২৮ জুন, ২০১৩

আন্তরিক কাজকেই আমরা পছন্দ করি মুখভরা বুলি নয়

মানুষের মুখভরা প্রচুর বুলি, প্রচুর জ্ঞানগর্ভ কথার অলংকার, প্রচুর উপদেশবাণী মনে হয় খুব কমই আমরা গ্রহণ করি। আমরা সম্ভবত অনেক বেশি শিক্ষা গ্রহণ করি অন্যদের আন্তরিক কাজগুলো থেকে, তাদের জীবন দিয়ে করা বিভিন্ন আচরণ ও কাজ থেকে। জীবন তিন দশকের শেষভাগে এসেও আমি দেখলাম আজকে যখন একজন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অফিসার অফিসে ঘুরতে এলেন, তখন আমি কীভাবে তাকে অভ্যর্থনা দিবো, কীভাবে কথা বলবো এটার একটা ধারণা পেতে আমি শেখার জন্য তাকাচ্ছিলাম একজন সিনিয়র কলিগের দিকে, যার অন্য অনেক আচরণের বেশ কিছু আমার পছন্দ ছিলো। অথচ উনি আমাকে কখনো উপদেশ দিতে আসেননি, শেখাতে আসেননি।আমি দেড় বছর ধরে তাকে দেখে নিজে থেকেই এই আস্থাটি রেখেছি তার উপরে।


কোন পরামর্শ দরকার হলে আমরা তাদেরকেই খুঁজি যাদের জীবনের ছাপ বলে দেয় তারা ঐ বিষয়গুলো যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে এবং সুন্দরভাবে অতিক্রম করেছেন, অথবা যিনি আমার কথাটা মন দিয়ে, আন্তরিকতা দিয়ে বুঝতে চাইবেন। এই সবগুলো বিষয়েই আমি আন্তরিকতাকেই খুঁজে পাচ্ছি ইদানিং।

তাই নিজ জীবনের অজস্র বিষয়ে তো বটেই, ইন্টারনেটেও কলকলিয়ে কথা বলে যাওয়া, হাজার হাজার শব্দস্রোতে মানুষকে ভাসিয়ে দিলেই আদৌ কারো উপকার হবে বলে বিশ্বাস করিনা। বরং সেই সকল কথাই কারো উপকারে আসে, যা *বাস্তব* মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা এবং অন্তরের প্রকৃত অনুভূতি থেকে নিঃসৃত হয়।

আল্লাহ আমাদেরকে সুন্দর নিয়্যাত এবং ইখলাস নিয়ে কাজ করার তাওফিক দিন, যেন আমাদের কাজগুলো সৌন্দর্যমন্ডিত হয় এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার দরবারে কবুল হয়। কেননা, একদম শেষে আমাদের হিসাবে কল্যাণক বয়ে আনবেনা কাজগুলোর পরিসর এবং আকার। বরং, কল্যাণ আনবে কাজগুলোর গুণগত মান, তাতে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা।

[২৭ জুন, ২০১৩]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে