ক'দিন ধরে মাথায় কতক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। এই যেমন আমার কিছু বন্ধু আছে
আমার যারা দেশে খুব দারুণ ক্যারিয়ার করে ফেলা বা বিদেশে মাস্টার্স-পিএইচডি
করতে যাওয়া -- তাদের সাথে একবেলা বসলেই নিজের অর্জন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেতে
হয়। কয়েকদিন আগে এমনটাই হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, হয়ত আমি পিছিয়ে, কয়েকবছর টানা
লেগে থাকলে আমিও ঐরকম অর্জন করতে পারব। টাকা হবেই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু...
পরক্ষণেই একটা ব্যাকফায়ার খেলাম নিজে থেকেই। তখনই মনে হলো, ওই পাগলা দৌড়ের চিন্তা তো অনেকদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি তো চাইনা অস্থির দৌড়ের জীবন। জীবনের সময় সীমিত। দুনিয়ার দামপাওয়া হম্বিতম্বি একজন হয়ে, সেই আনন্দে পরিবারকে আনন্দিত করার চাইতে মনে হয় বাবা-মা প্রাণঠান্ডা করা সন্তান হতে পারা, ভাই-বোনের কাছে সুন্দর ব্যবহারের ভাই হতে পারা এবং আসল সম্পর্ক আল্লাহর জন্য নিবেদিত বান্দা হতে পারাই একটা সফলতার সুন্দর মাত্রা প্রকাশ করে।
কাজে পালন করার আগে জানার প্রয়োজন অনেক বেশি। অদরকারি জ্ঞানের শিরোমনি হয়ে দরকারি জ্ঞানে ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকলে সম্পূর্ণ ক্ষতি। দ্বীনের জ্ঞানে আমরা সবসময় অন্ধকারে থাকি বলেই গাফেল হয়ে যাওয়া সহজ। তাই দুনিয়ার জ্ঞান দরকার প্রয়োজন মাফিক, আখিরাতের জ্ঞান দরকার নিজেকে আলোকিত করতে। এই সামঞ্জস্য বিধান জরুরি। একদিন একটা হাদিস থেকে শিখেছিলাম, যেই শিক্ষা জীবনে কাজে আসে না, সেইসব মু'মিনদের এড়িয়ে যেতে হয়।
অনেক অনর্থক তথ্য মাথায় ঢুকিয়েছিলাম জীবনে। আমি জানতাম শিরোনামহীনের অ্যালবাম কয়টা, বিলবোর্ডের টপচার্টে থাকা অজস্র গায়ক-গায়িকাদের টাকার পরিমাণও জানতাম। জানতাম স্টেফি গ্রাফ-মার্টিনা হিঙ্গিসদের গ্র্যান্ড স্লাম ইতিহাস, জানতাম অনেক নায়ক-নায়িকার নাম। ৩-৪ বছর ধরে মেমোরি সেলকে ফাঁকা করার এই চেষ্টা এখনো সফল হয়নি, তবে বিফল না। ফালতু জিনিসকে সম্পূর্ণ ইগনোর করতে পারাও একটা শিক্ষা।
সত্য এবং মিথ্যা, কল্যাণ এবং অকল্যাণ, সুন্দর আর অসুন্দর -- এগুলোর মাঝামাঝি কোন চয়েস নাই। পছন্দ একটাকেই করা যায়। একটাকেই করতে হবে, তবে পছন্দ করে চলার সময় সেই চলার পথে অন্য পছন্দের লোকদের সাথেও দেখা হতে পারে, পার্থক্য জানেন আল্লাহ। তবে, মানুষের মাঝে সবকিছুই মিলেমিশে থাকে বলেই মানুষকে নিয়ে চলা যায়, চলতে হয়। নইলে মানুষকেও একইভাবে অগ্রাহ্য করা যেত হয়ত।
নির্ঘন্ট: কালামুল্লাহ ডট কমে 7 Habits of Truly Successful People শিরোনামে ডক্টর আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপসের দারুণ আলোচনা আছে যেখানে তিনি আখিরাতের লক্ষ্য সম্পুর্ণ রেখে কী কী গুণাবলী অর্জন করা যেতে পারে -- সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
পরক্ষণেই একটা ব্যাকফায়ার খেলাম নিজে থেকেই। তখনই মনে হলো, ওই পাগলা দৌড়ের চিন্তা তো অনেকদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি তো চাইনা অস্থির দৌড়ের জীবন। জীবনের সময় সীমিত। দুনিয়ার দামপাওয়া হম্বিতম্বি একজন হয়ে, সেই আনন্দে পরিবারকে আনন্দিত করার চাইতে মনে হয় বাবা-মা প্রাণঠান্ডা করা সন্তান হতে পারা, ভাই-বোনের কাছে সুন্দর ব্যবহারের ভাই হতে পারা এবং আসল সম্পর্ক আল্লাহর জন্য নিবেদিত বান্দা হতে পারাই একটা সফলতার সুন্দর মাত্রা প্রকাশ করে।
কাজে পালন করার আগে জানার প্রয়োজন অনেক বেশি। অদরকারি জ্ঞানের শিরোমনি হয়ে দরকারি জ্ঞানে ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকলে সম্পূর্ণ ক্ষতি। দ্বীনের জ্ঞানে আমরা সবসময় অন্ধকারে থাকি বলেই গাফেল হয়ে যাওয়া সহজ। তাই দুনিয়ার জ্ঞান দরকার প্রয়োজন মাফিক, আখিরাতের জ্ঞান দরকার নিজেকে আলোকিত করতে। এই সামঞ্জস্য বিধান জরুরি। একদিন একটা হাদিস থেকে শিখেছিলাম, যেই শিক্ষা জীবনে কাজে আসে না, সেইসব মু'মিনদের এড়িয়ে যেতে হয়।
অনেক অনর্থক তথ্য মাথায় ঢুকিয়েছিলাম জীবনে। আমি জানতাম শিরোনামহীনের অ্যালবাম কয়টা, বিলবোর্ডের টপচার্টে থাকা অজস্র গায়ক-গায়িকাদের টাকার পরিমাণও জানতাম। জানতাম স্টেফি গ্রাফ-মার্টিনা হিঙ্গিসদের গ্র্যান্ড স্লাম ইতিহাস, জানতাম অনেক নায়ক-নায়িকার নাম। ৩-৪ বছর ধরে মেমোরি সেলকে ফাঁকা করার এই চেষ্টা এখনো সফল হয়নি, তবে বিফল না। ফালতু জিনিসকে সম্পূর্ণ ইগনোর করতে পারাও একটা শিক্ষা।
সত্য এবং মিথ্যা, কল্যাণ এবং অকল্যাণ, সুন্দর আর অসুন্দর -- এগুলোর মাঝামাঝি কোন চয়েস নাই। পছন্দ একটাকেই করা যায়। একটাকেই করতে হবে, তবে পছন্দ করে চলার সময় সেই চলার পথে অন্য পছন্দের লোকদের সাথেও দেখা হতে পারে, পার্থক্য জানেন আল্লাহ। তবে, মানুষের মাঝে সবকিছুই মিলেমিশে থাকে বলেই মানুষকে নিয়ে চলা যায়, চলতে হয়। নইলে মানুষকেও একইভাবে অগ্রাহ্য করা যেত হয়ত।
নির্ঘন্ট: কালামুল্লাহ ডট কমে 7 Habits of Truly Successful People শিরোনামে ডক্টর আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপসের দারুণ আলোচনা আছে যেখানে তিনি আখিরাতের লক্ষ্য সম্পুর্ণ রেখে কী কী গুণাবলী অর্জন করা যেতে পারে -- সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে