আফসোস হয়! মাত্র কয়েকটা বছর আগেও আমি মুসলিমদের অনেক ইতিহাস জানতাম না। জানতাম না ইহুদি-খ্রিষ্টান শয়তানগুলোর হাতে হত্যা হওয়া আমার লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভাইবোনদের ইতিহাস। ক্রুসেডের ইতিহাস। যখন সালাহ আদ-দীন আইয়ুবী জয় করেছিলেন আল-আকসা, তখনো মুসলিম বিশ্বের অনেক নেতারা আরাম-আয়েশে আর পরস্পর বিবাদে মত্ত ছিলো। ইতিহাস বারবার কাঁদায়। অনেক পরে হলেও জেনেছি স্পেনের ইতিহাস, সেই তারিক বিন যিয়াদকে, যিনি স্পেনের মাটিতে পা দিয়ে জাহাজ পুড়িয়ে সাথীদের বলেছিলেন সামনে এগিয়ে জয় কিংবা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবে, কেননা পেছনে রইলো শুধুই উত্তাল সমুদ্র। জয় তারা পেয়েছিলেন। এমন অনেক নাম আছে, যাদের ইতিহাস পাঠ শুধু প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় রক্তকণিকাদের, কেঁপে ওঠে শরীর, আবেগাপ্লুত হয় মন, অশ্রুসিক্ত হয় নয়ন। বীরত্বে ভরা সেই ইতিহাস, ঈমানে টগবগিয়ে থাকা সেই মানুষদের অসম বীরত্বের সেই ইতিহাস আমাদের। যথেষ্ট আগ্রহী হওয়া সত্বেও এই পরিপূর্ণ সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থায় মুসলিম ইতিহাস জানতে পারিনি, বেশিরভাগ বাংলাদেশীই পারে না। হায় আফসোস!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদায়ের পরে উসামা বিন যায়িদের নেতৃত্বে রোমানদের ছিন্নভিন্ন করার ইতিহাস, কাদেসিয়া প্রান্তরে সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসদের সেই বিজয়, উমারের আল-আকসা পুনরুদ্ধারের গৌরবের ইতিহাস সবই যেন বহুদূর এই প্রজন্মের কাছে। মুসা বিন নুসায়ের, মুহাম্মাদ বিন কাসিমদের নামটাও জানিনা আমরা বেশিরভাগ মানুষ। হাজী শরীয়াতউল্লাহ, ফকির মজনু শাহ, মীর নিসার আলী তিতুমীর, সৈয়দ আহমদদের মতন হাজারো বীরের রক্তে ও স্পর্শে ভিজে আছে এই পৃথিবীর মাটি।
গত হাজার বছরে বাংলার মাটি শুষেছে মুসলিমদের দেহ থেকে প্রবাহিত রক্তের সমুদ্র, তা কিছুতেই বৃথা যাবে না ইনশাআল্লাহ। এই মাটিতে ঈমানের চারাগুলো বেড়ে উঠে মহীরূহ হবেই। সেই ঈমানের দৃঢ় শেকড় গেঁথে দিতে হবে আমাদের প্রজন্মকে। ইতিহাস ধামাচাপা দিয়ে রেখে কিংবা হকের পথ থেকে ধানাই-পানাই করে মুসলিমদের সরিয়ে রেখে এই মাটি থেকে 'পরিপূর্ণ দ্বীন ইসলামের' বিকাশ বন্ধ রাখা যাবেনা কোনদিন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ যেন এই বাংলার মুসলিমদের ঈমানদীপ্ত হয়ে বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামকে পূর্ণ অবয়বে বিকশিত করেন, যেন সকল ভ্রান্ত মত ও দলকে জিল্লতি-বেইজ্জতির মাধ্যমে পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন করে দেন। নিশ্চয়ই সমস্ত ক্ষমতা কেবলই আল্লাহর, তিনিই পথপ্রদর্শনকারী।
[২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদায়ের পরে উসামা বিন যায়িদের নেতৃত্বে রোমানদের ছিন্নভিন্ন করার ইতিহাস, কাদেসিয়া প্রান্তরে সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসদের সেই বিজয়, উমারের আল-আকসা পুনরুদ্ধারের গৌরবের ইতিহাস সবই যেন বহুদূর এই প্রজন্মের কাছে। মুসা বিন নুসায়ের, মুহাম্মাদ বিন কাসিমদের নামটাও জানিনা আমরা বেশিরভাগ মানুষ। হাজী শরীয়াতউল্লাহ, ফকির মজনু শাহ, মীর নিসার আলী তিতুমীর, সৈয়দ আহমদদের মতন হাজারো বীরের রক্তে ও স্পর্শে ভিজে আছে এই পৃথিবীর মাটি।
গত হাজার বছরে বাংলার মাটি শুষেছে মুসলিমদের দেহ থেকে প্রবাহিত রক্তের সমুদ্র, তা কিছুতেই বৃথা যাবে না ইনশাআল্লাহ। এই মাটিতে ঈমানের চারাগুলো বেড়ে উঠে মহীরূহ হবেই। সেই ঈমানের দৃঢ় শেকড় গেঁথে দিতে হবে আমাদের প্রজন্মকে। ইতিহাস ধামাচাপা দিয়ে রেখে কিংবা হকের পথ থেকে ধানাই-পানাই করে মুসলিমদের সরিয়ে রেখে এই মাটি থেকে 'পরিপূর্ণ দ্বীন ইসলামের' বিকাশ বন্ধ রাখা যাবেনা কোনদিন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ যেন এই বাংলার মুসলিমদের ঈমানদীপ্ত হয়ে বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামকে পূর্ণ অবয়বে বিকশিত করেন, যেন সকল ভ্রান্ত মত ও দলকে জিল্লতি-বেইজ্জতির মাধ্যমে পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন করে দেন। নিশ্চয়ই সমস্ত ক্ষমতা কেবলই আল্লাহর, তিনিই পথপ্রদর্শনকারী।
[২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে