৩ নভে, ২০১০

অনুভূতিমালার বিচ্ছিন্ন বচন

রাত কেটে সকাল হলো 
আর দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা 
জাগতিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি একটুও 
ঘটেনি নিয়মের জালে নিজেকে আটকানোর 
অন্তহীন প্রচেষ্টা। তাই স্তব্ধ আমি। 

নিরুপায় হয়ে আটকে আছি আজ ভদ্রদের মাঝে 
বুকের মাঝে চেপে থাকা কান্নাগুলোকে সাথে করে 
হাসিমুখে কথা বলি বসের সাথে, কলিগের সাথে। 
 
 অথচ আমার ইচ্ছে করে আংরাভাসা নদীর তীর দেখতে 
ইচ্ছে করে অপুর সাথে চৈতালি হাটে বেড়াতে যেতে। 
আমার বড্ড কাঁদতে ইচ্ছে করে। 
ইচ্ছে করে উন্মাতাল ঢেউতে ভেসে যাই... 
তবু তো অভিমানে হারিয়ে যাওয়া যাবে! 



আমার আর ইচ্ছে হয়না তোমাদের মাঝে থাকি
তোমরা বড্ড ভুল বোঝো
এই হতভাগা জীবনটায় তোমাদের ভালোবাসা পেয়েছিলো বলেই
আজো তোমাদের এই নগরে সে হেঁটে চলে বেড়াতে পারে,

হয়ত যেদিন লালনকে দেখার আশায় গিয়েছিলো
কুষ্টিয়ায়-- সেদিন থেকে হয়ত ওখানেই পড়ে থাকতো,
ভবের মূর্ছনায় বুকের যন্ত্রণাগুলোকে বিবর্ণ করে দিতো...
তারপর এক অদ্ভূত শেকলে আটকে দেয়া!!

তোমাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই এতদূর এসেছি,
তোমাদের মুখের দু'টো শব্দে ভর করে চলেছি দূরন্ত হয়ে।
তবু আমাকেই অমন শক্ত করে কেন বলো?
আমার হৃদয়ের আর্তিটুকু একটুও কেন বোঝনা?

জানি কষ্টগুলো কোনদিন কাউকে স্পর্শ করেনা।
আমাকে কেউ কোনদিন বুঝবেনা... সে-ও জানি...

আমি চলে যাবো তোমাদের আগে দেখে নিয়ো
সেদিন আমার জন্য তোমরা কাঁদবে...
নীল জলের নদীর পারের ছোট্ট গাছটার পাশে বসে।
তখন আর আমি রইবো না, একদম না!



-------
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০, সন্ধ্যা ০৬:৫৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে