ক'দিন আগে সন্ধ্যাবেলা মেইনরোড থেকে ভিতরে এলাকার প্রশস্ত গলিতে এমাথা-ওমাথা হাঁটাহাঁটি করছিলাম। এমন সময় সামনে তিনজন ছেলে ও একটা মেয়ে পাশাপাশি হাঁটছিলো, কাঁধে স্কুলব্যাগ ঝোলানো কয়েকজনের, এটুকুন পোলাপাইন, হাঁটতে হাঁটতে অকারণেই পাশের ছেলেরা মেয়েটার সাথে 'ঠোকাঠুকি' খাচ্ছিলো। আলো-আঁধারির পথে আমার সামনে সামনে তারাও অনেকক্ষণ চক্কর দিলো। গায়ে অকারণে ঢলে পড়া ও তা 'সম্ভবত' খুশিমনে সহ্য করার এই দৃশ্য অনেক্ষণ সহ্য করে আমি পথ বদলে দিলাম।
মনে পড়লো, আমরাও একটা সময় ওই বয়সে ছিলাম, আমাদের মধ্যে মেয়েদের সাথে 'যেচে পড়ে' কথা বলতে যাওয়া ছেলেদের 'পার্সোনালিটি' কম হিসেবেই ট্রিট করা হত। এই সহশিক্ষার কোচিং-এর ব্যাপারে আমার তিক্ত স্মৃতি আছে, উচ্চমাধ্যমিকে বিশ-পঁচিশদিন এক স্যারের কাছে পড়তে গিয়েছিলাম পড়ায় গাইডেন্সের আশায়, পড়াশোনার চাইতে বন্ধুদের মাঝে ফিতনার আধিক্যটাই 'নিট আউটপুট' দেখেছিলাম, প্রাইভেট পড়ে তেমন কিছুই লাভ হতনা কারো। একই ঘটনা পরপর দুই জায়গায় হওয়ার পরে আরো কিছু কারণ মিলে শেষে আর কোন স্যারের কাছেই পড়িনি, ঘরে মন দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টায় পড়ে জীবন পার করতে পেরেছিলাম খুব সফলতার সাথেই আলহামদুলিল্লাহ।
কেন যেন মনে হচ্ছিলো এখনকার জেনারেশনের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা মনে হয় এমনই হয়ে গেছে/যাচ্ছে। মুভি, সিনেমা, নাটক, কমার্শিয়াল, মোবাইল ফোন বিলবোর্ড, এফএম রেডিও পার হয়ে ওরা ধরেই নেয় কলেজ লাইফ, ভার্সিটি লাইফে এরকম ঢলাঢলি না করলে হয়ত তা জীবনের 'ব্যর্থতা'। এখন তো রিকসাতে জোড়া যুবক-যুবতী/তরুণ-তরুণী বসে থাকলে সেদিকে তাকানোও ভয়াবহতা। তারা দম্পতি হলে হয়ত বেডরুমকে রিকসায় তুলে আনে, আর অনৈতিক সম্পর্ক হলে তো কথাই নেই। শরীরের চাওয়ার কাছে আত্মসমর্পন করা এইসব 'প্রেমিক-প্রেমিকাদের' পারস্পরিক শ্রদ্ধা কি কখনো থাকে? ওরা কীভাবে তার সঙ্গী/সঙ্গিনীর প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করতে পারে যখন সে তার শরীরকে রিকসায় উঠে বিকিয়ে দেয়, অথবা কোন ইনডোরের চিপায়-চাপায় নিয়ত উষ্ণতা বিনিময় হয়? নাকি সবই টেম্পোরারি মজা নেয়া? ফ্রেন্ড সার্কেলে সবাই কম-বেশি জেনে যায় কারা কোথায় কী করে থাকে। প্রচুর স্ক্যান্ডাল, প্রচুর অনৈতিক সম্পর্ক, প্রচুর শরীরকে বিকিয়ে দেয়ার পরে কারো দাম্পত্য জীবনের সুখ হওয়া অসম্ভব এবং তা নতুন কিছু না। চরিত্র অমূল্য, একবার বিক্রি করে দিলে তা ফেরত আসে না। অল্প কয়েক বছর যদি ছেলেমেয়েগুলো ধৈর্য ধরতো, বুঝত, তাহলে হয়ত আগামী জীবনের সীমাহীন অশান্তির নিশ্চিত আগমনকে আলিঙ্গন করে নিত না।
একটা পাপ করতে পারার সুযোগ থেকেও তা না করে যেটুকু কষ্ট হয়, তা অনুশোচনা ও পরবর্তী ফলাফলের আহাজারির চাইতে লক্ষ-কোটিগুণ আনন্দের। নিজেদের শরীর-মনের চাওয়াগুলোর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবার জন্যও আল্লাহর কাছে ক্রমাগত দু'আ করা দরকার। কেননা, যারা এইসবে জড়িয়ে যায়, সেই পাপ তাদের বছরের পর বছর পেছনে ধাওয়া করে। এই জগতের মাঝে কেবল আল্লাহই একমাত্র সাহায্যকারী, তিনি যেন আমাদের প্রজন্মের ভাই-বোনদের হিদায়াত দেন, তিনি যেন এই সমাজকে রক্ষা করেন।
১৩ এপ্রিল, ১৩
মনে পড়লো, আমরাও একটা সময় ওই বয়সে ছিলাম, আমাদের মধ্যে মেয়েদের সাথে 'যেচে পড়ে' কথা বলতে যাওয়া ছেলেদের 'পার্সোনালিটি' কম হিসেবেই ট্রিট করা হত। এই সহশিক্ষার কোচিং-এর ব্যাপারে আমার তিক্ত স্মৃতি আছে, উচ্চমাধ্যমিকে বিশ-পঁচিশদিন এক স্যারের কাছে পড়তে গিয়েছিলাম পড়ায় গাইডেন্সের আশায়, পড়াশোনার চাইতে বন্ধুদের মাঝে ফিতনার আধিক্যটাই 'নিট আউটপুট' দেখেছিলাম, প্রাইভেট পড়ে তেমন কিছুই লাভ হতনা কারো। একই ঘটনা পরপর দুই জায়গায় হওয়ার পরে আরো কিছু কারণ মিলে শেষে আর কোন স্যারের কাছেই পড়িনি, ঘরে মন দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টায় পড়ে জীবন পার করতে পেরেছিলাম খুব সফলতার সাথেই আলহামদুলিল্লাহ।
কেন যেন মনে হচ্ছিলো এখনকার জেনারেশনের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা মনে হয় এমনই হয়ে গেছে/যাচ্ছে। মুভি, সিনেমা, নাটক, কমার্শিয়াল, মোবাইল ফোন বিলবোর্ড, এফএম রেডিও পার হয়ে ওরা ধরেই নেয় কলেজ লাইফ, ভার্সিটি লাইফে এরকম ঢলাঢলি না করলে হয়ত তা জীবনের 'ব্যর্থতা'। এখন তো রিকসাতে জোড়া যুবক-যুবতী/তরুণ-তরুণী বসে থাকলে সেদিকে তাকানোও ভয়াবহতা। তারা দম্পতি হলে হয়ত বেডরুমকে রিকসায় তুলে আনে, আর অনৈতিক সম্পর্ক হলে তো কথাই নেই। শরীরের চাওয়ার কাছে আত্মসমর্পন করা এইসব 'প্রেমিক-প্রেমিকাদের' পারস্পরিক শ্রদ্ধা কি কখনো থাকে? ওরা কীভাবে তার সঙ্গী/সঙ্গিনীর প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করতে পারে যখন সে তার শরীরকে রিকসায় উঠে বিকিয়ে দেয়, অথবা কোন ইনডোরের চিপায়-চাপায় নিয়ত উষ্ণতা বিনিময় হয়? নাকি সবই টেম্পোরারি মজা নেয়া? ফ্রেন্ড সার্কেলে সবাই কম-বেশি জেনে যায় কারা কোথায় কী করে থাকে। প্রচুর স্ক্যান্ডাল, প্রচুর অনৈতিক সম্পর্ক, প্রচুর শরীরকে বিকিয়ে দেয়ার পরে কারো দাম্পত্য জীবনের সুখ হওয়া অসম্ভব এবং তা নতুন কিছু না। চরিত্র অমূল্য, একবার বিক্রি করে দিলে তা ফেরত আসে না। অল্প কয়েক বছর যদি ছেলেমেয়েগুলো ধৈর্য ধরতো, বুঝত, তাহলে হয়ত আগামী জীবনের সীমাহীন অশান্তির নিশ্চিত আগমনকে আলিঙ্গন করে নিত না।
একটা পাপ করতে পারার সুযোগ থেকেও তা না করে যেটুকু কষ্ট হয়, তা অনুশোচনা ও পরবর্তী ফলাফলের আহাজারির চাইতে লক্ষ-কোটিগুণ আনন্দের। নিজেদের শরীর-মনের চাওয়াগুলোর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবার জন্যও আল্লাহর কাছে ক্রমাগত দু'আ করা দরকার। কেননা, যারা এইসবে জড়িয়ে যায়, সেই পাপ তাদের বছরের পর বছর পেছনে ধাওয়া করে। এই জগতের মাঝে কেবল আল্লাহই একমাত্র সাহায্যকারী, তিনি যেন আমাদের প্রজন্মের ভাই-বোনদের হিদায়াত দেন, তিনি যেন এই সমাজকে রক্ষা করেন।
১৩ এপ্রিল, ১৩
Assalamualaikum vi,
উত্তরমুছুনplease write some thing good whenever you see around you, as well. I strongly believe you will find some good phenomena around us.
From abroad, we are really tired and depressed by hearing all the bad stuffs always. hope you will not misunderstand. JJAK.