৮ এপ্রি, ২০১৩

ঈমান নিয়ে সীমানা সুস্পষ্ট যখন

যখন ইসলামবিদ্বেষী উগ্র ঘৃণ্য নাস্তিকদল ও তাদের প্রশ্রয়-সমর্থনদাতাদের লাগাতার সীমাহীন অসভ্যতা, উগ্রতা, সীমালঙ্ঘন, আস্ফালন পরিষ্কারভাবে অবধারিত একটি মোটাদাগের রেখা টেনে স্পষ্ট করে আলাদা করে দিলো দ্বীনের প্রতি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা আর ঈমান রক্ষার তাগিদে জেগে ওঠা মুসলিমদের সাথে -- তখন বিষয়টি লক্ষ্যণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ! এই দেশের, এই সময়ে, এই পরিস্থিতিতে কারো পক্ষে এই সুস্পষ্ট বিভাজন এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। সমস্ত আলেম, সমস্ত মুসলিমদল, সকল ঈমানদার মানুষ যখন একদিকে স্থান নিয়েছে, তখন অন্যপাশে ধর্মনিরপেক্ষ নাস্তিক ইসলামবিদ্বেষীদের কাছ থেকে ইসলামের ব্যাখ্যা নিয়ে যারা স্বস্তি/আশ্রয় খুঁজতে চাইছেন তারা যে ইসলামের ধারে-কাছে নেই তা বুঝতে 'কমনসেন্স' যথেষ্ট। ইসলাম শিখতে হয় যারা জীবন ধরে দশক-দশক যাবত ইসলামের গভীরে গিয়েছেন, শিখেছেন, জীবনের প্রতি পদক্ষেপে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে পালন করেছেন/করার চেষ্টা করেছেন তাদের কাছ থেকে!

অনলাইনে বসে প্লেটো-সক্রেটিস-হুমায়ূন উদ্ধৃতি শেয়ার করা আর কুরআনের আয়াত শেয়ার করার মাঝে যে বিস্তর ফারাক, সেইটা মুসলিমরা বুঝে কিন্তু মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা টের পায়না; নাস্তিক, ইসলাম থেকে দূরে থাকা মূর্খ মুসলিমদের কথা বাদই দিলাম। সাধারণ মুসলিমদের চোখেই ধুলো দিতে পারবেন না এই উপায়ে মিথ্যা বলে/বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়ে; আল্লাহ তো সবই জানেন, তিনি সর্বশক্তিমান, প্রতাপশালী ও একমাত্র সত্বা যাকেই শুধুমাত্র ভয় পেতে হয়, অন্য কাউকে নয়।

তাই, খুব ভালো করে নিজের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। সবশেষে, আপনি/আমি আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো সাথে কেবল নিজেদের কাজগুলো যাবে। সত্যকে দেখে-বুঝে মিথ্যার সাথে আঁটোসাঁটো হয়ে লেপ্টে থাকলেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা মাফ করে দিবেন মৃত্যূর পরে -- এমনটা চিন্তা করা সম্পূর্ণ বোকামি। আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দিন, বিভ্রান্ত মুসলিম নামধারী মূর্খ ব্যক্তিসহ আমাদের সবাইকে হিদায়াহ দিন এবং সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। হে আল্লাহ!! আপনি আমাদেরকে দ্বীনের পথে অবিচল থাকার এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবার তাওফিক দান করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে