২ এপ্রি, ২০১৩

বৃষ্টিভেজা রাতে তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ মন

ভেজা পিচঢালা রাস্তার পথ মাড়িয়ে প্রিয় মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে সাদা ধবধবে মার্বেল পাথরে পা রাখতেই একটু বেশি শীতলতার স্পর্শেই যেন টের পেলাম আজ বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যা ছিলো। সলাতে দাঁড়িয়ে প্রথম রাকা'আতে ইমামের সূরা হাশরের ২১ নম্বর আয়াতটির 'লাও আনযালনা হা যাল কুরআনা আলা জাবালিল... ...ইয়াতাফাক্কারুউন" তিলাওয়াত শুনে মনে হলো, এই কন্ঠের আর্দ্রতাটাও কি আজকে একটু বেশি না? হয়ত ইমামের কন্ঠে আসলেই বেশি আবেগ ছিলো, আয়াতটি তিলাওয়াত করার সময় অর্থটা অনুভব করেই এমন হয়েছিলো তার, আমি জানিনা। তবে, আমার অনুভব হয় সলাতের সময় প্রতিটা মানুষের কুরআন তিলাওয়াতগুলো তার সব সময়ের তিলাওয়াতের চাইতে বেশি আর্দ্র, গভীর অনুভূতিময় হয়। মিশারী আল আফাসির তিলাওয়াতে আমি এটা অনুভব করেছিলাম। আমাদের ইমাম যখন খুতবায় আলোচনা করেন, তাফসিরের সময় আলোচনা করেন -- তখনকার তিলাওয়াতের সাথে সলাতের তিলাওয়াত একদমই অন্যরকম লাগে, তার 'ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম' শুনলে আমার মনে হয় যেন সত্যিই প্রচন্ড অসহায় বান্দা তার আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছে... সুবহানাল্লাহ! এ আমার দ্বীন, যার পরতে পরতে সৌন্দর্য গেঁথে গেঁথে আছে। আমাদের স্রষ্টা ও মালিকের কাছে নিজেকে সোপর্দ করে সব কিছুর জন্য তারই কাছে সাহায্য চাওয়ার মাঝেই কত যে শক্তি আর প্রশান্তির প্রবাহ লুকিয়ে আছে! কত সহজেই এই দ্বীনের খোঁজ দিয়েছিলেন আমার রব, এটা ভাবতেই মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু এই নিয়ামাতটির শুকরিয়া করেই আমার গোটা জীবন কাটিয়ে দিলেও তা যথেষ্ট হবেনা।

হে রাহমান! জানিনা কবে তোমায় দেখবো, তুমি যে কত সুন্দর, তা তোমার সৃষ্টি দেখেই উপলব্ধি করতে পারি। আমাদের জীবনকে তুমি কেবল তোমার জন্যই কবুল করে নাও গো আল্লাহ, হে মহাপবিত্র, হে মহামহিম!

সূরা আল-হাশরের সেই আয়াতটি যা ইমাম তিলাওয়াত করলেন সলাতে :

♥♥ "যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।" ♥♥

--- [মহিমান্বিত কুরআন, আল হাশর, ৫৯ : ২১]

1 টি মন্তব্য:

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে