গাযযাতে চলমান হত্যাযজ্ঞের ছবিগুলোর প্রতি সবাই কেমন যেন ডিসেনসিটাইজড (অনুভূতিহীন) হয়ে গেছে...
এই ব্যাপারটাতে আমার কিছু বলার আছে! পশ্চিমে বেড়ে ওঠায় এরকম মৃত্যু আমরা কেবল মুভিতেই দেখেছি। আমরা এতো বেশি মুভি দেখেছি যে আমাদের কাছে গাযযায় চলমান হত্যাকান্ড আর ম্যুভির বিষয়টা একই মনে হয়, শুধুই যেন পর্দায় ভেসে থাকা কিছু নিথর দেহ! তাই আমরা নতুন করে ডিসেনসিটাইজড হয়ে পড়িনি, আমাদের বেশিরভাগ মানুষই অনেক আগে থেকেই এরকম বিষয়ে ডিসেনসিটাইজড হয়ে আছি। যারা আমাকে বলছেন এসব শেয়ার না করতে তাদের বলছি, আমি ভাল করেই জানি আপনাদের অবস্থান এবং আমি আপনাদের উপদেশটা মনে রাখব। দয়া করে বুঝতে চেষ্টা করুন যে আমার পেশাদারিত্ব এবং আবেগের মাঝে আমি এক টানাপোড়েনে আছি। আমি আল-শিফা হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় বড় হয়েছি। এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন প্রতিদিন সকালে আমাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিত। আমি ও আমার বন্ধু মিলে আল-শিফার বাগানে অনেক খেলাধূলা করেছি! এই ভয়াবহতা স্রেফ একটা ছবির দেখার অনেক ভিন্ন একটা ব্যাপার। আমি নিজের চোখে আল-শিফা হসপিটালের দরজা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত শরীরগুলো দেখে বাসায় ফিরে খবর দেখেছি কিন্তু এ বিষয়ে কোন কিছুই পাইনি সেখানে। সংবাদ মাধ্যমগুলো গাযাতে চলমান হত্যাযজ্ঞ এমনিভাবেই চেপে যাচ্ছে ঠিক যেমন করে তারা সিরিয়া, বার্মা, পাকিস্তানে চলমান জুলুম ও নিপীড়নকে চেপে যাচ্ছে। আমি এসব দেখে প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়েছিলাম, আমি এখনো ক্ষেপে আছি। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম গোটা বিশ্বকে গাযার এমন চিত্র দেখাবো যা গাযায় বসবাসকারী মানুষদের চোখগুলো প্রতিদিন দেখে। অনলাইনে হয়ত আপনারা শুধু একটা ছবিই দেখেন। কিন্তু এই ছবির পেছনে থাকে অনেকগুলো গল্প, ছবিটা কেবলই একটা মৃতদেহ নয়। একজন মানুষের দেহ থেকে যখন তার আত্মা বের হয়ে যায় তখন শুধু মানুষটিই মারা যায় না, মারা যায় ভালোবাসা, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সমবেদনা, স্বপ্ন। ছবিটি দেখতে কতটা বীভৎস সেটিই কেবল বড় ব্যাপার নয়, বরং তিলতিল করে গড়ে ওঠা জীবনগুলোর কষ্ট ও হারানোর গল্পগুলো অনেক বড় ব্যাপার।
আমি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
-- মুহাম্মাদ জেয়ারা
[লেখক কাডায় জন্মগ্রহণ করা ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এক নাগরিক। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন বক্তা এবং মূলত তরুণদের প্রতি অনুপ্রেরণাদানকারী বক্তব্য রাখেন। অনলাইনে প্রকাশিত এডুকেশনাল এবং মোটিভেশনাল ভিডিওগুলোর জন্য তিনি বেশি পরিচিত। গাযযায় বেড়ে ওঠার সময়ে জীবনের ৮টি বছর তার জীবনের একটি বড় অভিজ্ঞতা। তার ফেসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/mzeyara/]
এই ব্যাপারটাতে আমার কিছু বলার আছে! পশ্চিমে বেড়ে ওঠায় এরকম মৃত্যু আমরা কেবল মুভিতেই দেখেছি। আমরা এতো বেশি মুভি দেখেছি যে আমাদের কাছে গাযযায় চলমান হত্যাকান্ড আর ম্যুভির বিষয়টা একই মনে হয়, শুধুই যেন পর্দায় ভেসে থাকা কিছু নিথর দেহ! তাই আমরা নতুন করে ডিসেনসিটাইজড হয়ে পড়িনি, আমাদের বেশিরভাগ মানুষই অনেক আগে থেকেই এরকম বিষয়ে ডিসেনসিটাইজড হয়ে আছি। যারা আমাকে বলছেন এসব শেয়ার না করতে তাদের বলছি, আমি ভাল করেই জানি আপনাদের অবস্থান এবং আমি আপনাদের উপদেশটা মনে রাখব। দয়া করে বুঝতে চেষ্টা করুন যে আমার পেশাদারিত্ব এবং আবেগের মাঝে আমি এক টানাপোড়েনে আছি। আমি আল-শিফা হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় বড় হয়েছি। এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন প্রতিদিন সকালে আমাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিত। আমি ও আমার বন্ধু মিলে আল-শিফার বাগানে অনেক খেলাধূলা করেছি! এই ভয়াবহতা স্রেফ একটা ছবির দেখার অনেক ভিন্ন একটা ব্যাপার। আমি নিজের চোখে আল-শিফা হসপিটালের দরজা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত শরীরগুলো দেখে বাসায় ফিরে খবর দেখেছি কিন্তু এ বিষয়ে কোন কিছুই পাইনি সেখানে। সংবাদ মাধ্যমগুলো গাযাতে চলমান হত্যাযজ্ঞ এমনিভাবেই চেপে যাচ্ছে ঠিক যেমন করে তারা সিরিয়া, বার্মা, পাকিস্তানে চলমান জুলুম ও নিপীড়নকে চেপে যাচ্ছে। আমি এসব দেখে প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়েছিলাম, আমি এখনো ক্ষেপে আছি। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম গোটা বিশ্বকে গাযার এমন চিত্র দেখাবো যা গাযায় বসবাসকারী মানুষদের চোখগুলো প্রতিদিন দেখে। অনলাইনে হয়ত আপনারা শুধু একটা ছবিই দেখেন। কিন্তু এই ছবির পেছনে থাকে অনেকগুলো গল্প, ছবিটা কেবলই একটা মৃতদেহ নয়। একজন মানুষের দেহ থেকে যখন তার আত্মা বের হয়ে যায় তখন শুধু মানুষটিই মারা যায় না, মারা যায় ভালোবাসা, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সমবেদনা, স্বপ্ন। ছবিটি দেখতে কতটা বীভৎস সেটিই কেবল বড় ব্যাপার নয়, বরং তিলতিল করে গড়ে ওঠা জীবনগুলোর কষ্ট ও হারানোর গল্পগুলো অনেক বড় ব্যাপার।
আমি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
-- মুহাম্মাদ জেয়ারা
[লেখক কাডায় জন্মগ্রহণ করা ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এক নাগরিক। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন বক্তা এবং মূলত তরুণদের প্রতি অনুপ্রেরণাদানকারী বক্তব্য রাখেন। অনলাইনে প্রকাশিত এডুকেশনাল এবং মোটিভেশনাল ভিডিওগুলোর জন্য তিনি বেশি পরিচিত। গাযযায় বেড়ে ওঠার সময়ে জীবনের ৮টি বছর তার জীবনের একটি বড় অভিজ্ঞতা। তার ফেসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/mzeyara/]