১১ জানু, ২০১৫

চরিত্রের সাথে স্বভাবের সৌন্দর্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ

​আমাদের একেকজনের চরিত্র এবং স্বভাব বা আচার-আচরণ দু'টো ঠিক একই জিনিস নয়, character এবং habit একই নয় বরং পার্থক্য রয়েছে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমাদের চরিত্র সুরক্ষিত সুন্দর রাখতে পারছি বলে স্বভাব বা ব্যবহার গৌণ ও মূল্যহীণ হয়ে গেলো। বরং, আমাদের আচার-আচরণ অন্যদেরকে আমাদের কাছে টানে অথবা দূরে সরিয়ে দেয়। আল্লাহ আমাদের উত্তম আখলাক দান করুন।


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং নাবী আলাইহিমুস সালামের আখলাক ছিলো খুবই উত্তম। তারা অন্যদের সাথে সর্বোত্তম উপায়ে কথা বলতেন, সর্বোত্তম ধারণা পোষণ করতেন। মুখের ভাষা ছিলো অনেক সুন্দর। তারাই আমাদের আদর্শ। আমাদের আদর্শ কোন বাপ-দাদা-চাচা-মামা কিংবা দেশের নেতা নয় বরং আমাদের আদর্শ আল্লাহর পাঠানো নাবী-রাসূলরা (আলাইহিমুস সালাম)।

চরিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা আমাদের জন্য দরকারী। কিন্তু জীবনের চলার পথে আমাদের কোমলতা ও বিনয়ও খুবই দরকারী। আমরা অনেকেই বেখবর থাকি হয়ত এই ব্যাপারটা নিয়ে। কোমলতা ও বিনয় আমাদের আচরণে ফুটে ওঠে। আমাদের চাহনি, কন্ঠ, ভাষা, শব্দতে ফুটে ওঠে বিনয়। আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমি তাদেরকেই বেশি ভালোবেসেছি এবং মু'মিন লোকদেরকেও ভালোবাসতে দেখেছি তাদেরকেই যারা বেশি বিনয়ী, নম্র ও কোমল স্বভাবের। এটা মূলত প্র্যাকটিসের ব্যাপার, তবে তারও আগে প্রয়োজন ইচ্ছা।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

-- "যার চরিত্র যত সুন্দর এবং নিজ পরিবারের সাথে যার ব্যবহার যত নম্র ও কোমল, তার ঈমান ততই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক।"[তিরমিজী, হাকেম]

-- "আল্লাহ তায়ালা কোমলচিত্ত। সবকিছুতে তিনি কোমলতাকে পছন্দ করেন। "[বুখারী ও মুসলিম]

-- "যাকে বিনয় ও নম্রতা দান করা হয়েছে, তাকে যাবতীয় কল্যাণ দান করা হয়েছে। আর যাকে বিনয় ও নম্রতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।"[তিরমিযী]

-- "নম্রতা ও কোমলতা যে জিনিসেই থাকবে, তা সুন্দর ও সুষমামন্ডিত হবে, আর কঠোরতা যে জিনিসেই থাকবে, তা কুৎসিত এবং অকল্যাণকর হবে"[মুসলিম]

# for details of the hadith: http://goo.gl/acwmAf

[০৭ জানুয়ারি, ২০১৫]