ছাত্র যখন ছিলাম, চারপাশে দেখতাম হারাম প্রেম ও প্রেমসংক্রান্ত ঘটনা। যে সম্পর্কটি আগাগোড়া আল্লাহর অপছন্দকে ঘিরে, তাতে ভালো কিছু কোনদিন দেখিনি। দেখচছি প্রচুর রক্তাক্ত হৃদয়, প্রচুর আউলা-ঝাউলা ছেলেপিলে। ছ্যাঁকা খাওয়া, পিছনে ঘুরা, ডেটিং ইত্যাদি নানান ঘটনা। সময়ের পর সময় অপচয় সবার। এক মেয়ের কারণে অন্য অনেকের সাথে শত্রুতা, ত্রিভুজপ্রেমের মারামারি, রিফিউজড হয়ে গাঁজা টানতে বসা -- ইত্যাদি নানান ঘটনা পেরিয়ে কেউ কেউ বিয়ে করেছিলো। যে সম্পর্ক আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে, তাতে কেমন করে শান্তি থাকতে পারে সে কথা ভাবতাম। ক'দিন আগে জানলাম ছেলেটি পরকীয়া করছে। মেয়েটি তার ঘরের সব কথা বান্ধবীদের বলে বেড়ায়... কোথা থেকে কত কান হয়ে কতই না ঘটনা কানে আসে! না শোনার চেষ্টা করতে হয়...
ছাত্রজীবনে ভাবতাম সমাজে প্রেমের কারণে বেশিরভাগ ছেলেপিলে অশান্তিতে থাকে। অনেকগুলো বছর পরে এখন চারপাশ দেখে বুঝি, খুব কম সংসারেই সুখ থাকে। পারস্পরিক বন্ধনে 'লোক দেখানো সুখের' সময়টা পেরিয়ে গেলে অশান্তি বুকে করে ঘুরে মানুষগুলো। পরনারী আর পরপুরুষের প্রতি বিচ্ছিরি আকর্ষণের চুলোতে ফুঁ দিতে তো টেলিভিশন, ইন্টারনেট আছেই! বাংলাদেশের সমাজে পরকীয়া প্রেমে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে সার্ভিস যুগিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। পুরোনো আমলের 'ক্রাশের' প্রোফাইল ঘুরে নতুন করে প্রেমে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে হালাল সম্পর্কগুলো। ইনবক্সে গুটুর-গুটুর, মোবাইল ফোনে ফুসুর-ফুসুর। গোটা সমাজে যেন একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।
যে সম্পর্কগুলো আল্লাহর নাফরমানীকে ভিত্তি করে তৈরি হয়, তারা পরস্পর শেষ হয় ঘৃণায়। যারা আল্লাহকে ছাড়া অন্য কোন বিষয়কে উপজীব্য করে বন্ধন গড়ে, তারা পারস্পরিক বিতৃষ্ণা ও বিরক্তিতে জীবন কাটায়। সমাজের এই নৈরাজ্যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন একটি বিশাল কারণ। পরিবারগুলোতে নেই আত্মার শিক্ষা, নেই ইসলামের শিক্ষা। সন্তানদের বুকের মাঝে এক বিশাল শুণ্যতা নিয়ে জীবন শুরু করে, জানে না জীবনের উদ্দেশ্য, মরে গেলে কী হবে, কোথায় যাবে...
ঈমান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই বদলে দেয়, প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দেয়, প্রতিটি অনুভূতিকে অনন্তকাল পর্যন্ত বিস্তৃতি দেয় যে বিষয় তা হলো ঈমান। এই ঈমান সহজ নয়। প্রচন্ড অভাব কিংবা শারীরিক কষ্টেও অন্তরের ভেতরে শীতল প্রস্রবন বয়ে যায় ঈমানের বদৌলতে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) মৃত্যুর পর আমরা ক্রমশই কিয়ামাতের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আগামীতে ঈমান বজায় রাখা কঠিন হবে আরো অনেক অনেক বেশি। তবে এই পরীক্ষার পর ফল অতি সুমিষ্ট। পূর্বের প্রজন্মের কয়েকজনের সমান পুরষ্কার পাবে কঠিন সময়ে ঈমান টিকিয়ে রাখা মানুষেরা। নানান রকম ফিতনার সাথে যুদ্ধ করার সময় যেন আল্লাহ সাহায্য করেন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে, কবর ও জাহান্নামের আযাব থেকে, সাহায্য চাই দাজ্জালের ফিতনা থেকে। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ঈমানের উপরে বেঁচে থাকার এবং ঈমান নিয়ে মৃত্যু দান করেন। নিশ্চয়ই সমস্ত কিছুর মালিক আল্লাহ, আমরা সবাই তার করুণাভিখারী...
[১০ আগস্ট, ২০১৪]
ছাত্রজীবনে ভাবতাম সমাজে প্রেমের কারণে বেশিরভাগ ছেলেপিলে অশান্তিতে থাকে। অনেকগুলো বছর পরে এখন চারপাশ দেখে বুঝি, খুব কম সংসারেই সুখ থাকে। পারস্পরিক বন্ধনে 'লোক দেখানো সুখের' সময়টা পেরিয়ে গেলে অশান্তি বুকে করে ঘুরে মানুষগুলো। পরনারী আর পরপুরুষের প্রতি বিচ্ছিরি আকর্ষণের চুলোতে ফুঁ দিতে তো টেলিভিশন, ইন্টারনেট আছেই! বাংলাদেশের সমাজে পরকীয়া প্রেমে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে সার্ভিস যুগিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। পুরোনো আমলের 'ক্রাশের' প্রোফাইল ঘুরে নতুন করে প্রেমে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে হালাল সম্পর্কগুলো। ইনবক্সে গুটুর-গুটুর, মোবাইল ফোনে ফুসুর-ফুসুর। গোটা সমাজে যেন একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।
যে সম্পর্কগুলো আল্লাহর নাফরমানীকে ভিত্তি করে তৈরি হয়, তারা পরস্পর শেষ হয় ঘৃণায়। যারা আল্লাহকে ছাড়া অন্য কোন বিষয়কে উপজীব্য করে বন্ধন গড়ে, তারা পারস্পরিক বিতৃষ্ণা ও বিরক্তিতে জীবন কাটায়। সমাজের এই নৈরাজ্যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন একটি বিশাল কারণ। পরিবারগুলোতে নেই আত্মার শিক্ষা, নেই ইসলামের শিক্ষা। সন্তানদের বুকের মাঝে এক বিশাল শুণ্যতা নিয়ে জীবন শুরু করে, জানে না জীবনের উদ্দেশ্য, মরে গেলে কী হবে, কোথায় যাবে...
ঈমান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই বদলে দেয়, প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দেয়, প্রতিটি অনুভূতিকে অনন্তকাল পর্যন্ত বিস্তৃতি দেয় যে বিষয় তা হলো ঈমান। এই ঈমান সহজ নয়। প্রচন্ড অভাব কিংবা শারীরিক কষ্টেও অন্তরের ভেতরে শীতল প্রস্রবন বয়ে যায় ঈমানের বদৌলতে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) মৃত্যুর পর আমরা ক্রমশই কিয়ামাতের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আগামীতে ঈমান বজায় রাখা কঠিন হবে আরো অনেক অনেক বেশি। তবে এই পরীক্ষার পর ফল অতি সুমিষ্ট। পূর্বের প্রজন্মের কয়েকজনের সমান পুরষ্কার পাবে কঠিন সময়ে ঈমান টিকিয়ে রাখা মানুষেরা। নানান রকম ফিতনার সাথে যুদ্ধ করার সময় যেন আল্লাহ সাহায্য করেন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে, কবর ও জাহান্নামের আযাব থেকে, সাহায্য চাই দাজ্জালের ফিতনা থেকে। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ঈমানের উপরে বেঁচে থাকার এবং ঈমান নিয়ে মৃত্যু দান করেন। নিশ্চয়ই সমস্ত কিছুর মালিক আল্লাহ, আমরা সবাই তার করুণাভিখারী...
[১০ আগস্ট, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে