২৮ জুন, ২০১৩

যে ছেলেটা মুসলিম হিসেবে বাঁচতে চায় তার জীবনটাই ভয়াবহ

যে ছেলেটা মুসলিম হিসেবে বাঁচতে চায় তার জীবনটাই ভয়াবহ। বন্ধুদের আড্ডায় কানকে সংযত রাখতে হয়, মুখে রাগ নিয়ে কথা বলা যায় না, বান্ধবীদের সাথে সবাই চিকেন খেতে গেলে সেখান থেকে কৌশলে সরে আসতে হয়, যত্রতত্র চকচকে বিলবোর্ড দেখে চোখ নামাতে হয়, বাসে-ট্রেনে চলতে গেলেও চোখ নামিয়ে সংযম করতে হয়। চারিদিকে ছাগু বলার লোকের অভাব নেই অবয়ব দেখে, শত্রুতা তো আছেই সবার। সবশেষে ঘরে ফিরতে হয়। প্রতিদিন-প্রতিমূহুর্তের এমন যুদ্ধযাত্রাগুলো সামলেই পড়াশোনা, চাকরি-বাকরি করা। একসময় এই যুদ্ধেও তার ক্লান্ত লাগতে থাকে। ছাত্রজীবন পেরিয়ে বছরের পর বছর চাকুরি করে বেতনের স্বর্বস্ব দিয়ে বাবা-মায়ের সংসারে দিলেও এমন সন্তানরা তখনো 'কমবয়েসি' থাকে। এমন সন্তানরা যখন বিয়ে করতে যায় তখন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম পরিবারের লোকেরা অনেক অনেক টাকা খোঁজে, বাড়িঘর খোঁজে ঢাকা শহরে, শক্তপোক্ত আত্মীয় খোঁজে, তাদের মুখনিঃসৃত শব্দগুলো থাকে প্রখর, তীব্র ধারালো, নোংরা...


এ এক নষ্ট সমাজ। সত্যিই আল্লাহ একদিন রাহমান থেকে কাহহার হবেন, সেদিন কারো একটুও যে মুক্তি হবেনা তা নিঃসন্দেহ। এতদিন ভাবতাম কেনই বা এত কঠিন সবকিছু হবে। চারিদিকে চেয়ে টের পাই, বান্দার হক আদায় করার বিষয়টা এত সহজ না, লেবাসে দ্বীন আনলেও মানুষের প্রতি করা প্রতিটা আচরণেরই হিসাব দিতে হবে কারণ তা বান্দার হক। মনের চিন্তাগুলোই কথা হয়, কাজ হয় -- তাই চিন্তা কীভাবে গড়ে উঠছে সেই বিষয়েও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আল্লাহ মানুষকে হিদায়াহ দিন, আর হিদায়াতের যোগ্য যারা না, তাদের থেকে মুসলিমদেরকে ক্ষমা করুন। হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক আদায়ে নিপুণ হবার তাওফিক তিনি আমাদেরকে দিন।

[২৫ জুন, ২০১৩]