আমার জীবনের একটা অনুভূতির সাথে আমার অনেক বছর যাবত অসহায় সম্পর্ক। মাঝে
মাঝেই ফার্মগেইট, মহাখালি আমতলি মোড়, সাইন্স ল্যাব মোড় সহ এমন কিছু
জনলোকারণ্যে বাসের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কেমন সবকিছু হঠাৎ Mute হয়ে যায়,
আমি শুধু সবকিছুকে ধাবমান দেখতে থাকি, নিজে স্তব্ধ হয়ে যাই। শত-সহস্র লোকের
ভীড়ে মনে হয়, আমি আসলে কতই না তুচ্ছ। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে একসময় বলাকা
বাসের হেলপার ধাক্কা দিয়ে বাসে এক পা উঠে যাওয়া আমাকে নামিয়ে দেয়ার পরে মনে
হয়েছিলো সারাজীবন ধরে এত কষ্ট করে এত ভালো রেজাল্ট করেছি, এত মানুষের ভীড়ে
আসলে সেসব একদমই কিছু না। এমন আমার প্রায়ই হয়। অনেক লোকের ভীড়ে আমি নিজের
তুচ্ছতা ফিল করতাম গভীরভাবে, বুঝতাম নিজেকে আপ্রাণ যত্নে গড়ে তুললেও সেইটা
আসলে অনেক মানুষের মাঝে গুণতির বিষয়ও না।
আজ সন্ধ্যায় জ্যামে আটকে থেকে যখন দেখছিলাম অনেক গাড়ি আটকে আছে, পাশের গাড়িতে এক মধ্যবয়েসি আঙ্কেল, রিকসায় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত তরুণদের উচ্চকন্ঠের হাসি, ফুটপাথে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকা অফিসফেরত লোকগুলো -- সবাই নিজেকে 'সফল' করতে ব্যস্ত, নিজেদের আলাদা মনে করে পথ চলছে। সবাই নিজেকে অন্যরকমই মনে করে। কিন্তু, নিজের দিকে তাকিয়ে মনে হলো, কী এমন আলাদা কে? সবাই হয়ত বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়, অনেকেই হয়ত পার্থিব অনেক কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় আছে এই মূহুর্তেও -- তবু অনেক ভিন্নতা আছে এটুকুতেও। কিন্তু একটা বিন্দুতে সবাই নিশ্চিত, পরম সত্য আর অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তিতে -- তা হলো মৃত্যু। আমি হয়ত ভাবছিলাম কীভাবে কী করলে উপার্জন আরেকটু বাড়ানো যাবে, বৃদ্ধ চাচা কী ভাবছিলেন? তার নিশ্চিত অপেক্ষা মৃত্যুর জন্য। সেটা তো আমারও নিশ্চিত, আমি কি প্রস্তুত? আমি কি বিভ্রমে নেই? আমরা সবাই কি এই ভ্রমেই বসবাস করিনা? গতকাল মরে পচে যাওয়া একসময়ের লাক্সতারকার কবর খুঁড়ে তোলার দৃশ্যটি দেখে মনে হচ্ছিলো, এই মেয়ের লাবণ্যময়ী শরীর ও ছবি কত ব্যবসার বিষয় ছিলো, আজ সে শুধুই নাক চেপে ধরতে বাধ্য হওয়া এক 'দুর্গন্ধময় যন্ত্রণা'।
সবশেষে আসলে সেই ভীষণ সত্যই আমাদেরকে আঁকড়ে ধরবে। যত তাড়াতাড়ি এই বিভ্রম ঝেড়ে সত্যিকারের সেই নীড়ের জন্য প্রস্তুত হবো, প্রতিদিন কিছু কিছু জিনিস প্রিয়তম রাহমানের পথে বিলিয়ে সেই চিরন্তন আবাসকে আরামদায়ক করতে পারব -- ততই কল্যাণ, ততই বেশি সফলতার সম্ভাবনা। আসলে, আমাদের জীবন তো কিছু সময়েরই সমষ্টিমাত্র, প্রতিটি দিন যায়, আমরা ক্ষয় হয়ে যেতে থাকি একটু একটু করে... পরিপূর্ণভাবে নিঃশেষ হব বলে...
০১ এপ্রিল ২০১৩
আজ সন্ধ্যায় জ্যামে আটকে থেকে যখন দেখছিলাম অনেক গাড়ি আটকে আছে, পাশের গাড়িতে এক মধ্যবয়েসি আঙ্কেল, রিকসায় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত তরুণদের উচ্চকন্ঠের হাসি, ফুটপাথে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকা অফিসফেরত লোকগুলো -- সবাই নিজেকে 'সফল' করতে ব্যস্ত, নিজেদের আলাদা মনে করে পথ চলছে। সবাই নিজেকে অন্যরকমই মনে করে। কিন্তু, নিজের দিকে তাকিয়ে মনে হলো, কী এমন আলাদা কে? সবাই হয়ত বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়, অনেকেই হয়ত পার্থিব অনেক কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় আছে এই মূহুর্তেও -- তবু অনেক ভিন্নতা আছে এটুকুতেও। কিন্তু একটা বিন্দুতে সবাই নিশ্চিত, পরম সত্য আর অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তিতে -- তা হলো মৃত্যু। আমি হয়ত ভাবছিলাম কীভাবে কী করলে উপার্জন আরেকটু বাড়ানো যাবে, বৃদ্ধ চাচা কী ভাবছিলেন? তার নিশ্চিত অপেক্ষা মৃত্যুর জন্য। সেটা তো আমারও নিশ্চিত, আমি কি প্রস্তুত? আমি কি বিভ্রমে নেই? আমরা সবাই কি এই ভ্রমেই বসবাস করিনা? গতকাল মরে পচে যাওয়া একসময়ের লাক্সতারকার কবর খুঁড়ে তোলার দৃশ্যটি দেখে মনে হচ্ছিলো, এই মেয়ের লাবণ্যময়ী শরীর ও ছবি কত ব্যবসার বিষয় ছিলো, আজ সে শুধুই নাক চেপে ধরতে বাধ্য হওয়া এক 'দুর্গন্ধময় যন্ত্রণা'।
সবশেষে আসলে সেই ভীষণ সত্যই আমাদেরকে আঁকড়ে ধরবে। যত তাড়াতাড়ি এই বিভ্রম ঝেড়ে সত্যিকারের সেই নীড়ের জন্য প্রস্তুত হবো, প্রতিদিন কিছু কিছু জিনিস প্রিয়তম রাহমানের পথে বিলিয়ে সেই চিরন্তন আবাসকে আরামদায়ক করতে পারব -- ততই কল্যাণ, ততই বেশি সফলতার সম্ভাবনা। আসলে, আমাদের জীবন তো কিছু সময়েরই সমষ্টিমাত্র, প্রতিটি দিন যায়, আমরা ক্ষয় হয়ে যেতে থাকি একটু একটু করে... পরিপূর্ণভাবে নিঃশেষ হব বলে...
০১ এপ্রিল ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে