হ্যাঁ, অনেক সময় আপনার-আমার অকৃতজ্ঞতা ও বোধহীনতা অন্যদের জন্য বেশ কষ্টকর বটে!
ধরুন, আপনি কোথাও নিমন্ত্রিত হয়ে খেতে বসলেন। খেতে বসেই খাবারের মেনু দেখে বলতে শুরু করে দিলেন আপনি কী কী পছন্দ করেন না, কী কী খাবেন না। তিনি আপনার জন্য এই আয়োজনটুকুতে সাধ্যমতন সুস্বাদু করার চেষ্টা করলেও শুধুমাত্র আপনার অসময়োপযোগী মন্তব্য তাকে কষ্টকর ও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। হয়ত বাসায় মা কিংবা স্ত্রী রান্নাবান্না শেষ করে খাবার টেবিলে সব গুছিয়ে খেতে বসেছেন-- এমন সময় আমাদের কথা "পানি নেই জগে"। অথচ দিব্যি একটুখানি কষ্ট করে উঠে গেলেই জগে পানি ভরে এনে এতক্ষণ একটানা কষ্ট করা মানুষটাকে স্বস্তি ও ভালোলাগা দেয়া সম্ভব।
কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে আন্তরিকতায় ভরপুর কোন ডাক্তার সাহেবের সার্ভিস নিয়ে তাকেই তাবৎ 'কমার্শিয়াল' ডাক্তারদের কাছে গিয়ে পাওয়া খারাপ ব্যবহারে পাওয়ায় পুরোনো রাগ ও প্রচুর প্রচুর সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন কিছু কিছু মানুষ। অথচ যে মানুষটিকে কথা শোনানো যাচ্ছে, তিনি মোটেই সেইরকমের লোক নন, বরং তিনি ব্যতিক্রমধর্মী।
খুব বেশি সস্তা একটা অকৃতজ্ঞতা ও বোধহীনতা ফেসবুকেও প্রচুর দেখা যায়, তা হলো --ছেলেদের কাছে মেয়েদের ব্যাপারে 'জেনারালাইজড' কমেন্ট এবং মেয়েদের কাছে পুরুষজাতির ব্যাপারে বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ। প্রতিটি মানুষের জীবন ও আচরণ ভিন্ন, হয়ত মোটের উপরে কিছু 'কালচারাল' ও 'হ্যাবিচুয়াল' কারণে মিল থাকলেও দায়িত্বহীন 'জেনারালাইজড' মন্তব্য খুবই দুঃখজনক।
আমরা যারা মানুষের অবদান ও উপকার পেয়েও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা দেখাতে পারিনা, সম্ভবত আমরা আল্লাহর লাখো-কোটি নেয়ামতের শুকরিয়াও করি না। অন্যভাবেও বলা যায়, যারা আল্লাহর সীমাহীন নিয়ামাত পেয়েও শোকরগুজার বান্দা হতে পারে না, তারা কিছুতেই অন্যদের অবদানগুলোকে খেয়াল করে দেখে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে না।
আমাদের আদব ও আখলাক হয় যেন উত্তম। আমাদের উত্তম আখলাক তো আল্লাহর কাছে খুব পছন্দের! আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের উত্তম বুঝ দান করুন, আল্লাহ আমাদেরকে তার কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুন।
"আল্লাহুম্মা আ'ইন্নি 'আলা যিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।"
[৩০ আগস্ট, ২০১৪]
ধরুন, আপনি কোথাও নিমন্ত্রিত হয়ে খেতে বসলেন। খেতে বসেই খাবারের মেনু দেখে বলতে শুরু করে দিলেন আপনি কী কী পছন্দ করেন না, কী কী খাবেন না। তিনি আপনার জন্য এই আয়োজনটুকুতে সাধ্যমতন সুস্বাদু করার চেষ্টা করলেও শুধুমাত্র আপনার অসময়োপযোগী মন্তব্য তাকে কষ্টকর ও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। হয়ত বাসায় মা কিংবা স্ত্রী রান্নাবান্না শেষ করে খাবার টেবিলে সব গুছিয়ে খেতে বসেছেন-- এমন সময় আমাদের কথা "পানি নেই জগে"। অথচ দিব্যি একটুখানি কষ্ট করে উঠে গেলেই জগে পানি ভরে এনে এতক্ষণ একটানা কষ্ট করা মানুষটাকে স্বস্তি ও ভালোলাগা দেয়া সম্ভব।
কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে আন্তরিকতায় ভরপুর কোন ডাক্তার সাহেবের সার্ভিস নিয়ে তাকেই তাবৎ 'কমার্শিয়াল' ডাক্তারদের কাছে গিয়ে পাওয়া খারাপ ব্যবহারে পাওয়ায় পুরোনো রাগ ও প্রচুর প্রচুর সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন কিছু কিছু মানুষ। অথচ যে মানুষটিকে কথা শোনানো যাচ্ছে, তিনি মোটেই সেইরকমের লোক নন, বরং তিনি ব্যতিক্রমধর্মী।
খুব বেশি সস্তা একটা অকৃতজ্ঞতা ও বোধহীনতা ফেসবুকেও প্রচুর দেখা যায়, তা হলো --ছেলেদের কাছে মেয়েদের ব্যাপারে 'জেনারালাইজড' কমেন্ট এবং মেয়েদের কাছে পুরুষজাতির ব্যাপারে বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ। প্রতিটি মানুষের জীবন ও আচরণ ভিন্ন, হয়ত মোটের উপরে কিছু 'কালচারাল' ও 'হ্যাবিচুয়াল' কারণে মিল থাকলেও দায়িত্বহীন 'জেনারালাইজড' মন্তব্য খুবই দুঃখজনক।
আমরা যারা মানুষের অবদান ও উপকার পেয়েও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা দেখাতে পারিনা, সম্ভবত আমরা আল্লাহর লাখো-কোটি নেয়ামতের শুকরিয়াও করি না। অন্যভাবেও বলা যায়, যারা আল্লাহর সীমাহীন নিয়ামাত পেয়েও শোকরগুজার বান্দা হতে পারে না, তারা কিছুতেই অন্যদের অবদানগুলোকে খেয়াল করে দেখে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে না।
আমাদের আদব ও আখলাক হয় যেন উত্তম। আমাদের উত্তম আখলাক তো আল্লাহর কাছে খুব পছন্দের! আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের উত্তম বুঝ দান করুন, আল্লাহ আমাদেরকে তার কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুন।
"আল্লাহুম্মা আ'ইন্নি 'আলা যিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।"
[৩০ আগস্ট, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে