হে আমার ভাই! ঈমান থাকবে, পরীক্ষা আসবে না, তাই কি হয়? আমাদের নেতার কথা
মনে পড়েনা? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নবুওয়্যাত যখন দিয়েছিলেন, তখন অবস্থাটা কেমন ছিলো?
তিনি যেই জমিনের বুকে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখানে মেয়েদের জ্যান্ত কবর দেয়া হত,
শরাব পানে অচেতন হয়ে থাকত লোকেরা, দুর্বলকে পেলে সবলেরা অত্যাচার করত,
গোত্রগুলোতে মারামারি লেগেই থাকত বছরের পর বছর (এখনকার রাস্ট্রগুলোর
যুদ্ধের মতন); তাঁর নেই বাবা-মা, যেই দাদার কাছে বড় হয়েছিলেন, তিনিও নেই।
আল্লাহ তাকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় দায়িত্ব দিলেন। মক্কা শুধু না, সমগ্র
পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য কিয়ামাত অবধি আদর্শ রেখে যাওয়াই তার কাজ হয়ে
গেলো। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত
হলেন, তখন এই সমগ্র বিশ্বের বুকে তিনিই কেবল ঈমানদার, সমগ্র পৃথিবী তার
বিপরীতে।
তার বিপদের দিনে কেমন করে আঘাত করত আত্মীয়রা মনে আছে? পুত্রসন্তানের মৃত্যুতে যখন তিনি শোকার্ত তখন চাচা আবু লাহাব আনন্দ প্রকাশ করে কটু কথা বলে বেড়িয়েছিলো। স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা এবং চাচা আবু তালিব যে বছর চলে গেলেন, তিনি সেই বছরে তায়েফে মানুষকে শুধু দিতে গিয়েছিলেন, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর দাওয়াত; তাঁকে রক্তাক্ত করে ফেলেছিল ওরা আঘাতে আঘাতে। রাহমাতাল্লিল আলামীনকে কতই না কষ্ট সইতে হয়েছিলো। এই শ্রেষ্ঠ মানুষটার অনুসারী আমরা। বলো, দুঃখে ডুবে হতাশ হওয়া কি আমাদের চলে? মজলুমের দু'আর শ্রেষ্ঠত্ব তো এমনই যে তার দু'আ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকেনা। যার কাছ থেকে এসেছি, যার কাছে ফিরে যাব, যাকে পেয়েই তৃপ্ত হবো, যার সন্তুষ্টিই আমাদেরা আজন্ম প্রত্যাশা -- তার কাছেই তো দু'আ করব, চোখের পানিতে সিক্ত হয়ে...
♥ হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আমার দুর্বলতা, অসহায়ত্ব এবং মানুষের কাছে আমার তুচ্ছতা সম্পর্কে অভিযোগ করছি। হে শ্রেষ্ঠ দয়ালু ও দয়াময়, তুমি দুর্বলদের রব, তুমি আমারও রব।
তুমি আমাকে কার কাছে ন্যস্ত করছ ? আমাকে কি এমন কারও কাছে অর্পন করেছ যে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে? নাকি কোন শত্রুর কাছে আমাকে ন্যস্ত করেছ যাকে তুমি আমার জীবনের উপরে কর্তৃত্ব দিয়ে দিয়েছ? যদি তুমি আমার উপর অসন্তুষ্ট না হয়ে থাকো, তবে আমার কোন দুঃখ নেই, আফসোসও নেই। তোমার সন্তষ্টিই আমার জন্য অনেক বড় প্রশান্তি। তোমার ক্ষমাশীলতা আমার জন্য প্রশস্ত ও প্রসারিত করো।
আমি তোমার সে সত্ত্বার সে আলোর আশ্রয় চাই, যা দ্বারা অন্ধকার দূর হয়ে আলোয় চারিদিক ভরে যায় এবং দুনিয়া এবং আখিরাতের সকল বিষয় কল্যাণময় হয়। তোমার অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ থেকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি। সকল ক্ষমতা এবং শক্তি শুধু তোমারই, তোমার শক্তি ছাড়া আর কোন শক্তি নেই।♥
তার বিপদের দিনে কেমন করে আঘাত করত আত্মীয়রা মনে আছে? পুত্রসন্তানের মৃত্যুতে যখন তিনি শোকার্ত তখন চাচা আবু লাহাব আনন্দ প্রকাশ করে কটু কথা বলে বেড়িয়েছিলো। স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা এবং চাচা আবু তালিব যে বছর চলে গেলেন, তিনি সেই বছরে তায়েফে মানুষকে শুধু দিতে গিয়েছিলেন, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর দাওয়াত; তাঁকে রক্তাক্ত করে ফেলেছিল ওরা আঘাতে আঘাতে। রাহমাতাল্লিল আলামীনকে কতই না কষ্ট সইতে হয়েছিলো। এই শ্রেষ্ঠ মানুষটার অনুসারী আমরা। বলো, দুঃখে ডুবে হতাশ হওয়া কি আমাদের চলে? মজলুমের দু'আর শ্রেষ্ঠত্ব তো এমনই যে তার দু'আ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকেনা। যার কাছ থেকে এসেছি, যার কাছে ফিরে যাব, যাকে পেয়েই তৃপ্ত হবো, যার সন্তুষ্টিই আমাদেরা আজন্ম প্রত্যাশা -- তার কাছেই তো দু'আ করব, চোখের পানিতে সিক্ত হয়ে...
♥ হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আমার দুর্বলতা, অসহায়ত্ব এবং মানুষের কাছে আমার তুচ্ছতা সম্পর্কে অভিযোগ করছি। হে শ্রেষ্ঠ দয়ালু ও দয়াময়, তুমি দুর্বলদের রব, তুমি আমারও রব।
তুমি আমাকে কার কাছে ন্যস্ত করছ ? আমাকে কি এমন কারও কাছে অর্পন করেছ যে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে? নাকি কোন শত্রুর কাছে আমাকে ন্যস্ত করেছ যাকে তুমি আমার জীবনের উপরে কর্তৃত্ব দিয়ে দিয়েছ? যদি তুমি আমার উপর অসন্তুষ্ট না হয়ে থাকো, তবে আমার কোন দুঃখ নেই, আফসোসও নেই। তোমার সন্তষ্টিই আমার জন্য অনেক বড় প্রশান্তি। তোমার ক্ষমাশীলতা আমার জন্য প্রশস্ত ও প্রসারিত করো।
আমি তোমার সে সত্ত্বার সে আলোর আশ্রয় চাই, যা দ্বারা অন্ধকার দূর হয়ে আলোয় চারিদিক ভরে যায় এবং দুনিয়া এবং আখিরাতের সকল বিষয় কল্যাণময় হয়। তোমার অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ থেকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি। সকল ক্ষমতা এবং শক্তি শুধু তোমারই, তোমার শক্তি ছাড়া আর কোন শক্তি নেই।♥
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে