জীবন থেকে কিছু অদ্ভুত জিনিস শিখছি। সবাই আমরা অনেক সুন্দর সময়ের অপেক্ষা
করি। আমাদের কষ্টগুলো করাই হয় ভালো কিছুর আশায়। যেমন আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের
চারটা বছর ত্যক্ত-বিরক্ত হওয়া শিডিউলে ক্লাস-কুইজ-ল্যাব-অ্যাসাইনমেন্ ট-রিপোর্ট-ফাইনাল
টাইপের চক্রগুলো কাটিয়ে একটা এমন সার্টিফিকেট নেয়া, যার পরে চাকুরি করা
যায়। রেজাল্টের পরে প্রোভিশনাল সার্টিফিকেট হাতে একটা প্রশান্তি হয়, কিন্তু
এরপরেই আরেক নতুন যন্ত্রণার শুরু। সবসময়েই আমাদের জীবন কাটে অপেক্ষায়।
নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত অন্তহীন অপেক্ষা...
প্রায়ই অধৈর্য হয়ে ভাবতে থাকি, এই জীবনের সফলতা কী? মৃত্যু কবে, কেউ জানিনা। এখানেই একটা বৈশিষ্ট্য। আমার প্রায়ই অস্থির লাগত যখন মনে হত, যদি আরো ৫০টা বছর বাঁচি, কীভাবে আমি অতদিন এত 'কষ্ট' করে সঠিক পথে থাকব? অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এইখানকার ব্যাপারটা অন্যরকম করে শিখলাম। আসলে, যারা আল্লাহর আলোর পথে চলেছেন, তারা জানেন, পাওয়ার সময় তো এইটা না, এই জগত না; তাদের দৃষ্টি দুনিয়া ছাড়িয়ে অনন্তকালে ছড়িয়ে যায়। এটা বুঝতে হলে শান্ত মন এবং তৃষ্ণার্ত হৃদয় নিয়ে তাকে খুঁজতে হয় -- যিনি এই সৃষ্টিজগতের মালিক, তার জানানো কথাগুলো জানতে হয় মহিমান্বিত কুরআন থেকে।
জীবনের পিছনে তাকিয়ে দেখি, বছরের পর বছর কিছু ব্যাপারে ধৈর্য ধরেছিলাম। যখন চারপাশ থেকে নিজেকে আলাদা করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়েও নিজেকে 'কষ্ট' দিয়ে কাজ করেছি, তার ফলাফল পাওয়ার পরে দেখেছি সেই সময়টুকুতে যারা 'মাস্তি' করেছিলো তাদের মুখ আমার প্রাপ্তির চাইতে ম্লান ছিলো। সব প্রাপ্তিই এরকম... কিছু কষ্ট, ধৈর্য, সংযম শুধুই একটা সময়ের প্রতীক্ষায়। এই পৃথিবীতে ঈমানদারদের ক্ষেত্রেও এমন না? আল্লাহকে দেখিনি, বিশ্বাস করেছি। সবকিছু দেখে তার বিশালত্ব আর অস্তিত্বকে বুকে ধারণ করে স্বীকার করেছি, তারপর তার ভয়ে, তার সন্তুষ্টির জন্য আমরা ত্যাগ করছি, সংযম করছি -- পুরষ্কারের দিনের সফল মানুষদের মাঝে থাকতেই তো, তার কাছ থেকে পুরষ্কার নিতেই তো!
যেদিন জেনেছিলাম, জান্নাতে পা রাখা মানুষটাকে যখন প্রশ্ন করা হবে, আপনি কি কোনদিন কষ্টে ছিলেন? তিনি পৃথিবীতে সীমাহীন কষ্টে কাটানো মানুষ হলেও জান্নাতের পরিবেশের স্পর্শে পেছনের সবকিছুকে ম্লান মনে হবে তার, তিনি উত্তর দিবেন, না। জাহান্নাম নিশ্চিত হওয়া মানুষ যদি দুনিয়ার বুকে মাস্তি-আনন্দ-আভিজাত্যে কাটানো সুখী লোকও হয়, তবু তাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, কোনদিন কি সুখে ছিলেন? জাহান্নামের ভয়াবহতা দেখে সে বলবে, না তো, আমি কখনো শান্তি পাইনি। এ ব্যাপারটা কি দুনিয়ার জীবনের বিষয়গুলো থেকেই অনুধাবন করা যায়না? হে রাহমান, আমাদেরকে আখিরাতের সফলদের দলে অন্তর্ভুক্ত করুন। দুনিয়ার জীবনের লোভ, মোহ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দিন।
প্রায়ই অধৈর্য হয়ে ভাবতে থাকি, এই জীবনের সফলতা কী? মৃত্যু কবে, কেউ জানিনা। এখানেই একটা বৈশিষ্ট্য। আমার প্রায়ই অস্থির লাগত যখন মনে হত, যদি আরো ৫০টা বছর বাঁচি, কীভাবে আমি অতদিন এত 'কষ্ট' করে সঠিক পথে থাকব? অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এইখানকার ব্যাপারটা অন্যরকম করে শিখলাম। আসলে, যারা আল্লাহর আলোর পথে চলেছেন, তারা জানেন, পাওয়ার সময় তো এইটা না, এই জগত না; তাদের দৃষ্টি দুনিয়া ছাড়িয়ে অনন্তকালে ছড়িয়ে যায়। এটা বুঝতে হলে শান্ত মন এবং তৃষ্ণার্ত হৃদয় নিয়ে তাকে খুঁজতে হয় -- যিনি এই সৃষ্টিজগতের মালিক, তার জানানো কথাগুলো জানতে হয় মহিমান্বিত কুরআন থেকে।
জীবনের পিছনে তাকিয়ে দেখি, বছরের পর বছর কিছু ব্যাপারে ধৈর্য ধরেছিলাম। যখন চারপাশ থেকে নিজেকে আলাদা করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়েও নিজেকে 'কষ্ট' দিয়ে কাজ করেছি, তার ফলাফল পাওয়ার পরে দেখেছি সেই সময়টুকুতে যারা 'মাস্তি' করেছিলো তাদের মুখ আমার প্রাপ্তির চাইতে ম্লান ছিলো। সব প্রাপ্তিই এরকম... কিছু কষ্ট, ধৈর্য, সংযম শুধুই একটা সময়ের প্রতীক্ষায়। এই পৃথিবীতে ঈমানদারদের ক্ষেত্রেও এমন না? আল্লাহকে দেখিনি, বিশ্বাস করেছি। সবকিছু দেখে তার বিশালত্ব আর অস্তিত্বকে বুকে ধারণ করে স্বীকার করেছি, তারপর তার ভয়ে, তার সন্তুষ্টির জন্য আমরা ত্যাগ করছি, সংযম করছি -- পুরষ্কারের দিনের সফল মানুষদের মাঝে থাকতেই তো, তার কাছ থেকে পুরষ্কার নিতেই তো!
যেদিন জেনেছিলাম, জান্নাতে পা রাখা মানুষটাকে যখন প্রশ্ন করা হবে, আপনি কি কোনদিন কষ্টে ছিলেন? তিনি পৃথিবীতে সীমাহীন কষ্টে কাটানো মানুষ হলেও জান্নাতের পরিবেশের স্পর্শে পেছনের সবকিছুকে ম্লান মনে হবে তার, তিনি উত্তর দিবেন, না। জাহান্নাম নিশ্চিত হওয়া মানুষ যদি দুনিয়ার বুকে মাস্তি-আনন্দ-আভিজাত্যে কাটানো সুখী লোকও হয়, তবু তাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, কোনদিন কি সুখে ছিলেন? জাহান্নামের ভয়াবহতা দেখে সে বলবে, না তো, আমি কখনো শান্তি পাইনি। এ ব্যাপারটা কি দুনিয়ার জীবনের বিষয়গুলো থেকেই অনুধাবন করা যায়না? হে রাহমান, আমাদেরকে আখিরাতের সফলদের দলে অন্তর্ভুক্ত করুন। দুনিয়ার জীবনের লোভ, মোহ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে