আজ ১৬ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবস। বিজয়ের সেই আনন্দে আজ আমাদের অনেক আয়োজন ছিলো,
চলছে। আনন্দে মেতেছে আমাদের পাশের বিল্ডিং এর ছাদের প্রকান্ড
সাউন্ডবক্সগুলো, হিন্দি গানে (!) আর লিংকিন পার্কের অল্টারনেটিভ রক গান
দিয়ে। বিজয়ই বটে!! আজ আনন্দে মেতেছিলো রাজপথ, হুডতোলা রিকশার আরোহীরা,
চিপায়-চাপায় কপোত-কপোতি, দুপুরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া পাশাপাশি বসা
উদ্দাম উত্তাপে আরক্ত তরুণ-তরুণীরা। বাসায় ফিরে বুকে অদ্ভুত একটা কষ্ট নিয়ে
শুয়ে ছিলাম, মা কয়েকবার জিজ্ঞাসা করলেন কী হয়েছে। অজানা খারাপ লাগাকে
বুঝতে না পেরে আধাঘন্টা স্রেফ শুয়েই ছিলাম। একটু আগে বুঝলাম কেন এই
খারাপলাগা...
আজ সন্ধ্যার পরপরই বাসায় ফিরছিলাম, দেখলাম "বিজয়ে পার্বণে" নামের অনুষ্ঠান চলছে ঢাবিতে, সেখানে জ্যামে পড়ে বসেছিলাম। রাস্তায় রিকসায় বসে চারপাশের এমন কিছু অভিজ্ঞতায় আক্রান্ত চোখ অশ্রুভেজা হবার ঘটনা আমার আগে হয়েছে বলে মনে পড়েনা। এই কষ্টটা অন্যরকম। তরুণদের এই উদ্দাম আনন্দকে আমি একই রূপে আগে দেখেছি বিভিন্ন *দিবসের* উপলক্ষে। তবে এরকম আতঙ্কজাগানিয়া নির্লজ্জতা আগে দেখিনি। রিকসাআরোহীরা পশুর মতন অদ্ভুত নির্লজ্জ শব্দ করে জ্যামে পড়া চারপাশের মানুষদের *চমকে* দেয় -- তা দেখিনি আগে।
আল্লাহ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে যিনার এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন। শরীরের চাওয়াগুলোকে সহ্য করতে না পারলে তো জাহান্নামের আগুণ তো অনেক কঠিন হবে। সেই আগুণে দগ্ধ হতে হবে অনন্তকাল... এই সমাজেরই অংশ আমরা, নানাভাবে কত-শত নির্লজ্জতায় আমরা সজ্ঞানে-অজ্ঞানে জড়িয়ে আছি -- তা আমাদের মালিকই ভালো জানেন। হায় আমাদের সংস্কৃতি, হায় আমাদের পরিবারের বাবা-মায়েরা, হায় আমাদের শিক্ষা, বিবেক... কোথায় যাচ্ছি আমরা?
আজকে আমার মনে হচ্ছিলো, এরকম সমাজের পারিবারিক বন্ধনগুলো আর ক'দিনই বা রইবে? স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোনের পারস্পরিক বিশ্বাস-সম্মান কি হারিয়ে যাবে? সামাজিক এই ক্ষয় থেকে আমরা কেউই কি পুরোপুরি রক্ষা পাব? এই ভয়াবহ অশ্লীলতা আর নির্লজ্জতার থাবায় আক্রান্ত হয়ত হবে আমাদেরই পরিবারগুলো -- আমরা তো এই সমাজেরই অংশ!! তখনই আবার মনে হচ্ছিলো, মানুষের কাছে দ্বীনের জ্ঞানগুলো, বুঝগুলো পৌঁছে দেয়া কত বেশি দরকারী। যারা স্রোতে ভেসে চলা তরুণ-তরুণীর দল -- ওরা হয়ত জানেই না আল্লাহর দ্বীন কত সুন্দর, কতটা অর্থবহ। কেন একটা কাজ করে, তার অর্থ কী, তা নিজেকেও কেউ জিজ্ঞাসা করেনা হয়ত কখনো। জীবনের অর্থ খুঁজতে চাইলে, কাজগুলোর অর্থ জানতে চাইলে সবারই কাজ অন্যরকম হতে পারত।
আমাদের আসলে অনেক অনেক বেশি আন্তরিক ও সক্রিয় হওয়া দরকার আমাদের বন্ধুমহলে, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। আমাদের তাই হওয়া দরকার একেকটা মডেলের মতন। যারা নিজেদের আচরণেই একটা উদাহরণ হয়ে যাব-- তারা দেখবে সেই আগের ছেলেটি/মেয়েটি আজ আল্লাহর দ্বীনের স্পর্শ পেয়ে সুন্দর মনের, চরিত্রের হয়েছি। আমাদেরকে দুনিয়া আর আখিরাতের জ্ঞানে হতে হবে খুব চমৎকার -- আর চেনাজানাদের মাঝে যারা হারিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে টেনে ফেরাতে হবে। এখনই সময়, এখনই। আল্লাহ আমাদেরকে সমাজে পরিবর্তনের কারণ হবার যোগ্য করে দিন, রাহমাত দান করুন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের অন্তরের মালিক, তিনি প্রেমময়, ক্ষমাশীল, দয়ালু। তার একটা ইচ্ছাই তো আমাদের দুনিয়া আখিরাতে কল্যাণে ভরে দিতে পারেন। আল্লাহ যেন তাদের শক্ত পাকড়াও থেকে আমাদের রক্ষা করেন, তার হিসাব গ্রহণের কঠোর রূপ থেকে মাফ করে দেন। হিদায়াহ দিন আমাদেরকে, আর আমাদের মাধ্যমে বদলে দিন এই সমাজকে। হে আল্লাহ! আপনি তো আমাদের মালিক, আপনার কাছেই আমাদের জীবন সমর্পিত। আপনি আমাদের উপর রাহমাত বর্ষণ করুন।
আজ সন্ধ্যার পরপরই বাসায় ফিরছিলাম, দেখলাম "বিজয়ে পার্বণে" নামের অনুষ্ঠান চলছে ঢাবিতে, সেখানে জ্যামে পড়ে বসেছিলাম। রাস্তায় রিকসায় বসে চারপাশের এমন কিছু অভিজ্ঞতায় আক্রান্ত চোখ অশ্রুভেজা হবার ঘটনা আমার আগে হয়েছে বলে মনে পড়েনা। এই কষ্টটা অন্যরকম। তরুণদের এই উদ্দাম আনন্দকে আমি একই রূপে আগে দেখেছি বিভিন্ন *দিবসের* উপলক্ষে। তবে এরকম আতঙ্কজাগানিয়া নির্লজ্জতা আগে দেখিনি। রিকসাআরোহীরা পশুর মতন অদ্ভুত নির্লজ্জ শব্দ করে জ্যামে পড়া চারপাশের মানুষদের *চমকে* দেয় -- তা দেখিনি আগে।
আল্লাহ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে যিনার এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন। শরীরের চাওয়াগুলোকে সহ্য করতে না পারলে তো জাহান্নামের আগুণ তো অনেক কঠিন হবে। সেই আগুণে দগ্ধ হতে হবে অনন্তকাল... এই সমাজেরই অংশ আমরা, নানাভাবে কত-শত নির্লজ্জতায় আমরা সজ্ঞানে-অজ্ঞানে জড়িয়ে আছি -- তা আমাদের মালিকই ভালো জানেন। হায় আমাদের সংস্কৃতি, হায় আমাদের পরিবারের বাবা-মায়েরা, হায় আমাদের শিক্ষা, বিবেক... কোথায় যাচ্ছি আমরা?
আজকে আমার মনে হচ্ছিলো, এরকম সমাজের পারিবারিক বন্ধনগুলো আর ক'দিনই বা রইবে? স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোনের পারস্পরিক বিশ্বাস-সম্মান কি হারিয়ে যাবে? সামাজিক এই ক্ষয় থেকে আমরা কেউই কি পুরোপুরি রক্ষা পাব? এই ভয়াবহ অশ্লীলতা আর নির্লজ্জতার থাবায় আক্রান্ত হয়ত হবে আমাদেরই পরিবারগুলো -- আমরা তো এই সমাজেরই অংশ!! তখনই আবার মনে হচ্ছিলো, মানুষের কাছে দ্বীনের জ্ঞানগুলো, বুঝগুলো পৌঁছে দেয়া কত বেশি দরকারী। যারা স্রোতে ভেসে চলা তরুণ-তরুণীর দল -- ওরা হয়ত জানেই না আল্লাহর দ্বীন কত সুন্দর, কতটা অর্থবহ। কেন একটা কাজ করে, তার অর্থ কী, তা নিজেকেও কেউ জিজ্ঞাসা করেনা হয়ত কখনো। জীবনের অর্থ খুঁজতে চাইলে, কাজগুলোর অর্থ জানতে চাইলে সবারই কাজ অন্যরকম হতে পারত।
আমাদের আসলে অনেক অনেক বেশি আন্তরিক ও সক্রিয় হওয়া দরকার আমাদের বন্ধুমহলে, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। আমাদের তাই হওয়া দরকার একেকটা মডেলের মতন। যারা নিজেদের আচরণেই একটা উদাহরণ হয়ে যাব-- তারা দেখবে সেই আগের ছেলেটি/মেয়েটি আজ আল্লাহর দ্বীনের স্পর্শ পেয়ে সুন্দর মনের, চরিত্রের হয়েছি। আমাদেরকে দুনিয়া আর আখিরাতের জ্ঞানে হতে হবে খুব চমৎকার -- আর চেনাজানাদের মাঝে যারা হারিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে টেনে ফেরাতে হবে। এখনই সময়, এখনই। আল্লাহ আমাদেরকে সমাজে পরিবর্তনের কারণ হবার যোগ্য করে দিন, রাহমাত দান করুন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের অন্তরের মালিক, তিনি প্রেমময়, ক্ষমাশীল, দয়ালু। তার একটা ইচ্ছাই তো আমাদের দুনিয়া আখিরাতে কল্যাণে ভরে দিতে পারেন। আল্লাহ যেন তাদের শক্ত পাকড়াও থেকে আমাদের রক্ষা করেন, তার হিসাব গ্রহণের কঠোর রূপ থেকে মাফ করে দেন। হিদায়াহ দিন আমাদেরকে, আর আমাদের মাধ্যমে বদলে দিন এই সমাজকে। হে আল্লাহ! আপনি তো আমাদের মালিক, আপনার কাছেই আমাদের জীবন সমর্পিত। আপনি আমাদের উপর রাহমাত বর্ষণ করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে