো আর আমি জানিনা। আমি জানি সেই হাদিসটি --
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
♥ “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা ও দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য আরোপ করেন।” ♥[মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন :৭
আমার বন্ধুটি ইদানিং বেশ আর্থিক টানাপোড়েনে আছে, নতুন বিয়ে। নতুন চাকুরিটার বেতনও সংসারকে হেলেদুলে টানার মতন না। বন্ধুরাও হয়ত ওর এই কঠিন সময়টা টের পাবেনা মুখে লেগে থাকা হাসি আর প্রশান্ত মনের ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটার ভঙ্গি দেখে। আমি বেশ অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, হাত পাততে থাকা কাউকেই সে ফেরত দিচ্ছেনা। আধাঘন্টার মধ্যে প্রায় জনাদশেক ভিখিরি এসেছিল, সে আগ্রহভরে পকেট থেকে বের করে দুই টাকা, এক টাকা দিচ্ছিলো ক্রমাগত। একসময় আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। তখন মনে যেন নতুন করে উপলব্ধি হলো, দান করা আসলে আমার অনেক থাকার উপরে নির্ভর করেনা, আমার নিয়্যাতের উপরেই নির্ভর করে।
আমাদের এই সময়টা সৎপথে অর্থোপার্জনের আকালের সময়। আমরা সারাজীবন প্রাতিষ্ঠানিক আর পারিবারিকভাবে সুবিধা পেয়ে বড় হয়েও কিছু টাকা উপার্জনের চেষ্টাতেই গলদঘর্ম হই। এই অসাম্যের সমাজে, বেশিরভাগ সম্পদ যখন অল্প কিছু মানুষের কুক্ষিগত সেখানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো উপায়ান্তর না দেখে হয়ত হাত পেতে দেন। অনেকেই হয়ত সেটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন, আবার বেশিরভাগই হয়ত নিরূপায় হয়ে ভিক্ষা করেন। আল্লাহই ভালো জানেন। বন্ধুটির সেদিনের ক্রমাগত দান করা দেখে আমার মনে হচ্ছিলো, আমরা মুসলিমরা যেখানেই যাব, সেখানেই রাহমাত হয়ে যাবার কথা। এই দানশীলতাও কিছু মানুষের জন্য খুব অল্পও করে হলেও রাহমাত। আর অন্তত এরকম ১/২ টাকার পেছনে কী ভালোবাসা জড়িয়ে ছিলো তা তো আর আমি জানিনা। আমি জানি সেই হাদিসটি --
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
♥ “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা ও দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য আরোপ করেন।” ♥[মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন :৭
স্বপ্নচারী সাহেব, আপনার টুকরো টুকরো ভাবনা খুবই ভাল লাগে। দয়া করে ফেবুতে আমাকে কমেন্ট করার অনুমতি দিয়ে আপনার জ্ঞান প্রচার অভিযানে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলে উপকৃত হব।
উত্তরমুছুন