২৬ আগ, ২০১৪

আশাহত না হবার অনুরোধ জানাই

আমি আমার মুসলিম ভাইদের আশাহত না হবার অনুরোধ জানাই।

যখন বন্ধুদের মাঝে, আত্মীয়মহলে কিংবা পথে-ঘাটে আপনার মুখের দাড়ি কিংবা টাখনুর উপরে কাপড়, টিভিতে অবাধ নগ্নতা থেকে চোখ দূরে রাখা, মেয়েবন্ধু কিংবা মেয়ে-কলিগদের সাথে 'খাজুইরা আলাপ' থেকে নির্বিকার থাকা, মেয়ে 'কাজিনদের' সাথে অপ্রয়োজনীয় খুনসুঁটি না করা, হারাম অর্থোপার্জন 'সুদ' নিয়ে করা অর্থনৈতিক লেনদেনে সাবধান হয়ে থাকা, গান না শোনা, ইসলামী আলোচনা ও হালাকায় আগ্রহ থাকা নিয়ে আশেপাশে সবাই একটু হাসি-তামাশা ও অবাক হয়...

তখন জেনে রাখবেন, আপনি আল্লাহর এমন কিছু বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত যারা প্রচন্ড ভাগ্যবান। খুব অল্প মানুষই নামসর্বস্ব মুসলিম হবার পরে নিজেদেরকে বদলে ফেলার পথে আছে। আপনি এমন এক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে আছেন যে দায়িত্ব নিয়েছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি যে মূহুর্তটিতে দ্বীনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তখন গোটা দুনিয়ায় তার পাশে একটি মানুষও ছিলো না। কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আসবে, তাদের সবাইকে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ঐ মানুষটির দু'টি কাঁধে ছিলো-- ভেবে দেখুন তার সেই অনুভূতিটুকু...

জান্নাতকে ঘিরে রাখা হয়েছে অনাকর্ষণীয় সব বস্তুতে। জাহান্নামের চারপাশে আকর্ষণীয় বস্তু। দুনিয়ার  চাকচিক্য, গার্লফ্রেন্ড, সুদী ব্যাঙ্কের টাকা, বন্ধুদের সাথে পার্টিতে গিয়ে মদ-হুইস্কি-বিয়ার খাওয়া --আপনার অন্তরকে অন্ধকের থেকে অন্ধকারে নিয়ে চলে যেতে থাকবে। আপনি এমন বস্তুর থেকে যত দূরে থাকতে পারবেন, নিজেকে তত বেশি ভাগ্যবান মনে করতে পারবেন। আখিরাতের অনন্তকালের কষ্টের সাথে দুনিয়ার কষ্টগুলো তুলনাহীন।

তাই, যত কষ্টই হোক, আখিরাতের অনন্তজগতের সুখস্বপ্নকে বুকে নিয়ে
আমি আমার ভাইদেরকে আশাহত না হবার আহবান জানাচ্ছি।

[১৮ আগস্ট, ২০১৪]