আচ্ছা, ফেসবুকে আমরা কেন বিভিন্ন জিনিস শেয়ার করি? প্রথমত, বলা যায় যে আমরা শেয়ার করি কেননা আমরা চাই আমরা যে জিনিসটিকে ভালো মনে করি, যাতে আনন্দ পাই তা যেন অন্যরাও পায়। যদি সেটা কোন 'নিউজ' হয়? হয়ত সেটা আতঙ্কের বিষয়, অথবা বড় কোন ক্ষতিকর কিছু হয়, তাহলেও তা শেয়ার করে থাকি। কিন্তু বিষয়টা হলো, আমরা কোন সোর্স থেকে শেয়ার করছি? ফেসবুকে শত-শত/হাজার হাজার পেইজ আছে, ইউজার একাউন্ট আছে। ইচ্ছে হলেও পেইজ/গ্রুপ/একাউন্ট খোলা যায়। এগুলোর অনেকেই হয়ত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা/গুজব/অশ্লীলতা ছড়ায়। আমাদের সজ্ঞানে ও অগোচরে প্রতিটি *লাইক* কিন্তু বিভিন্ন তথ্য/পোস্ট/লিঙ্কের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখে। আমাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত এই বিষয়ে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।” [মুসলিম]
#রিয়াদুস সলিহীন: ১৫৪৭
ইসলামিক বিষয়গুলোতেও সতর্কতা অনেক বেশি জরুরী। আজকাল যদু-মদু, কচু-ঘেচু টাইপের পেইজ থেকেও প্রচুর ইসলামিক পোস্ট পাওয়া যায়। যেগুলো প্রকৃতপক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট এবং একেবারেই সঠিক ইসলামিক জ্ঞান থেকে লেখা নয়। একটা বিষয় খুবই অবাক লাগে, শেয়ার করার আগে অন্তত কোন পেইজের জিনিস শেয়ার করছি, সেই নামটাও তো দেখা উচিত। একসময় দেখতাম, 'বগলের গন্ধ' টাইপের শব্দ দিয়ে নামকরণ করা ফেসবুক পেইজে ইসলামিক পোস্ট দেয়া হতো। অনেক স্নাতকোত্তর লোকও সেটা শেয়ার করতো। আপনার শেয়ার আপনার ইজ্জতের হানি করে দিতে পারে, সেটাও কিন্তু সত্য। তাই কার লেখা শেয়ার করছেন সেই নামটা অন্তত দেখে নিয়েন।
অনেক পেইজ থেকে ইসলামিক পোস্ট দেয় যারা মূলত লাইক কামাতে সেসব শেয়ার করে। এমন অনেক দেখা গেছে, কোন একটা হাদিস (যা মিথ্যা ও বানোয়াট হতে পারে) শেয়ার করার পরেই হয়ত সেই পেইজে সুন্দরী কোন উন্মুক্ত পিঠ ও বাহুর মেয়ের ছবি দিয়ে 'ভালোবাসার উদ্ধৃতি' দেয়া আছে। এইসব লাইক-ফেরিওয়ালাদের থেকে সাবধানে থাকা যেকোন মুসলিমের দায়িত্ব।
ফেসবুকে সংখ্যায় খুব অল্প হলেও দ্বীনের জ্ঞানের ছাত্র আছেন, কিছু উত্তম আচরণের মানুষ আছেন যারা সবসময় মার্জিত এবং গঠনমূলক লেখা লিখেন, তাদের উদ্ধৃত কুরআন ও হাদিসের আয়াতের ব্যবহার সঠিক থাকে। যা-তা লোকের কাছ থেকে পাওয়া খবর/ইসলামিক পোস্ট/ক্রিটিক্যাল আলোচনা শেয়ার করার আগে সাবধান থাকা উচিত। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সতর্ক থেকে অন্যায় ও পাপাচার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করেন।
[১৪ আগস্ট, ২০১৪]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।” [মুসলিম]
#রিয়াদুস সলিহীন: ১৫৪৭
ইসলামিক বিষয়গুলোতেও সতর্কতা অনেক বেশি জরুরী। আজকাল যদু-মদু, কচু-ঘেচু টাইপের পেইজ থেকেও প্রচুর ইসলামিক পোস্ট পাওয়া যায়। যেগুলো প্রকৃতপক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট এবং একেবারেই সঠিক ইসলামিক জ্ঞান থেকে লেখা নয়। একটা বিষয় খুবই অবাক লাগে, শেয়ার করার আগে অন্তত কোন পেইজের জিনিস শেয়ার করছি, সেই নামটাও তো দেখা উচিত। একসময় দেখতাম, 'বগলের গন্ধ' টাইপের শব্দ দিয়ে নামকরণ করা ফেসবুক পেইজে ইসলামিক পোস্ট দেয়া হতো। অনেক স্নাতকোত্তর লোকও সেটা শেয়ার করতো। আপনার শেয়ার আপনার ইজ্জতের হানি করে দিতে পারে, সেটাও কিন্তু সত্য। তাই কার লেখা শেয়ার করছেন সেই নামটা অন্তত দেখে নিয়েন।
অনেক পেইজ থেকে ইসলামিক পোস্ট দেয় যারা মূলত লাইক কামাতে সেসব শেয়ার করে। এমন অনেক দেখা গেছে, কোন একটা হাদিস (যা মিথ্যা ও বানোয়াট হতে পারে) শেয়ার করার পরেই হয়ত সেই পেইজে সুন্দরী কোন উন্মুক্ত পিঠ ও বাহুর মেয়ের ছবি দিয়ে 'ভালোবাসার উদ্ধৃতি' দেয়া আছে। এইসব লাইক-ফেরিওয়ালাদের থেকে সাবধানে থাকা যেকোন মুসলিমের দায়িত্ব।
ফেসবুকে সংখ্যায় খুব অল্প হলেও দ্বীনের জ্ঞানের ছাত্র আছেন, কিছু উত্তম আচরণের মানুষ আছেন যারা সবসময় মার্জিত এবং গঠনমূলক লেখা লিখেন, তাদের উদ্ধৃত কুরআন ও হাদিসের আয়াতের ব্যবহার সঠিক থাকে। যা-তা লোকের কাছ থেকে পাওয়া খবর/ইসলামিক পোস্ট/ক্রিটিক্যাল আলোচনা শেয়ার করার আগে সাবধান থাকা উচিত। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সতর্ক থেকে অন্যায় ও পাপাচার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করেন।
[১৪ আগস্ট, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে