খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য হলো, ইস্তিখারা করা। শাইখ আব্দুল নাসিরের আলোচনাতে শুনেছিলাম ইস্তিখারার প্রয়োজনীয়তা ও মর্যাদা। আমি যা বুঝেছিলাম, আমাদের জীবনে আমাদেরকে অজস্র বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আর সেইসব সিদ্ধান্ত যেন আল্লাহর পথেই হয়, সেই সাহায্য চাওয়ার একটি উপায় এই ইস্তিখারা।
যেহেতু আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যই আল্লাহর দাসত্ব করা, তার সর্বময় ক্ষমতাকে প্রতিটি নিঃশ্বাসে আন্তরিকতার সাথে মেনে নেয়া -- ছোট ছোট কাজেও দু'আ করা আমাদের ইবাদাতের একটা বড় রূপ। এটা খুবই কল্যাণকর। তাছাড়া, ইস্তিখারা করা হয় বিয়ে, নতুন চাকুরির সিদ্ধান্তের সময়সহ আরো অজস্র সিদ্ধান্তের সময়। ইস্তিখারার দু'আ খুবই সুন্দর, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে এত সুন্দর করে প্রার্থনা করতে পারাও একটা আনন্দের বিষয়। স্কলাররা ছোট ছোট সিদ্ধান্তকেও আল্লাহর সাহায্যপূর্ণ করে কল্যাণময় করে নিতে দু'আ করতে উৎসাহিত করেন। দু'আ পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে, এত সুন্দর দু'আ সব কাজের আগেই পড়ে ফেলা উচিত, বুঝে বুঝে, অন্তরের গভীর থেকে।
শাইখ বিলাল ফিলিপস ইস্তিখারার ব্যাপারে বলেছেন,
"ইস্তিখারা নামায হচ্ছে যখন কেউ মনে মনে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তখন দুই রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে বলে, সর্বজ্ঞানী আল্লাহ যেন তার এই সিদ্ধান্ত এই জীবন ও পরকালের জন্য শুভ হলে কাজটা সহজ করে দেন এবং শুভ না হলে কাজটা কঠিন করে দেন। এই পদ্ধতি অতীব সহজ সরল ও বোধগম্য। আপনি কি করতে হবে বুঝতে না পারলে ইস্তিখারা নামায পড়বেন, ব্যাপারটি তা নয়। এ অবস্থায় এ নামায নয়। আমাদের প্রথমে অবস্থা বুঝে সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্তে পৌছঁতে হবে, এরপর আল্লাহর কাছে দোআ করতে হবে এই সিদ্ধান্ত কি আমার জন্য ঠিক? যদি ঠিক হয় তবে আমার জন্য তা সহজ করো আর ভুল হলে কঠিন করো। এটাই হচ্ছে ইস্তিখারা নামাযের সঠিক পদ্ধতি।"
ইস্তিখারার দু'আ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়েছেনঃ
♥'হে আল্লাহ, আমি আপনার ইলমের মাধ্যমে আপনার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। আপনার কুদরতের মাধ্যমে আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার মহা অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা আপনি শক্তিধর, আমি শক্তিহীন, আপনি জ্ঞানবান, আমি জ্ঞানহীন এবং আপনি অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানী। হে আল্লাহ, এই কাজটি (এখানে উদ্দিষ্ট কাজ বা বিষয়টি উল্লেখ করবেন) আপনার জ্ঞান মোতাবেক যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার পরিণতির ক্ষেত্রে অথবা ইহলোক ও পরলোকে কল্যাণকর হয়, তবে তাতে আমাকে সামর্থ্য দিন। পক্ষান্তরে এই কাজটি আপনার জ্ঞান মোতাবেক যদি আমার দীন, জীবিকা ও পরিণতির দিক দিয়ে অথবা ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিকর হয়, তবে আপনি তা আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং আমাকেও তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং কল্যাণ যেখানেই থাকুক, আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দিন। অত:পর তাতেই আমাকে পরিতুষ্ট রাখুন।'♥
[বুখারী : ১১৬৬; আবূ দাউদ : ১৫৪০]
♣ আরেকটু বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন : https://learningdeen.wordpress.com/2012/07/22/istikhara/
যেহেতু আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যই আল্লাহর দাসত্ব করা, তার সর্বময় ক্ষমতাকে প্রতিটি নিঃশ্বাসে আন্তরিকতার সাথে মেনে নেয়া -- ছোট ছোট কাজেও দু'আ করা আমাদের ইবাদাতের একটা বড় রূপ। এটা খুবই কল্যাণকর। তাছাড়া, ইস্তিখারা করা হয় বিয়ে, নতুন চাকুরির সিদ্ধান্তের সময়সহ আরো অজস্র সিদ্ধান্তের সময়। ইস্তিখারার দু'আ খুবই সুন্দর, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে এত সুন্দর করে প্রার্থনা করতে পারাও একটা আনন্দের বিষয়। স্কলাররা ছোট ছোট সিদ্ধান্তকেও আল্লাহর সাহায্যপূর্ণ করে কল্যাণময় করে নিতে দু'আ করতে উৎসাহিত করেন। দু'আ পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে, এত সুন্দর দু'আ সব কাজের আগেই পড়ে ফেলা উচিত, বুঝে বুঝে, অন্তরের গভীর থেকে।
শাইখ বিলাল ফিলিপস ইস্তিখারার ব্যাপারে বলেছেন,
"ইস্তিখারা নামায হচ্ছে যখন কেউ মনে মনে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তখন দুই রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে বলে, সর্বজ্ঞানী আল্লাহ যেন তার এই সিদ্ধান্ত এই জীবন ও পরকালের জন্য শুভ হলে কাজটা সহজ করে দেন এবং শুভ না হলে কাজটা কঠিন করে দেন। এই পদ্ধতি অতীব সহজ সরল ও বোধগম্য। আপনি কি করতে হবে বুঝতে না পারলে ইস্তিখারা নামায পড়বেন, ব্যাপারটি তা নয়। এ অবস্থায় এ নামায নয়। আমাদের প্রথমে অবস্থা বুঝে সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্তে পৌছঁতে হবে, এরপর আল্লাহর কাছে দোআ করতে হবে এই সিদ্ধান্ত কি আমার জন্য ঠিক? যদি ঠিক হয় তবে আমার জন্য তা সহজ করো আর ভুল হলে কঠিন করো। এটাই হচ্ছে ইস্তিখারা নামাযের সঠিক পদ্ধতি।"
ইস্তিখারার দু'আ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়েছেনঃ
♥'হে আল্লাহ, আমি আপনার ইলমের মাধ্যমে আপনার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। আপনার কুদরতের মাধ্যমে আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার মহা অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা আপনি শক্তিধর, আমি শক্তিহীন, আপনি জ্ঞানবান, আমি জ্ঞানহীন এবং আপনি অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানী। হে আল্লাহ, এই কাজটি (এখানে উদ্দিষ্ট কাজ বা বিষয়টি উল্লেখ করবেন) আপনার জ্ঞান মোতাবেক যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার পরিণতির ক্ষেত্রে অথবা ইহলোক ও পরলোকে কল্যাণকর হয়, তবে তাতে আমাকে সামর্থ্য দিন। পক্ষান্তরে এই কাজটি আপনার জ্ঞান মোতাবেক যদি আমার দীন, জীবিকা ও পরিণতির দিক দিয়ে অথবা ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিকর হয়, তবে আপনি তা আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং আমাকেও তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং কল্যাণ যেখানেই থাকুক, আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দিন। অত:পর তাতেই আমাকে পরিতুষ্ট রাখুন।'♥
[বুখারী : ১১৬৬; আবূ দাউদ : ১৫৪০]
♣ আরেকটু বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন : https://learningdeen.wordpress.com/2012/07/22/istikhara/