১৩ আগ, ২০১৩

যে অদৃশ্য কারাগারে বন্দী থাকি অনেকেই

জীবনে আমরা অনেকেই খুব সহজেই যে ভুলগুলো করি তার একটা মনে হয় --অন্যদের কাছে নিজেদের জীবনের ব্যাখ্যা দিতে যাওয়া। আমি শিখেছি জীবনে, কারো কাছে ব্যাখ্যা দিতে যেয়ো না -- যে তোমাকে ভালোবাসে, সে তোমার ব্যাখ্যা না শুনলেও তোমাকে ভালোবাসবে। যে তোমাকে অপছন্দ করে সে তোমার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হলেও অপছন্দই করবে।

মানুষ কী মনে করলো, সে কী ভেবে বসলো -- এই বিষয়টা আমাদেরকে এক অদৃশ্য কারাগারে নিক্ষিপ্ত করে। তাদের কাছে নিজেদের ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আমাদের মানসিক শক্তি ক্ষয় হয়, সময় চলে যায়। কতই তো দেখেছি, কিছু বন্ধু/ভাই আমাকে ঘৃণা করবেন এমন আশাতেই চারপাশে চোখ বিদ্ধ করতেন কাজে-কর্মে, ভুল পেয়ে আমাকে ধরাশায়ী করে 'ঘৃণা' ছড়িয়ে চলে গেলেন। ঘৃণা করতে কষ্ট হয়না, ওটা আপনাতেই হয়। ভালোবাসা জিনিসটাই শ্রমসাপেক্ষ, বাজারি নারী-পুরুষ ভালোবাসার কথা বলছিনা, বলছি মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা।

জীবনটা খুব ছোট। অন্যের কাছে ব্যাখ্যা দিয়ে, তারা কী মনে করলো সেই বিষয়টাকে গুণতিতে ধরে জীবনকে অনর্থক জটিল করার কোন মানে হয় না। অন্য মানুষেরা যেন কখনো যেকোন ভালো বা খারাপে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। শুধু একজন কী ভাবলো তাতে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। শুধু তাঁর, সেই মহান আল্লাহর পছন্দকে এড়িয়ে যাওয়াই এই জীবনের সবকিছুকে অর্থপূর্ণ থেকে অর্থহীন করে দিতে পারে। এই কেন্দ্রে স্রষ্টার সাথেই হৃদয় জুড়ে থাকুক, দূর হোক স্রষ্টার সৃষ্টিদের কাছে মানসিক কারাগারের বন্দীত্ব।

স্বপ্ন কারখানা, তিলোত্তমা নগরী
১১ আগস্ট, ২০১৩ ঈসায়ী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে