ইসলামে কোন ব্রাহ্মন সম্প্রদায় নাই, থারকার সম্ভাবনাও নাই। কিছু কারণে যে/যারা নিজেকে এলিট সোসাইটির মনে করেন, সেই মানুষদের দ্বীন বুঝার ব্যাপারে ঘাটতি থাকার কথা। চলতে ফিরতে এরকম অজস্র ব্রাহ্মন মানসিকতাসম্পন্ন জ্ঞাতিগুষ্টির কাছে বিচিত্র উপায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হইতে হচ্ছে। সবর ধারণ কতটা জটিল, তা টের পাচ্ছি। একজন মানুষ কেন হঠাৎ এত বেশি কঠোর আচরণ করতে শুরু করে চারপাশের মানুষদের সাথে, তা আমার মাথায় আসে না। একজন মানুষ, যিনি ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মানতে চেষ্টা করে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন, তার কি চিন্তা করা উচিত না যে তার পেছনের জীবনের এমনকি এখনকার জীবনের অজস্র পাপ আল্লাহ ঢেকে রেখেছেন বলেই তিনি নিজেকে (যতটুকু ভাবছেন) সৎ মুসলিম হিসেবে মনে করছেন? আল্লাহ তার একটা কাজ প্রকাশ করে দিলেই কি লজ্জায় তিনি মাটির নিচে ঢুকে যেতে চাইবেন না?
তাহলে কেন অকারণে অযথাই ছোট ছোট বিষয়ে অন্যদেরকে আঘাত করার চেষ্টা, যখন সমগ্র পৃথিবীর আনাচে কানাচে মানুষ কেবলমাত্র সঠিক জ্ঞানের অভাবে, আশাবাদের অভাবে, ভালোবাসার অভাবে, ভালোবাসা পাওয়ার সম্ভাবনার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দ্বীনের পথ থেকে -- তখনো নির্লজ্জের ম তন আজেবাজে ইস্যু নিয়ে হাউকাউ? আল্লাহর দ্বীন কি অ্যান্টার্কটিকা থেকে গ্রীনল্যান্ডের সবার জন্যই না? ক'টা লাইন পড়ে কেন এত দম্ভ হয় মানুষের? যাদের নিজেকে এত ভালো মুসলিম মনে হয়, তাদের উচিত নয় কি প্রথমত অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন জেনে জীবনকে তার দেখানো পথেই চালানো? সেই সাথে সাহাবাদের জীবন পড়া, ইমামদের জীবন জানা? তাহলে উপলব্ধি হবে নিজেদের জ্ঞান ও কাজে কী গভীর দৈন্য ও ক্ষুদ্রতা... মানুষকে বিচার করার দ্বায়িত্ব আমার না, আমাদের না। এই একই বার্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের প্রিয় নবী (সা)-এর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যেন আমরা শিখতে পারি।
আমাদের কাজ হলো সত্য ও সুন্দরকে স্থাপন করে যাওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা। আমরা কেউ জানিনা, যাকে আমি খারাপ ভাবছি, সেই লোকটা ভুল বুঝতে পেরে হয়ত তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসার পর মূহুর্তেই আল্লাহর প্রিয়তম কাজের মাধ্যমে প্রিয়ভাজন হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারেন। ভাই আমার, দয়া করে বিচারকের আসনে না বসে দু'হাত বাড়িয়ে মানুষকে ভালোবাসা দিই। অন্তত এইভাবে দুনিয়াকে আরো কিছুটা সুন্দর রেখে যেতে পারব, অন্তত আরো একটা মানুষকে দিনরাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার মতন করে রেখে যেতে পারব। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের অন্তঃকরণকে পরিশুদ্ধ করার তাওফিক দিন, আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
তাহলে কেন অকারণে অযথাই ছোট ছোট বিষয়ে অন্যদেরকে আঘাত করার চেষ্টা, যখন সমগ্র পৃথিবীর আনাচে কানাচে মানুষ কেবলমাত্র সঠিক জ্ঞানের অভাবে, আশাবাদের অভাবে, ভালোবাসার অভাবে, ভালোবাসা পাওয়ার সম্ভাবনার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দ্বীনের পথ থেকে -- তখনো নির্লজ্জের ম তন আজেবাজে ইস্যু নিয়ে হাউকাউ? আল্লাহর দ্বীন কি অ্যান্টার্কটিকা থেকে গ্রীনল্যান্ডের সবার জন্যই না? ক'টা লাইন পড়ে কেন এত দম্ভ হয় মানুষের? যাদের নিজেকে এত ভালো মুসলিম মনে হয়, তাদের উচিত নয় কি প্রথমত অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন জেনে জীবনকে তার দেখানো পথেই চালানো? সেই সাথে সাহাবাদের জীবন পড়া, ইমামদের জীবন জানা? তাহলে উপলব্ধি হবে নিজেদের জ্ঞান ও কাজে কী গভীর দৈন্য ও ক্ষুদ্রতা... মানুষকে বিচার করার দ্বায়িত্ব আমার না, আমাদের না। এই একই বার্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের প্রিয় নবী (সা)-এর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যেন আমরা শিখতে পারি।
আমাদের কাজ হলো সত্য ও সুন্দরকে স্থাপন করে যাওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা। আমরা কেউ জানিনা, যাকে আমি খারাপ ভাবছি, সেই লোকটা ভুল বুঝতে পেরে হয়ত তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসার পর মূহুর্তেই আল্লাহর প্রিয়তম কাজের মাধ্যমে প্রিয়ভাজন হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারেন। ভাই আমার, দয়া করে বিচারকের আসনে না বসে দু'হাত বাড়িয়ে মানুষকে ভালোবাসা দিই। অন্তত এইভাবে দুনিয়াকে আরো কিছুটা সুন্দর রেখে যেতে পারব, অন্তত আরো একটা মানুষকে দিনরাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার মতন করে রেখে যেতে পারব। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের অন্তঃকরণকে পরিশুদ্ধ করার তাওফিক দিন, আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে