১৪ মার্চ, ২০১৫

একুশে ফেব্রুয়ারি

​ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা সবাইই প্রকাশ করেছি, করছি। কিন্তু একটা বেদীতে, স্থাপত্যের গোড়ায় ফুল দিয়ে এসে আমরা কী বুঝাতে চাই? এই নামকাওয়াস্তে সম্মান দিয়ে ভাষার জন্য জীবন দেয়া মানুষরা আদৌ কোন উপকার পাবেন, নাকি আমরা পাবো? মুসলিমদের বিশ্বাসের সাথে এই বিষয় সরাসরি সাংঘর্ষিক। আমরা আল্লাহর কাছেই চাই, পাথরের-প্লাস্টিকের কাছে 'সম্মান' একসময় সেটার ইবাদতে পরিণত হয়। শয়তান এভাবে অজস্র জাতিকে পথভ্রষ্ট করেছে, আল্লাহর ইবাদত ঠেলে এভাবেই মূর্তিপূজার আবির্ভাব ঘটে। আখিরাতে ক্ষতি না চাইলে সাবধানতা জরুরি।

ঘরে ঘরে ডিশ সংযোগ নিয়ে শিশুদের সবার মাঝে কেমন ভাষার চর্চা হয় তা আশা করি সবাই জানে। প্রতিদিন অজস্র ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। বাংলা ভাষাভাষীদের সংখ্যা বেশি হলেও হিন্দির সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যেভাবে চলছে, আগামী প্রজন্ম বাংলাকে কেমন করে লালন করবে তা আল্লাহ ভালো জানেন। কয়েক প্রজন্ম পরে কী হবে তা নিয়ে আশাবাদী ভাব মারার আগে ঘরে ঘরে একটু খোঁজ নিলেই একজন টের পাবেন।

অনলাইনে বাংলা ভাষায় কিছু সার্চ দিতে গেলে গুগলের 'সাজেশন' এবং 'মোস্ট সার্চড কীওয়ার্ড' দেখে টের পাওয়া যায় এই ভাষার মানুষগুলো কতটা নোংরামি লালন করে।

ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শনগুলোর একটি। একজন বোবা জানে কথা বলতে পারা আল্লাহর কত বড় নি'আমত। আশা করি আমরা এমন দিনকেও 'ভ্যালেন্টাইন ডে' না বানিয়ে বাংলা ভাষাকে আরেকটু শিখবো, বাংলাকেই চালু রাখবো নিজেদের আলাপে--তাতে হিন্দি আংরেজি ঢুকিয়ে 'ইশ্মার্ট' হবার চেষ্টা করবো না। আল্লাহ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে রহম করুন।

[২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫]