নিজের জীবনের দিকে তাকিয়ে প্রায়ই খুব ভেঙ্গে পড়তে নিই। চারপাশের দিকে চেয়ে কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা, অন্তরকে প্রশান্ত রাখতে পারিনা। এত সীমাহীন রাহমাতে ডুবে থেকেও কৃতজ্ঞ বান্দা হতে পারিনা। আল্লাহর রাহমাতে মাঝে মাঝে মনের এমন অবস্থায় যখন স্কলারদের জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে যাই , তখন জীবনের অনুভূতিগুলোর কথা ভেবে আবার খুব লজ্জা পেয়ে যাই। জানি আমার মতন এই তুচ্ছ পাপাচারী বান্দার যোগ্যতা পৃথিবীর মাটিতে হেঁটে যাওয়া সেই মানুষগুলোর পায়ের ধুলোর সমানও যোগ্যতা নেই। কিন্তু, একথা সত্য -- মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্ন এমনই, যার সাথে বাস্তবের অবস্থানের অনেক পার্থক্য থাকে, আমরা সেটার পানে ছুটে ছুটে যোগ্যতা অর্জন করি। আমাদের নির্ভরতা কেবলই আল্লাহর উপরে থাকে। তিনি তখন বারাকাহ দেন। ইসলাম তো আমাদের এমন করেই শেখায়, যত পাপিষ্ঠ-অপরাধীই হই না কেন, ইস্তিগফার করে, তাওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসার পথ মৃত্যু পর্যন্ত খোলা। হতে পারি আমি অযোগ্য, নীচ, পাপিষ্ঠ কিন্তু তবু নিজেদের শুধরে নিয়ে আখিরাতে সঙ্গ পেতে চাই আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের, তাদেরকেই ভালোবাসতে চাই এই দুনিয়ায়।
একটু আগে স্কলারদের কথা ও জীবনীর দিকে আপনমনে চোখ বুলাচ্ছিলাম। চোখ আটকে গেলো ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের (রাহিমাহুল্লাহ) একটা উদ্ধৃতির দিকে। মানুষগুলো কত অসাধারণ ছিলেন সুবহানাল্লাহ! নিজেদের উপরে তারা কতই না কাজ করেছিলেন, শ্রম দিয়ে, ত্যাগ দিয়ে অর্জন করেছিলেন ঈমান। অদ্ভুত সুন্দর সেই বাক্যটি ইমাম আহমাদের --
“আমার সেরা দিনটি হলো যেদিন জেগে উঠে খাবারের তাকগুলোকে শূণ্য পাই, সেই দিনটির জন্য আল্লাহর উপর আমার নির্ভরতা (তাওয়াক্কুল) পরিপূর্ণ থাকে।” — ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)
[মৃত্যু, ২৪১ হিজরী, বাগদাদ]
একটু আগে স্কলারদের কথা ও জীবনীর দিকে আপনমনে চোখ বুলাচ্ছিলাম। চোখ আটকে গেলো ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের (রাহিমাহুল্লাহ) একটা উদ্ধৃতির দিকে। মানুষগুলো কত অসাধারণ ছিলেন সুবহানাল্লাহ! নিজেদের উপরে তারা কতই না কাজ করেছিলেন, শ্রম দিয়ে, ত্যাগ দিয়ে অর্জন করেছিলেন ঈমান। অদ্ভুত সুন্দর সেই বাক্যটি ইমাম আহমাদের --
“আমার সেরা দিনটি হলো যেদিন জেগে উঠে খাবারের তাকগুলোকে শূণ্য পাই, সেই দিনটির জন্য আল্লাহর উপর আমার নির্ভরতা (তাওয়াক্কুল) পরিপূর্ণ থাকে।” — ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)
[মৃত্যু, ২৪১ হিজরী, বাগদাদ]