৩ মার্চ, ২০১২

টুকরো টুকরো ভালোলাগা - ২


আমার জীবনে আঁটঘাঁট বেঁধে করা প্ল্যানের পরিমাণ হয়ত কয়েকশত হয়েছে। কোন কাজই কোনদিন শেষ হয়নি এবং কখনো আমার মনেও হয়নি আমি কিছু করতে পেরেছি। ইদানিং পুরোনো অনেক কিছু ঘাঁটতে গিয়ে দেখি একটা উল্লেখযোগ্য কিছু একটা হয়েছে, অন্তত সেটা শূণ্য না। একটু চিন্তাভাবনা করে যা আবিষ্কার করলাম তা হলো -- আমার মতন দুর্বল আর এলোমেলো আর ক্ষুদ্র মানুষের দ্বারা যা অর্জন এসেছে তার পেছনে উদ্দীপনা আর আন্তরিকতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়াই ছিলো অন্যতম প্রধান কারণ। আমার বিশেষ কোন যোগ্যতা ছিলো না। আল্লাহ আমার ছোট ছোট কাজের ওই ইচ্ছেগুলোকে রহম করে একটা কিছু দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আর আমার মতন এরকম কাজ যে কেউ-ই করতে পারে, পারতো, পারবে ইনশাআল্লাহ।

একটা জিনিস কো-রিলেট করলাম, মানুষের নিয়্যাহ বা intention ঠিক থাকলে আর কাজে লেগে থাকলে আসলেই অনেক অনেক অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট সম্ভব। পৃথিবীর বুকে সফলতাগুলো মূলত এই মুজাহাদা বা একনিষ্ঠভাবে আন্তরিকতার সাথে লেগে থাকার সাথে সমানুপাতিক। একইভাবে, জান্নাত অনেক কঠিন টার্গেট হলেও, নিজ নিজ ক্ষুদ্র যোগ্যতায় পূর্ণ আন্তরিকতাতে লেগে থাকলে একদিন সেটাও অ্যাচিভ হবেই ইনশাআল্লাহ। কেননা, সমস্ত সৃষ্টিই এক আল্লাহর। তিনিই সমস্ত ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী। আর তিনি অন্তরটাই দেখেন। কাজের ভলিউম বা অ্যামাউন্টের দিকে না, বরং একাগ্রতা আর ইচ্ছার হিসেবেই তিনি বিনিময় দেন, দিবেন।

মাঝে মাঝে নিজেকে যখন খুব অযোগ্য আর ভুলেভরা অবাঞ্ছিত বলে মনে হয় -- তখন এই কাজগুলো চোখের সামনে হাজির করলে এমন একটা ন্যুনতম প্রেরণা পাওয়া যায়, যা ঘুরে ফিরে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধে আবিষ্ট হবার বার্তা বয়ে আনে। আর এই কৃতজ্ঞতাবোধ বাস্তবতাময় কঠিন জীবনে বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়, ভালোবাসতে আর ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে শেখায়। আল্লাহ আমাদের সবাইকেই কৃতজ্ঞ বান্দা হবার যোগ্যতা দিন।