১০ ফেব, ২০১৫

অনন্য সাধারণ এক ইতিহাস : মুতার যুদ্ধ

মুতা'র যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগে থেকেই তিনজন সেনাপতি নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যায়িদ বিন হারিসা মারা গেলে জাফর বিন আবু তালিব, তিনিও মারা গেলে আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা হবেন মুসলিম আর্মির সেনাপতি। মুতার প্রান্তরে তারা দেখেন তখনকার শক্তিশালী রোমান সাম্রাজ্যের ১ লাখ সৈন্য আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের পেছনে যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো রোমানদের মিত্র এবং মুসলিমদের শত্রু বিভিন্ন দল-উপদল মিলে আরো ১ লাখ সৈন্য।

এই বিশাল ২ লক্ষ বাহিনীর বিপরীতে মুসলিম বাহিনীর সৈন্যদল মাত্র ৩ হাজারের। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য। তারা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পিছিয়ে যাননি বরং তারা জানতেন তারা এসেছেন অন্যায়কারী যালিমদের ধূলোয় মিশিয়ে দিতে! শাহাদাত তাদের পরম আরাধ্য ছিলো। এ যুদ্ধে তিনজন সেনাপতিই ক্রমান্বয়ে শহীদ হন। রাদিয়াল্লাহু আনহুম।


এরপর ময়দানে খালিদ বিন ওয়ালিদ সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং রোমানদের পিছু হটতে ও যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করেন। লক্ষ লক্ষ রোমানদের আর্মিকে ছিন্নভিন্ন করে এক অসামান্য জয় ছিনিয়ে নেয় মুজাহিদরা। খালিদ বিন ওয়ালিদকে (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপাধি দেন সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তরবারি)।

এগুলো সবই প্রেরণার ইতিহাস, সেই মহান আদর্শের ইতিহাস যা এসেছিলো গোটা বিশ্বের মানবতাকে মুক্তি দিতে। একদিন মুসলিমরাই গোটা পৃথিবী বিজয় করবে। আখিরাতে কাফিররা হবে লাঞ্ছিত, ঘৃণিত এবং ঈমানদারদেরকে আল্লাহ পুরষ্কৃত করবেন জান্নাত দিয়ে।

[তথ্যসূত্র : আসহাবে রাসূলের জীবনকথা-১, লেখক: ড মুহাম্মাদ আবদুল মা'বুদ]