ফেসবুকে লেখালেখিকে অনেক বেশি সস্তা মনে হয়। হোমপেইজের ফিডে ইসলামের ডিপ-ডিপার-ডিপেস্ট থটগুলোকে যখন মুড়ি-মুড়কির মতন আজেবাজে নিক, ছাইয়া নিক থেকে সমাধান লিখে ভরিয়ে দেয়া হয়, তখন নিজের উপরে ঘেন্না জন্মায়, যেই প্ল্যাটফর্মে আছে সেটার উপরেও রাগ হয়। অনেকবারই এইসব ফিতনাহ থেকে বেঁচে থাকতে ফেসবুকে লগিন করাই ছেড়েছিলাম। এসব দেখে ড. তারিক রমাদানের একটা কথা মাথায় চলে আসে প্রায়ই--
“আমরা যখন জটিল সমস্যার জন্য সরলীকৃত সমাধান দিতে চাই তখন আমরা সবকিছু হারাই।"
আমাদের মানুষগুলোর প্রতিদিনই আত্মসমালোচনা করা উচিত। আমাদের প্রত্যেকেরই। এই দুনিয়ায় আমার কথা শুনে সবাই বদলে গেলেও আমার মুক্তি নিশ্চিত নয়। আল্লাহ আমাদেরকে যেই নিয়ামাত দিয়েছেন, সেই তুলনায় আমাদের কর্ম কিছুই নয়। আর আল্লাহর দেয়া নিয়মাবলীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ভালো অর্জিত হওয়া সম্ভব নয়। আপাতদৃষ্টিতে কিছু ভালো লাগলেও আদতে সেটা খারাপই হবে। মিথ্যা লেখা দিয়ে, মিথ্যা তথ্য আর ছবি দিয়ে জনমত বদলে দেয়া গেলেও যেহেতু সেটা মিথ্যার উপরে দাঁড়াবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তি আর মতাদর্শকে জিল্লতির মাধ্যমে ডুবিয়ে দিবেন।
সত্য বড়ই উঁচু, সততা আর ঈমান অনেক বেশি সম্মানের। আল্লাহ যা ভালোবাসেন, তা যখন মানুষ করে, তখন আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন। সত্য বললে লাইক বা শেয়ার পাওয়া না গেলেও যদি সেটা আল্লাহর কাছ থেকে আমরা লাইক পাই, তবেই আমাদের জীবন সার্থক। ফেসবুকের পোস্টে গোটা পৃথিবীর সবাই লাইক দিলেও যদি আল্লাহর কাছে সেটা 'লাইকড' না হয়, তবে এই গোটা চেষ্টা যে কেবলই ব্যর্থ, তা নয়, বরং তাতে রয়েছে ভয়াবহ ক্ষতির সম্ভাবনা।
যোগ্যতা অর্জন জরুরি। আল্লাহ গোটা দুনিয়াকে 'সিস্টেমেটিক' করে চালিয়ে থাকেন। এটাই তার মহান বৈশিষ্ট্য। মায়ের পেট থেকে দুনিয়ার আলো দেখেই কোন শিশু ঘোড়ার পিঠে উঠে পড়ে না। একটা সমাজকে তেমনি কিছু থিওরি গিলিয়ে দিলেই বদলে দেয়া যাবে না। আমাদের কাজ করে, নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়ে, অন্যায়কে দূর করে তাতে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার ধীর এবং অবিচল পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে হবে। ফেসবুকে কুরআনের আয়াতের মার-মার কাটকাট কপিপেস্টিং এবং যাচ্ছেতাই নিজ ইচ্ছাপ্রসূত ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামিস্ট/স্টার/সেলেব্রিটি হবার প্রবণতা থেকে আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের মুক্তি দিন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় এই ইসলাম নামের দ্বীনটি পরিপূর্ণ ছিলো। সময়ের সাথে সাথে আমাদের মাঝে আমরা এখান থেকে পালন না করে হারিয়েছি অনেককিছু, যোগ করেছি অনেক কিছু। মানুষ ভুলেছে শারীয়াত, ডুবেছে অন্যায়ে। ভুলগুলো ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে না। দূর করতেও সময় নিতে হয়। রোগ সারতে ঔষধ দিলেই হয় না, সময় নিতে হয়, সঠিক সময় সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। দ্বীনকেও মানুষের অসুস্থ কালবে, পরিবারে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় প্রয়োজন হয়। রাতারাতি কিছু হবে না, হয় না। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনকে শেখার, বোঝার ও পালন করার তাওফিক দান করুন। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর, তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। আল্লাহর দয়া ছাড়া মুক্তি আমরা পাবো না। কেবল তিনিই যেন হন আমাদের প্রতিটি কাজের অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা...
[১৭ আগস্ট, ২০১৪]
“আমরা যখন জটিল সমস্যার জন্য সরলীকৃত সমাধান দিতে চাই তখন আমরা সবকিছু হারাই।"
আমাদের মানুষগুলোর প্রতিদিনই আত্মসমালোচনা করা উচিত। আমাদের প্রত্যেকেরই। এই দুনিয়ায় আমার কথা শুনে সবাই বদলে গেলেও আমার মুক্তি নিশ্চিত নয়। আল্লাহ আমাদেরকে যেই নিয়ামাত দিয়েছেন, সেই তুলনায় আমাদের কর্ম কিছুই নয়। আর আল্লাহর দেয়া নিয়মাবলীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ভালো অর্জিত হওয়া সম্ভব নয়। আপাতদৃষ্টিতে কিছু ভালো লাগলেও আদতে সেটা খারাপই হবে। মিথ্যা লেখা দিয়ে, মিথ্যা তথ্য আর ছবি দিয়ে জনমত বদলে দেয়া গেলেও যেহেতু সেটা মিথ্যার উপরে দাঁড়াবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তি আর মতাদর্শকে জিল্লতির মাধ্যমে ডুবিয়ে দিবেন।
সত্য বড়ই উঁচু, সততা আর ঈমান অনেক বেশি সম্মানের। আল্লাহ যা ভালোবাসেন, তা যখন মানুষ করে, তখন আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন। সত্য বললে লাইক বা শেয়ার পাওয়া না গেলেও যদি সেটা আল্লাহর কাছ থেকে আমরা লাইক পাই, তবেই আমাদের জীবন সার্থক। ফেসবুকের পোস্টে গোটা পৃথিবীর সবাই লাইক দিলেও যদি আল্লাহর কাছে সেটা 'লাইকড' না হয়, তবে এই গোটা চেষ্টা যে কেবলই ব্যর্থ, তা নয়, বরং তাতে রয়েছে ভয়াবহ ক্ষতির সম্ভাবনা।
যোগ্যতা অর্জন জরুরি। আল্লাহ গোটা দুনিয়াকে 'সিস্টেমেটিক' করে চালিয়ে থাকেন। এটাই তার মহান বৈশিষ্ট্য। মায়ের পেট থেকে দুনিয়ার আলো দেখেই কোন শিশু ঘোড়ার পিঠে উঠে পড়ে না। একটা সমাজকে তেমনি কিছু থিওরি গিলিয়ে দিলেই বদলে দেয়া যাবে না। আমাদের কাজ করে, নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়ে, অন্যায়কে দূর করে তাতে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার ধীর এবং অবিচল পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে হবে। ফেসবুকে কুরআনের আয়াতের মার-মার কাটকাট কপিপেস্টিং এবং যাচ্ছেতাই নিজ ইচ্ছাপ্রসূত ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামিস্ট/স্টার/সেলেব্রিটি হবার প্রবণতা থেকে আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের মুক্তি দিন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় এই ইসলাম নামের দ্বীনটি পরিপূর্ণ ছিলো। সময়ের সাথে সাথে আমাদের মাঝে আমরা এখান থেকে পালন না করে হারিয়েছি অনেককিছু, যোগ করেছি অনেক কিছু। মানুষ ভুলেছে শারীয়াত, ডুবেছে অন্যায়ে। ভুলগুলো ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে না। দূর করতেও সময় নিতে হয়। রোগ সারতে ঔষধ দিলেই হয় না, সময় নিতে হয়, সঠিক সময় সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। দ্বীনকেও মানুষের অসুস্থ কালবে, পরিবারে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় প্রয়োজন হয়। রাতারাতি কিছু হবে না, হয় না। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনকে শেখার, বোঝার ও পালন করার তাওফিক দান করুন। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর, তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। আল্লাহর দয়া ছাড়া মুক্তি আমরা পাবো না। কেবল তিনিই যেন হন আমাদের প্রতিটি কাজের অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা...
[১৭ আগস্ট, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে