১৮ মে, ২০১৫

মনের জানালা মাঝে # ২৭


(২৯৩)
আল-জাজিরার এই ডকুমেন্টারি ভিডিওটাতে ইসরাইলের এজেন্টদের নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এখানে ছদ্মবেশী ইহুদি গোয়েন্দাদের কিছু অপকর্ম আলোকপাত করা হয়েছে যার মধ্যে ফিলিস্তিনি ফাতাহ পার্টির ফাউণ্ডার মেম্বার খলিল আল-ওয়াজির (আবু জিহাদ)-কে ১৯৮০ সালে হত্যা করা হয়; ইয়াহিয়া আয়াশ (দি ইঞ্জিনিয়ার) যাকে  ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে ইহুদি দালাল কামাল হাম্মাদের মাধ্যমে নিহত করা হয়। এছাড়াও ২০০৪ সালে ফিলিস্তিনি ইমাম এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাইখ আহমেদ ইয়াসিনকে শহীদ করা হয়।

আল-জাযিরার ডকুমেন্টারি [এটি ইতোমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে দেখলাম! (০৯/০৫/১৫)]: http://www.aljazeera.com/programmes/aljazeeraworld/2014/11/agents-israel-2014111114515339123.html

 এছাড়া, আরো দেখতে পারেন খালেদ মিশালকে হত্যার চেষ্টা : http://www.aljazeera.com/programmes/aljazeeraworld/2013/01/201312210472621589.htm
    মোসাদের গোপন যুদ্ধের উপরে ডকুমেন্টারি: http://www.aljazeera.com/focus/2010/02/201021818562529723.html

(২৯৪)
আমাদের দেখার জগত, চিন্তার জগত, অনুভূতির জগত এবং কল্পনার জগত পুরাই আলাদা। প্রতিটিই ভিন্ন এবং প্রতিটিই অসম্পূর্ণ...

(২৯৫)
সমালোচনা মানে গালি নয়, কাউকে ছোট করা নয়। সমালোচনা হলো ভুল দেখিয়ে দেয়া। ভুল হলে সেটা শুধরে নেয়াও উত্তম আচরণ। সমালোচনা করা যাবে না, ভুল দেখানো যাবে না-- এগুলো দাসসুলভ মানসিকতা, মুসলিম হিসেবে আমাদের এরকম মানসিকতা থাকা উচিত নয়। অন্যদিকে, সমালোচনার ভাষায় বেয়াদবি ও অন্যায় ভাষা ঘুরে ফিরে আমাদেরকেই আখিরাতে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবে। সচেতন থাকা জরুরি। মুখ ও হাত যেন আমাদের জাহান্নামের কারণ না হয়। আল্লাহ আমাদের ভুলগুলোকে মাফ করে দিন এবং সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

(২৯৬)
একটা বাসে বসে আছি, পাশে একটা ছোট ছেলে বসে আছে। ছেলেটার হাতে জেএসসি প্রবেশ পত্র। কিছু কথা বলার আগ্রহে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, "বড় হয়ে কী হতে চাও?"... ছেলেটা নিরুত্তাপ উত্তর দিলো, "কিছু হইতে চাই না।"... আমি অবাক হয়ে বললাম, "কেন?"... সে উত্তর দিলো, "কষ্ট করতে ভালো লাগেনা।"... আরেকটু কথা বলতে জানলাম বাংলা ২য় পত্র, সামাজিক বিজ্ঞান তার কাছে খুবই অপছন্দকর।

আমি আমার সমস্ত ভালোবাসা ও বুদ্ধি ব্যবহার করে তার মাঝে কিছু আশা ও স্বপ্ন জাগানোর চেষ্টা করলাম। আমাদের এই জঘন্য শিক্ষাব্যবস্থার মাঝে সবুজ মনের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আশা-স্বপ্ন টিকিয়ে রাখা যে কত কঠিন তা টের পেলাম আরেকবার। সেদিনই বুঝলাম, সুন্দর মনের একটা প্রজন্ম ছাড়া সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভব হয় না তা যে কতটা বাস্তব কথা... [নভেম্বর, ২০১৪]

​(২৯৭)
অনেকদিন পর একটি অনন্যসাধারণ অনুভূতি পেলাম। আইসিডিতে শাইখ সাইফুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহর হালাকায় অংশ নিলাম আলহামদুলিল্লাহ। উলামাগণ আমাদের জন্য চাদের মতন যারা জ্ঞানের সূর্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জ্ঞানে আলোকিত হয়ে আমাদের মাঝে আলোকময় জ্ঞানকে প্রতিফলিত করেন।

আজকে ইখতিলাফ নিয়ে শিখলাম। ইমামগণ (রাহিমাহুমুল্লাহ) যুগে যুগে কোন মূলনীতির উপরে কিয়াস করেছেন, কেমন দলীল থাকলে আর ইখতিলাফের সুযোগ থাকে না সেটা বুঝেছি ইনশাআল্লাহ।আল্লাহ যেন শুদ্ধ অন্তঃকরণ এবং পরিশুদ্ধ জ্ঞানের উলামাদের সংখ্যা আমাদের মাঝে বৃদ্ধি করে দেন, তাদের জ্ঞানে বারাকাহ দেন এবং আমাদের যেন তা থেকে উপকৃত হয়ে জান্নাতের পথে এগিয়ে যাবার তাওফীক দেন।

জ্ঞান আসলেই এমন জিনিস যা কিছু শব্দ ও কথাকে কেবল আত্মস্থ করার বিষয় নয়, বরং ইলম আমাদের মনোজগত ও দৃষ্টিভংগি বদলে দেয়, হৃদয় উন্মুক্ত করে দেয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের উপকারী জ্ঞান দান করুন।

//সুব'হানাকা লা 'ইলমা লানা, ইল্লা মা 'আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল 'আলীমুল 'হাকীম।//

[০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫]

(২৯৮)
অনেক অসৎ মানুষ আছে যারা সৎ লোকদের সাথে সততার ভেক ধরে তাদের সাথে প্রতারণা করে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করে এবং সৎ ব্যক্তিটির ক্ষতি করে। সে ঠিকই জানে তার এসবের প্রত্যুত্তরে ক্ষতি করবে না ঐ সৎ ব্যক্তিটি। সততাকে আঁকড়ে থাকা লোকেরা কম বুদ্ধির সরল মানুষ হলে এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। সেই সাথে এমন সময় কিছু লোক জুটে যায় যারা সততাকে দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করবে।

কিন্তু মনে রাখা উচিত, প্রতিদানের মালিক আল্লাহ। সরল বিশ্বাসে ন্যায় কাজ করে তাতে যতই ক্ষতি হোক না কেন, তার ফলাফল কল্যাণ ছাড়া কিছুই নয়। স্বার্থান্বেষী ধান্দাবাজ লোকেরা খুব অল্প কিছুদিন লাভবান হয়, এরপর বেইজ্জতি ও ঘৃণা তাদের সংগী হয়। আল্লাহ আদেশ করেছেন সত্য বলতে, ন্যায়বিচার করতে, হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে....

(২৯৯)
সমস্ত অভ্যাসই পরিশ্রমলব্ধ। গড গিফটেড টাইপ কথা বলে আমরা এড়িয়ে যাই অনেক কিছু-- নিজেদের অলসতা, উদ্দীপনার অভাব, কাজের প্রতি অনীহার অজুহাত দিই। কিন্তু আসলে, যাদের গিফটেড বলে মনে হয়, হতেই পারে তারা ঐ গুণটা গিফট পেয়েছেন, কিন্তু তারা কিন্তু সেটা টিকিয়ে রাখতে প্রাণান্ত কষ্ট করেন। যারা নতুন করে অভ্যাস করতে / গুণ অর্জন করতে শ্রম দেয়, সাধনা করে-- তারা একটা সময়ে 'অলস গিফটেড' দেরকে ছাড়িয়ে যায়। আমার একটাই উপলব্ধি এই বিষয়ে, নিজেকে অমুক গুণ অর্জনকারী হিসেবে স্বপ্ন দেখে ক্রমাগত সাধনা করলে আল্লাহ কল্পনাতীত সাফল্য দেবেন। চেষ্টার বিকল্প নেই... চেষ্টা করলে আল্লাহ অবশ্যই দেবেন।