১৯ ফেব, ২০১৩

একজন আব্দুল্লাহ বিন উমার এবং আমরা

একটা স্মরণিকা, নিজের জন্য, আমার ভাইদের জন্য। নিঃসন্দেহে ঈমানের কঠিন পরীক্ষার সময় আমাদের আসে। কেউ আমাকে অত্যাচার করলে, মিথ্যাচার করলে, যুলুম করলে, গালি দিলে কি আমিও গালি দিব? সেইটা কি হবার কথা? আমাদের দ্বীন কি সেটাই শিক্ষা দেয়? প্রিয় রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শ্রেষ্ঠ চরিত্রের কথা বাদই দিলাম, তার সাহাবা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) কেমন ছিলেন?

"কোন বাছ-বিচার না করে ছোট বড় সকলকে সালাম করতেন। পথ চলতে কোন ব্যক্তিকে সালাম করতে ভুলে গেলে ফিরে এসে তাকে সালাম করে যেতেন। অত্যন্ত কটু কথা শুনেও হজম করে যেতেন, কোন জবাব দিতেন না। এক ব্যক্তি কটু ভাষায় তাকে গালি দিল। জবাবে তিনি শুধু বললেন, আমি ও আমার ভাই অত্যন্ত উঁচু বংশের। এতটুকু বলে চুপ থাকলেন।"

যিনি ছিলেন জ্ঞানের অমূল্য ভান্ডার, যিনি নবীজীকে (সা) পেয়েছেন ছোট্ট থাকতেই আপন করে, তার বাবা উমার ইবনুল খাত্তাব (রা), তিনি কি পারতেন না কেউ কটু কথা বললে তাকে চরম কথা শোনাতে? তিনি কোন শ্রেষ্ঠত্বে কম ছিলেন এই জমিনের বুকে? তার আচরণে কিছু শিখতে কি পাই? আল্লাহ আমাদেরকে সংযত হবার তাওফিক দিন, কেননা প্রতিটি বর্ণ উচ্চারণের হিসাব আমাদেরকে দিতে হবে সেই মহান আল্লাহর সামনে, যিনি বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।



নিশ্চয়ই বান্দার হৃদয়ে যখন আল্লাহ থাকে, তখন তার কাছে আসলে সবই থাকে। রাসূল (সা) দুনিয়া ছেড়ে যাবার পূর্ব মূহুর্তেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন আল্লাহর হক 'সালাত' আদায়ের কথা এবং বান্দার হকের কথা। সালাত এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জীবনে যত যা-ই করি না কেন, যদি সালাত সঠিকভাবে আদায় না হয়, তাহলে সবই বরবাদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

♥"কিয়ামতের দিন যে বিষয়ে সর্বপ্রথম বান্দার হিসাব নেয়া হবে, তা হলো সালাত। যদি তার সালাত বিশুদ্ধ হয় তবে তার অন্য সমস্ত সৎকাজ বিশুদ্ধ হবে। আর যদি সালাত বাতিল প্রমাণিত হয় তবে তার অন্য সমস্ত সৎকাজ বাতিল হয়ে যাবে।"♥ [তাবরানী]

শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে সালাত প্রতিষ্ঠাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন, আমাদের জীবনকে কবুল করুন।

#হাদিস সংগ্রহ : আত-তারগীব ওয়াত তারহীব [১ম]

* * * *
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে