আজকে এইচএসসি রেজাল্ট হবে। বাংলাদেশে যাবতীয় ছোট ছোট পরীক্ষাগুলোর রেজাল্ট নিয়েও প্রচুর 'সাসপেন্স' তৈরি হয়। এতে ভালো/খারাপ করায় জীবনের গতিপথে আহামরি কিছু বদলে যায়না। সেই আমলে বোর্ড স্ট্যান্ড করা ভাইদের ভার্সিটিতে এসে বছরের পর বছর ধরে অকৃতকার্য হতে দেখেছি। আবার প্রথমবার খুবই খারাপ ফল হওয়ায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে ভার্সিটিতে ঢুকে কোন কোন ছেলেকে ক্লাসে ফার্স্ট হতেও দেখেছি।
এসব পরীক্ষাগুলো আসলে জীবনের তুলনায় অনেক কম গুরুত্ব বহন করে। এই পরীক্ষায় ভালো করে "মুই কি হনু" ভেবে আকাশে ওড়ার যেমন কিছু নেই, তেমনি খারাপ করে' "আমি শেষ হয়ে গেছি" মনে করাটাও নিরর্থক এক বোকামি। আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপই আমাদের জন্য কিছু 'মেসেজ' বয়ে নিয়ে আসে। আল্লাহ আমাদেরকে কিছু বুঝিয়ে দেন যেন আমরা আরো নিজেদের উন্নত করি, আরো বেশি পরিশ্রমী হতে চেষ্টা করি, যেন ঈমানকে আরো বেশি বেশি বাড়াতে চেষ্টা করি...
আমিও অনেকগুলো বছর আগে এই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। যে ফলাফলের চেয়ে বেশি ভালো করা যায় না --এমন ভালো রেজাল্ট আল্লাহ আমাকে দিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ উচ্চ-মাধ্যমিকের খুব ভালো ফলাফলে, অনেক 'সেলিব্রেশন' পেয়ে, পত্রিকায় ছবি ছাপার পরেও আকাশে উড়িনি। আমি জানতাম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়, কিন্তু টিকিয়ে রাখা দুষ্কর। পরবর্তীতে গ্র্যাজুয়েশনের সময় অনেক কঠিন ধাপের মধ্য দিয়ে এসেছি, প্রচুর চড়াই-উতরাই পেরিয়েছি যা প্রতিটি মানুষকেই পার হতে হয়। প্রাপ্তির পরপরই জীবনে অনেক অপ্রাপ্তি আর ব্যর্থতা এসেছে যদিও সফলতার জন্য চেষ্টার কমতি ছিলো না।
সফলতা ও ব্যর্থতা মিলেই জীবন। সফলতা আল্লাহর একটি নিয়ামত। এই নিয়ামতকে কেমন করে ব্যবহার করলাম সেটি একটি পরীক্ষা। তেমনি ব্যর্থতাও জীবনের পরীক্ষা। কিছু হারিয়ে/না পেয়ে কেমন করে ধৈর্যধারণ (সবর) করলাম ও আল্লাহর উপরে নির্ভর (তাওয়াক্কুল) করলাম সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা এবং সেটাও একটি নি'আমাত। প্রতিটি ব্যর্থতা ও খারাপ সময় আমাদেরকে শক্তিশালী করে, আমাদেরকে এমন সব জীবনীশক্তি দান করে যা পরবর্তী জীবনে একটা পাওয়ার হাউসের মতন কাজ করে। তবে, সেই খারাপ সময়টাকে অতিক্রম করতে হবে হতাশ না হয়ে, এলোমেলো কথা মুখ দিয়ে না বলে। নিজেকে বলতে হবে, আগামীতে যে সুযোগ পাবো, তাতে আমি যেন আমার যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করে নিতে পারি সফলতা।
আজকে যাদের ফল প্রকাশ হবে, তাদের ফলাফল যেমনই হোক, আল্লাহর উপরে সন্তুষ্ট থেকে পরবর্তী ধাপটিতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা উচিত। যদি খারাপ হয় এবং সেই খারাপটা নিজের দোষে কিংবা 'সিস্টেমের' দোষেই হোক না কেন-- বিশ্বাস রাখতে হবে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ এতে কল্যাণ রেখেছেন। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভেঙ্গে না পড়ে যারা লেগে থাকতে পারে, তারাই পরবর্তীতে সফলতা অর্জন করে। বেঁচে থাকা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ নিয়ামাতগুলোর একটা, মারা গেলে তো তাওবাহ করার সুযোগটাও দূর হয়ে যায়! আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণময় জ্ঞান দান করুন।
[১৩ আগস্ট, ২০১৪]
# আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা - জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়া ভাবনা ও আমাদের বোকামি : http://idream4life.blogspot.com/2014/11/blog-post_9.html
এসব পরীক্ষাগুলো আসলে জীবনের তুলনায় অনেক কম গুরুত্ব বহন করে। এই পরীক্ষায় ভালো করে "মুই কি হনু" ভেবে আকাশে ওড়ার যেমন কিছু নেই, তেমনি খারাপ করে' "আমি শেষ হয়ে গেছি" মনে করাটাও নিরর্থক এক বোকামি। আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপই আমাদের জন্য কিছু 'মেসেজ' বয়ে নিয়ে আসে। আল্লাহ আমাদেরকে কিছু বুঝিয়ে দেন যেন আমরা আরো নিজেদের উন্নত করি, আরো বেশি পরিশ্রমী হতে চেষ্টা করি, যেন ঈমানকে আরো বেশি বেশি বাড়াতে চেষ্টা করি...
আমিও অনেকগুলো বছর আগে এই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। যে ফলাফলের চেয়ে বেশি ভালো করা যায় না --এমন ভালো রেজাল্ট আল্লাহ আমাকে দিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ উচ্চ-মাধ্যমিকের খুব ভালো ফলাফলে, অনেক 'সেলিব্রেশন' পেয়ে, পত্রিকায় ছবি ছাপার পরেও আকাশে উড়িনি। আমি জানতাম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়, কিন্তু টিকিয়ে রাখা দুষ্কর। পরবর্তীতে গ্র্যাজুয়েশনের সময় অনেক কঠিন ধাপের মধ্য দিয়ে এসেছি, প্রচুর চড়াই-উতরাই পেরিয়েছি যা প্রতিটি মানুষকেই পার হতে হয়। প্রাপ্তির পরপরই জীবনে অনেক অপ্রাপ্তি আর ব্যর্থতা এসেছে যদিও সফলতার জন্য চেষ্টার কমতি ছিলো না।
সফলতা ও ব্যর্থতা মিলেই জীবন। সফলতা আল্লাহর একটি নিয়ামত। এই নিয়ামতকে কেমন করে ব্যবহার করলাম সেটি একটি পরীক্ষা। তেমনি ব্যর্থতাও জীবনের পরীক্ষা। কিছু হারিয়ে/না পেয়ে কেমন করে ধৈর্যধারণ (সবর) করলাম ও আল্লাহর উপরে নির্ভর (তাওয়াক্কুল) করলাম সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা এবং সেটাও একটি নি'আমাত। প্রতিটি ব্যর্থতা ও খারাপ সময় আমাদেরকে শক্তিশালী করে, আমাদেরকে এমন সব জীবনীশক্তি দান করে যা পরবর্তী জীবনে একটা পাওয়ার হাউসের মতন কাজ করে। তবে, সেই খারাপ সময়টাকে অতিক্রম করতে হবে হতাশ না হয়ে, এলোমেলো কথা মুখ দিয়ে না বলে। নিজেকে বলতে হবে, আগামীতে যে সুযোগ পাবো, তাতে আমি যেন আমার যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করে নিতে পারি সফলতা।
আজকে যাদের ফল প্রকাশ হবে, তাদের ফলাফল যেমনই হোক, আল্লাহর উপরে সন্তুষ্ট থেকে পরবর্তী ধাপটিতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা উচিত। যদি খারাপ হয় এবং সেই খারাপটা নিজের দোষে কিংবা 'সিস্টেমের' দোষেই হোক না কেন-- বিশ্বাস রাখতে হবে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ এতে কল্যাণ রেখেছেন। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভেঙ্গে না পড়ে যারা লেগে থাকতে পারে, তারাই পরবর্তীতে সফলতা অর্জন করে। বেঁচে থাকা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ নিয়ামাতগুলোর একটা, মারা গেলে তো তাওবাহ করার সুযোগটাও দূর হয়ে যায়! আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণময় জ্ঞান দান করুন।
[১৩ আগস্ট, ২০১৪]
# আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা - জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়া ভাবনা ও আমাদের বোকামি : http://idream4life.blogspot.com/2014/11/blog-post_9.html