আমার গলা বন্ধ হয়ে আসছে কান্নার গমকে... অনবরত অশ্রু ঝরে মাথা ঝিম-ঝিম করছে। এখনি জানলাম কিছুক্ষণ আগে গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ১০ জন শহীদ হয়ে গেছে। ৩জন শিশু, ৪জন নারী। ইহুদিবাদ প্রতিষ্ঠায় অন্ধ অভিশপ্ত বনী ইসরাইলের বংশধররা স্বভাবসুলভ উন্মাদ হয়ে গেছে। গত দু'দিনে গাজায় শহীদ হয়েছে ৬০ জনের বেশি। আল্লাহ তাদের মৃত্যুকে কবুল করে নিন। এই বোনেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসের ঝর্ণার ধারে যেন চিরকাল ধরে আনন্দ করতে পারেন -- আল্লাহ আমার মতন অসহায় বান্দাদের দোয়াগুলো কবুল করুন!!
আজ সারাদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে যতবার অনলাইনে এসেছি, কান্না থামাতে পারিনি, শুধু মনে হচ্ছিলো মৃত্যুর আগে তারা কতই না অসহায় অনুভব করছিল। অল্প কিছু মানুষের জন্য প্রায় ৭০০+ বার বিমান ছুটে গেছে গাজা উপত্যকার উপর দিয়ে বোমা ফেলতে ফেলতে। এই সেই বনী ইসরাইলের পথভ্রষ্ট বংশধরেরা, মুসা আলাহিস সালাম এর মতন অজস্র নবী রাসূলকে তারা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছিল, তাদের অন্ধ অহংকার আর কপট ঔদ্ধত্য তাদের আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছ থেকেই অভিশপ্ত করেছে। আমাদেরকে আল্লাহ করেছেন সম্মানিত, তাঁর দ্বীনের দায়িত্ব দিয়ে। একদিন ওদের বইয়ে ওদের পরাভূত করা হবেই ইনশাআল্লাহ, হয়ত সেদিন তেল আবিবের রাস্তাতে ওদের অপবিত্র রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমাদের প্রথম কিবলা মাসজিদুল আকসা একদিন ওদের করায়ত্ব থেকে মুক্ত হবেই, ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের এই রক্ত আমাদেরকে সেই সুন্দর সময়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
ইহুদিরা এমনই। শত বছরের বেশি ওদের নীল নকশা। ওরা জ্ঞান বিজ্ঞানে সবসময়েই এগিয়ে থেকেছে, আল্লাহ তাদের অনেক রহম করেছিলেন সবসময়েই। সেটা ব্যবহার করে ওরা যেখানেই সুযোগ পায়, প্রতিষ্ঠান খুলে বসে। তাই বিবিসি, সিএনএন হোক, স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডস হোক, ফানটা, স্প্রাইট হোক, যা ছাড়া এই সময়ের মানুষ প্রায় অচল বলে মনে করে -- তাই ওদের করায়ত্ব প্রতিষ্ঠান। অজস্র প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে আসে টাকা - তা দিয়ে কেনা বোমায় শহীদ হয় ফিলিস্তিনিরা। ওরা খবরকে ঘুরিয়ে দেয়, পৃথিবীর ইকোনমি কব্জা করে কেবল থাকার জায়গা পেতে, উড়ে এসে জুড়ে বসে। কোনদিন এই প্রচেষ্টা সফল হবেনা ইনশাআল্লাহ।
আজকে নিজের সাথে প্রতিজ্ঞা করছিলাম, যতটা সম্ভব সময়ের সদ্ব্যবহার করবো জীবনে। মানুষের উপকারে আসে -- এমন প্রতিষ্ঠান আমরা কেন তৈরি করতে পারব না? সেই প্রতিষ্ঠানের লাভের টাকায় হবে অন্য আরো দশটা মুসলিম-অমুসলিম মানুষের সাহায্য, দূর করা হবে তাদের কষ্ট। আমাদের একটা প্রজন্মই সব ঘুরিয়ে দিতে পারি। ইহুদিদের মতন শিকড় কাটা পশুগুলো যদি মাত্র একশ বছরে পৃথিবীকে ভ্রান্তির মাঝে ফেলে চুবিয়ে দিতে পারে -- আমরা সেই নোংরা শক্তির বিপরীতের আরো শতগুণ বেশি শক্তিশালী ও উপকারী হতে পারব।
আমাদের জীবনের গন্তব্য তো পরিষ্কার। আমাদের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তই কল্যাণময়। কষ্টে থাকলেও তা আমাদের জান্নাতের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন সুখে থাকি, তখন প্রতিটি কৃতজ্ঞতার নিঃশ্বাস আমাদেরকে আমাদের চিরজীবনের সফলতার দিকেই নিয়ে যায়। সেই দিন তো তেমনও দূরে নয়, যেদিন আমরা বিশ্বাসীরা সবাই আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকব, আমাদের কাছে দুনিয়াটা মনে হবে হয়ত দিনের একটা বেলা ছিলাম। আমাদের হারানোর কিছু নেই। সব প্রাপ্তির এই জীবনটা কেবলই অন্যের জন্য বিলিয়ে দেয়া, শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় -- মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের স্বপ্নে... আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।
১৮ নভেম্বর ২০১২
রাত ১০-৫৮ মি
আজ সারাদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে যতবার অনলাইনে এসেছি, কান্না থামাতে পারিনি, শুধু মনে হচ্ছিলো মৃত্যুর আগে তারা কতই না অসহায় অনুভব করছিল। অল্প কিছু মানুষের জন্য প্রায় ৭০০+ বার বিমান ছুটে গেছে গাজা উপত্যকার উপর দিয়ে বোমা ফেলতে ফেলতে। এই সেই বনী ইসরাইলের পথভ্রষ্ট বংশধরেরা, মুসা আলাহিস সালাম এর মতন অজস্র নবী রাসূলকে তারা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছিল, তাদের অন্ধ অহংকার আর কপট ঔদ্ধত্য তাদের আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছ থেকেই অভিশপ্ত করেছে। আমাদেরকে আল্লাহ করেছেন সম্মানিত, তাঁর দ্বীনের দায়িত্ব দিয়ে। একদিন ওদের বইয়ে ওদের পরাভূত করা হবেই ইনশাআল্লাহ, হয়ত সেদিন তেল আবিবের রাস্তাতে ওদের অপবিত্র রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমাদের প্রথম কিবলা মাসজিদুল আকসা একদিন ওদের করায়ত্ব থেকে মুক্ত হবেই, ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের এই রক্ত আমাদেরকে সেই সুন্দর সময়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
ইহুদিরা এমনই। শত বছরের বেশি ওদের নীল নকশা। ওরা জ্ঞান বিজ্ঞানে সবসময়েই এগিয়ে থেকেছে, আল্লাহ তাদের অনেক রহম করেছিলেন সবসময়েই। সেটা ব্যবহার করে ওরা যেখানেই সুযোগ পায়, প্রতিষ্ঠান খুলে বসে। তাই বিবিসি, সিএনএন হোক, স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডস হোক, ফানটা, স্প্রাইট হোক, যা ছাড়া এই সময়ের মানুষ প্রায় অচল বলে মনে করে -- তাই ওদের করায়ত্ব প্রতিষ্ঠান। অজস্র প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে আসে টাকা - তা দিয়ে কেনা বোমায় শহীদ হয় ফিলিস্তিনিরা। ওরা খবরকে ঘুরিয়ে দেয়, পৃথিবীর ইকোনমি কব্জা করে কেবল থাকার জায়গা পেতে, উড়ে এসে জুড়ে বসে। কোনদিন এই প্রচেষ্টা সফল হবেনা ইনশাআল্লাহ।
আজকে নিজের সাথে প্রতিজ্ঞা করছিলাম, যতটা সম্ভব সময়ের সদ্ব্যবহার করবো জীবনে। মানুষের উপকারে আসে -- এমন প্রতিষ্ঠান আমরা কেন তৈরি করতে পারব না? সেই প্রতিষ্ঠানের লাভের টাকায় হবে অন্য আরো দশটা মুসলিম-অমুসলিম মানুষের সাহায্য, দূর করা হবে তাদের কষ্ট। আমাদের একটা প্রজন্মই সব ঘুরিয়ে দিতে পারি। ইহুদিদের মতন শিকড় কাটা পশুগুলো যদি মাত্র একশ বছরে পৃথিবীকে ভ্রান্তির মাঝে ফেলে চুবিয়ে দিতে পারে -- আমরা সেই নোংরা শক্তির বিপরীতের আরো শতগুণ বেশি শক্তিশালী ও উপকারী হতে পারব।
আমাদের জীবনের গন্তব্য তো পরিষ্কার। আমাদের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তই কল্যাণময়। কষ্টে থাকলেও তা আমাদের জান্নাতের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন সুখে থাকি, তখন প্রতিটি কৃতজ্ঞতার নিঃশ্বাস আমাদেরকে আমাদের চিরজীবনের সফলতার দিকেই নিয়ে যায়। সেই দিন তো তেমনও দূরে নয়, যেদিন আমরা বিশ্বাসীরা সবাই আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকব, আমাদের কাছে দুনিয়াটা মনে হবে হয়ত দিনের একটা বেলা ছিলাম। আমাদের হারানোর কিছু নেই। সব প্রাপ্তির এই জীবনটা কেবলই অন্যের জন্য বিলিয়ে দেয়া, শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় -- মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের স্বপ্নে... আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।
১৮ নভেম্বর ২০১২
রাত ১০-৫৮ মি