২১ নভে, ২০১৩

মনের জানালা মাঝে # ৩



(২৬)
সুখী হতে হলে ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দিত হওয়া শিখতে হয়।

(২৭)
দু'আ করার সময় তাদেরকে স্মরণ রাখুন যারা আপনাকে একজন উন্নত মুসলিম হবার পথে সাহায্য করেছেন, করছেন।

(২৮)
মানুষের সাথে নিজের দুঃখ-দুর্দশার কথা শেয়ার করলে বেশিরভাগ মানুষ আনন্দিত হয়, সে তখন চিন্তা করতে থাকে সে আসলে কত ভালো আছে! বিষয়টা অদ্ভুত বাস্তব...সত্যিকার সমব্যথী দুস্প্রাপ্য, তা পেতে চাওয়া বোকামি; অনায্যও বটে...

(২৯)
যতবার মানুষকে বেশি মূল্য দিয়েছি, মানুষের কাছে প্রত্যাশা করেছি; ততবার কষ্ট পেয়েছি, ততবার যন্ত্রণাদগ্ধ হয়েছি। প্রত্যাশা করার প্রয়োজন কেবলই আল্লাহর কাছে। শুধুই তিনি, কেবলই তিনি। সমস্ত ক্ষমতা তো কেবলই তাঁর।

(৩০)
নিজেকে নিজের কাছেই প্রমাণ করার চেষ্টা করুন, অন্যদের কাছে নয়।


(৩১)
সবকিছুর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে। তাই কোন শংকা, দুশ্চিন্তায় থাকার কোন অর্থ নেই। আল্লাহর উপরে নির্ভর করে পথ চলুন। যা হবার এমনিতেই হবে...

(৩২)
দুনিয়ার যেসব জিনিস আপনি পেতে চেয়ে না পাবার অতৃপ্তিতে ভুগছেন, সেগুলোর বেশিরভাগ জিনিস আপনি পেলেও আপনার অন্তর এমন থাকত। যে অশান্তিতে থাকে, তার কারণ লাগে না। যে সন্তুষ্ট থাকার, সে এমনিতেই থাকে...

(৩৩)
যদি কখনো এমন কোন পরিস্থিতিতে পড়ে থাকেন যখন কেউ ছিলোনা সাহায্য করার, সেই দিনটির সেই মূহুর্তটির কথা ভাবুন, মৃত্যুর কথা ভাবুন -- এমনিতেই বুঝবেন এই জীবন আসলে কারো জন্য না। চারপাশের বন্ধন, ভালোবাসা, ভালোবাসার মানুষ, সুখ, সুখের হাতছানি, প্রিয় বস্তু -- সবাইকে বিদায় দিতে হবে। একলা আমরা বড়ই দুর্বল, খুবই দুর্বল। একলা আমাদের কেউ গুণেও দেখে না, কেউ যদি পরিচিতি না জানে, কেউ অধিকার দিতেও চায় না। সেই একলা আমাদেরই গন্তব্য মাটির নিচে। সেই আমরাই মহান আল্লাহর বান্দা। তার জন্যই এ জীবন, এই বোধটা প্রতিদিনই অনেকবার করে স্মরণ করা, করিয়ে দেয়া উচিৎ। যেতেই হবে সবাইকে, যাবার সময় কবে, কেউ জানেনা, কীভাবে হবে বিদায় সেটাও কেউ জানেনা।


(৩৪)
মেধা ও বুদ্ধি অন্যদের চাইতে একটু বেশি হওয়া, বা চিন্তাশক্তি একটু বেশি হওয়ায় আনন্দিত হবার চাইতে দুঃখভারাক্রান্ত হবার বিষয়ই বেশি। যার যত বেশি যোগ্যতা, আল্লাহর কাছে হিসাবের ভয়ও তত বেশি। যত বেশি যোগ্যতা, তত বেশি দায়িত্ব। যত বেশি যোগ্যতা, তার বোধশক্তি বেশি, পৃথিবী যে যেমন দেখা যায় তেমন না, এইটা বুঝা যায়। মেধা বেশি হলে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়ার কারণগুলোর সাথে আরো বড় একটি কারণ যুক্ত হয়।

(৩৫)
নামিবিয়াতে এখন দুর্বিষহ খরা। আপনি, আমি বাংলাদেশে নিজেদের কোন বিশেষ যোগ্যতায় জন্মাইনি। হয়ত অন্য অনেক জায়গা থেকে আমরা ভালো আছি, কিন্তু সেই ভালো থাকার জবাবদিহিতা হবে না, তা চিন্তা করা অন্যায়। হয়ত অনেকের চাইতে কষ্টে আছি জাতি হিসেবে, কিন্তু তার জন্য আল্লাহর পুরষ্কার হবেনা আখিরাতে, সেটা ভাবাও অন্যায়। নির্ভর করুন আল্লাহর উপরে, সবসময় সন্তুষ্ট থাকুন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সবসময় সন্তুষ্টচিত্ত হৃদয়কে ধারণ করার এবং সেই প্রশান্তচিত্তেই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার তাওফিক দান করেন।

(৩৬)
অতীতের কোন ঘটনা যে কষ্ট দিয়েছে তা হয়ত আপনি ভুলতে পারবেন না, কিন্তু তা আপনাকে যা শিখিয়েছে তা যেন কখনো ভুলে না যান।

(৩৭)
যাকে 'ফেসবুক সেলিব্রিটি' বলা হবে তার অপমানিত বোধ করাই স্বাভাবিক ছিলো। বাংলা ভাষাভাষীদের ফেসবুক ব্যবহারের হিসেবে বাংলা পরিভাষায় এই শব্দটি অপমান ও ধিক্কার ধারণ করে। আল্লাহ যেন মু'মিনদেরকে এই শব্দটির ও এই বিষয়টির হাত থেকে রক্ষা করেন...