৭ অক্টো, ২০১২

ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামে গুগল সার্চ

ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামে গুগল সার্চ দিয়ে একটা আস্তাকুঁড় ব্লগে চলে গিয়েছিলাম। আরেকটা ওয়েবসাইটে গিয়েছিলাম। আফসোস!! চোখে পানি আসতে বাকি ছিল। নরাধমগুলো এমনভাবে ভাষা ব্যবহার করেছে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা | Imam Ibn Taimiyyah (রাহিমাহুল্লাহ)-কে নিয়ে, যেন তাদের বাসার পাশের বস্তির রিকশাওয়ালাকে নিয়ে গীবত করতে বসেছে। অদ্ভুত আর আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। ইসলামের নামে ওয়েবসাইট খুলে রেখে, ব্লগ খুলে রেখে এসব দিয়ে আখিরাতের ভয়াবহতা বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কি? আর আমরা যারা নিজেদের মুসলিম মনে করি, মুক্তি চাই আল্লাহর কাচে, আমাদের কর্মতৎপরতা কোথায়? আমরা আসলে কী করি? কয়টা প্রোডাক্টিভ কাজ করি একটা দিনে? কয়টা জিনিস শিখি? শেখাই? কাজে লাগাই জ্ঞান?

 আশ্চর্য লাগে, মানুষের বিশ্বাসে, চেতনায়, আচরনে, দৈনন্দিন জীবনধারণে ইসলামী অনুপ্রেরণা থাকে না, থাকেনা মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ -- অথচ মূর্খতায় ডুবে থাকা ঘৃণা উদগীরণে সদা তৎপর থাকে আমাদেরই সমাজের মানুষগুলো। একটা সময় এদের দেখে হতাশ হতাম -- এখন সম্পূর্ণ অনুপ্রেরণা পাই, এরা আমাকে আরো বেশি দৃঢ়চেতা করে দেয়। নিজের ভিতরের পশুটাকে ভালো করে চিনতে শেখায়। তার বিরুদ্ধে নিজেকে প্রস্তুত হতে অনুপ্রাণিত করে, সচেতন করে।

যেই মানুষগুলো জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন আল্লাহর পথে -- জ্ঞানে, সৎকাজের প্রতিষ্ঠায়, অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদে যারা কাঁপিয়ে দিয়েছেন ন্যায়হীন নীতিহীন শাসকদের অন্তরাত্মা; এমন মানুষদের নিয়ে প্রবল তুচ্ছ জ্ঞানসম্পন্ন পাপাসক্ত মানুষগুলো গন্ডমূর্খ না হলে কীভাবে কুৎসা রটায়? যিনি আখিরাতে মুক্তি চাইবেন, তিনি অবশ্যই নিজের প্রতিটি কাজের প্রতি খেয়াল রাখবেন -- এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সরল সঠিক পথে রাখেন, যেন আমরা তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। আমাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট অভিশপ্তদের দল থেকে যেন মুক্ত রাখেন। আমিন।


২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে